মঙ্গলবার ● ১৪ জানুয়ারী ২০২৫
প্রথম পাতা » সংস্কৃতি ও বিনোদন » পাইকগাছায় বাস্তুপূজা ও পৌষ সংক্রান্তি উৎসব
পাইকগাছায় বাস্তুপূজা ও পৌষ সংক্রান্তি উৎসব
পাইকগাছায় বাস্তুপূজা ও পৌষ সংক্রান্তির উৎসব পালিত হয়েছে। পৌষ মাসের শেষ দিন মঙ্গলবার পৌষ সংক্রান্তি, মকর সংক্রান্তি, পৌষপার্বণ, শ্রীশ্রী বাস্তুপূজা, শ্রীশ্রী গঙ্গাদেবীর আবির্ভাব উপলক্ষে সাগর সঙ্গমে স্নান, গঙ্গাসাগর মেলা, শ্রীশ্রী টুসুপূজা, প্রয়াগে মহাকুম্ভ স্নান, অর্চনা ও লোকাচার পালনের দিন।
১৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে পাইকগাছার গদাইপুর গাছ তলায় বাস্তুপূজা ও পৌষ সংক্রান্তি পালন করা হয়েছে। বাস্তুপূজার সার্বিক দায়িত্ব পালন করেন নিরজ্ঞন ঘোষ। এসময় উপস্থিত ছিলেন, অশোক কুমার ঘোষ, বঙ্কিম ঘোষ, উজ্জল ভদ্র, সন্দিপ ঘোষ, চিত্তরজ্ঞন ঘোষ প্রমুখ।
পৌষ সংক্রান্তি একটি প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী লোকউৎসবের দিন। পৌষ সংক্রান্তির দিনে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে বিভিন্ন লোকাচার ও অর্চনা পালনের দিন। পৌষ সংক্রান্তির দিনে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পিতৃপুরুষ ও বাস্তুদেবতার উদ্দেশ্যে তিল এবং খেজুর গুড়সহ তিলুয়া তৈরি করত। সঙ্গে নতুন চালে পিঠা গড়ে তৈরি অর্ঘ। যার ফলে পৌষ সংক্রান্তি তিলুয়া সংক্রান্তি নামেও ব্যাপক পরিচিত। এই সংক্রান্তি উত্তরায়ণ সংক্রান্তি নামেও পরিচিত। বাংলা পৌষ মাসের শেষের দিন এই উৎসব পালন করা হয়।
বাংলা মাসের শেষ দিন সংক্রান্তি নামে পরিচিত। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী সূর্যের রাশি পরিবর্তনের দিনটি হল সংক্রান্তি। বাংলার নবম মাসের সমাপ্তি হল মকর সংক্রান্তি। এই দিন সূর্য নবম রাশি ধনু থেকে দশম রাশি মকরে প্রবেশ করে। জ্যোতির্বিদ্যা অনুযায়ী এই দিনে সূর্যের উত্তরায়ণ শুরু হয়, অর্থাৎ সূর্য উত্তর মুখে যাত্রা শুরু করে। মকর সংক্রান্তি শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে ভিন্ন ভিন্ন নামে পালিত হয়।
বাংলাদেশে মকর সংক্রান্তি বা পৌষসংক্রান্তি-তে মূলত নতুন ফসলের উৎসব পৌষ পার্বণ উদযাপিত হয়। নতুন ধান, খেজুরের গুড় এবং পাটালি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ঐতিহ্যবাহী পিঠা তৈরি করা হয়, যার জন্য প্রয়োজন হয় চালের গুঁড়া, নারিকেল, দুধ আর খেজুরের গুড়। পিঠা ও পৌষ সংক্রান্তি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। এই দিনে আবহমান গ্রামবাংলায় নানা ধরনের পিঠা তৈরির আয়োজন চলে।