শিরোনাম:
পাইকগাছা, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২

SW News24
সোমবার ● ১৩ জানুয়ারী ২০২৫
প্রথম পাতা » সারাদেশ » পাইকগাছা- কপিলমুনি সড়কের দুই পাশে মাটি না দেওয়ায় যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে
প্রথম পাতা » সারাদেশ » পাইকগাছা- কপিলমুনি সড়কের দুই পাশে মাটি না দেওয়ায় যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে
১৩৯ বার পঠিত
সোমবার ● ১৩ জানুয়ারী ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

পাইকগাছা- কপিলমুনি সড়কের দুই পাশে মাটি না দেওয়ায় যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে

 ---

প্রকাশ ঘোষ বিধান, পাইকগাছাঃ পাইকগাছা আঠারো মাইল সড়কের দুই পাশে মাটি না দেওয়ায় মাটি থেকে রাস্তা এক দেড় ফুঁট উঁচু হওয়ায় সড়কে যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। রাস্তা সংঙ্কার করা হলেও প্রায় এক বছর যাবত রাস্তার দুই পাশে মাটি দেওয়া হয়নি। তাছাড়া রাস্তার পাশে রক্ষাদেয়াল না থাকায় সরে যাচ্ছে মাটি। কিছু স্থানে মাটি সরে ভেঙে পড়ছে পিচঢালাই। ফলে পাইকগাছ আঠারো মাইল সড়কের পাইকগাছা উপজেলার মধ্যে কপিলমুনি- পাইকগাছার প্রায় ১০-১২ কিলোমিটার সড়কে এখন যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ভারি যানবাহনকে পাশ দিতে হালকা ও ছোট যানবাহন রাস্তার পাশ দিয়ে যেতে গিয়ে পাশে সমান মাটি না থাকায় পাশে উল্টে পড়ে দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পাইকগাছা পৌরসভা, সরল, গোপালপুর, গদাইপুর, সিলেমানপুর, আগড়ঘাটা, মালত, হরিঢালী, কপিলমুনি এলাকায় সড়কের পাশের মাটি দেওয়া হয়নি। এসব স্থানে পাশাপাশি দুটি গাড়ি চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

সড়কের পাশের অনেক জমির মালিকরা নিজ প্রয়োজনে সড়কের পাশে মাটি দিয়ে রাস্তার সাথে সমান্তারল করেছে দূর্ঘটনা এড়াতে। সড়কের পাশে মাটি না থাকায় পথচারিরা পাশে হাটার পথ না পেয়ে বাধ্য হয়ে ঝুকি নিয়ে সড়কের উপর দিয়ে চলাচল করছে। এতে পথচারিরা ঝুকিতে থাকে সড়কে হাটার সময়।

যানবাহন চালকেরা জানান, সড়কের বেশ কয়েকটি স্থানে রাতে গাড়ি চালানোর সময় সতর্ক থাকতে হয়। অন্যথায় গাড়ি খাদে চলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এর মধ্যে গদাইপুর, মানিকতলা, আগড়ঘাটা, হাবিবনগর এলাকা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এসব স্থানে প্রায় সময় দুর্ঘটনা ঘটছে। আবার পাশ কাটাতে গিয়ে দুটি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষও হয়েছে বেশ কয়েকবার।

প্রতিদিন ৪০টির অধিক পাইকগাছা-ঢাকা পরিবহন, ট্রাক, কার্গোট্রাক, বাস পিকআপসহ ছোট ছেট হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। এই সড়কে যানবাহন চলাচল বেড়ে গেছে। রাত-দিন সমান ব্যস্ত থাকে সড়ক। রাতে যাত্রীবাহী গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হয়। এ ছাড়া এ সড়কে পণ্যবাহী গাড়ির চলাচল কয়েক গুণ বেড়েছে। এসব পণ্যবাহী গাড়িও দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।

ব্যবসায়ী আলম বলেন, জেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এটি। সরকার প্রতিবছর পাইকগাছা থেকে ৭০ থেকে ৮০ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আয় করে আসছে। সে অনুপাতে এ সড়কের তেমন কোনো উন্নতি হচ্ছে না।

ইউনিটি ফর ইউনিভার্স হিউম্যান রাইটস ওফ বাংলাদশে ফাউন্ডশেন এর কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাড. শফিকুল ইসলাম কচি বলেন, গত ছয় মাসে দুর্ঘটনায় অনেক মানুষ হতাহত হয়েছে। সড়কটির পাশে ২০ থেকে ২৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনেক শিক্ষার্থী ঝুঁকি নিয়ে হেঁটে যাওয়া-আসা করে। অথচ সড়কের দুই পাশে হাঁটার কোনো জায়গা নেই। বর্তমানে সড়কটির বেশির ভাগ স্থানে দুই পাশে মাটি না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করে।

এ ব্যাপারে খুলনা সড়ক ও জনপথ বিভাবে নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ তানিমুল হক বলেন, সড়কটির খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)