শুক্রবার ● ১৭ জানুয়ারী ২০২৫
প্রথম পাতা » সারাদেশ » মাগুরার নবগঙ্গা নদী এখন মরা খাল
মাগুরার নবগঙ্গা নদী এখন মরা খাল
শাহীন আলম তুহিন,মাগুরা থেকে : মাগুরার নবগঙ্গা নদী দখল,নদীর পাড়ে ময়লা আর্বজনা ফেলে নদীর গতি পথ রোধ হচ্ছে দিন দিন। এখন মাগুরার নবগঙ্গা নদীতে পানি না থাকার কারণে নাব্যতা হারিয়ে মরা খালে পরিণত হয়েছে। শীত মৌসুমে নদীতে পানি এমনিতেই কম থাকে তারপরে একেবারেই যদি নদীতে পানি না থাকে তাহলে নদীর নাব্যতা থাকে না। নদীর মাছ ও জলজ উদ্ভিদ যায় হারিয়ে। সরজমিন শুক্রবার মাগুরার নবগঙ্গা নদীতে পরিদর্শনে এ চিত্র দেখা গেল। নদীতে পানি না থাকার কারণে এখন নদীতে অধিকাংশ স্থানে চর পড়েছে। সেই চরে ন্থানীয় কৃষকরা ধানের বীজ তলা তৈরি করছেন কেউ,কেউ আবার সবজি ক্ষেতও তৈরি করছেন। আবার সকালে বিকালে এ নদীর চরে বালকেরা করছে খেলাধুলা। নদীর কিছু স্থানে জমে আছে পানি। সেই পানি স্থানীয় মহিলারা কাপড় ধোয়ার কাজ করছেন । মাগুরায় নবগঙ্গা,কুমার,ফটকি এ ৩টি নদী । জেলার মহম্মদপুর অংশে মধুমতি নদীর একাংশ রয়েছে। মাগুরা নবগঙ্গা নদী পশ্চিমে ঝিনাইদহ জেলা হয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলার মাথাভাঙ্গা নদীর সাথে মিশেছে ।কৃষক হরেন মন্ডল বলেন,শীতের সময় নবগঙ্গা নদী এখন মরা খাল। এ মৌসুমে নদীতে পানি একবারেই থাকে না । নদীতে এখন চর থাকায় আমরা আগাম বোরো ধানের বীজতলা তৈরি করছি। এ বীজতলা থেকে চারা সংগ্রহ করে আমরা জমিতে রোপন করছি। এ নদী আমাদের আর্শীবাদ। এ নদীর চরে ধানের বীজতলা ভালো হয়। নদীর চরে কেউ কেউ সবজি আবাদে এখন ব্যস্ত রয়েছে। আঠারোখাদা গ্রামের কৃষক সুশান্ত বিশ্বাস বলেন,শীতের ৩ মাস নবগঙ্গা নদীতে পানি থাকে। এ সময় নদীতে চর পড়ে। এ চরে আমরা কৃষিকাজ করি। আষাঢ়-শ্রাবণ মাস থেকে নদীতে পানি আসতে শুরু করে। ভাদ্র মাস হয় পরিপূর্ন। স্থানীয় জেলে হারেজ আলী বলেন, নবগঙ্গা নদীতে মাছ ধরে আমি জীবিকা নির্বাহ করি। এখন পানিতে পানি না থাকার কারণে আমরা মাছ ধরতে পারছি না। শীত মৌসুমে আমরা বেকার হয়ে পড়ি। এ সময় কেউ আমাদের সাহায্য সহযোগিতা করে না । ৩ মাস পরে নদীতে পানি এসে আমাদের জীবিকা শুরু হয়।
স্থানীয় শিক্ষক শাহ আলম বলেন,শীত মৌসুমে নবগঙ্গা নদীতে পানিতে না থাকার কারণে এলাকার আপামর সাধারণ মানুষ বিপাকে পড়ে। এখন এ নদী মরা খাল। শীতের সময় এ নদীতে চর থাকার কারণে কৃষকরা সুফল পাচ্ছে । তারা নদীর চরে ধানের বীজতলা তৈরি করে চারা উৎপাদন করছেন। এ চারা তারা জমিতে রোপন করছেন । বর্তমানে এ নদীর পাড় দখল হয়ে যাচ্ছে। নদীতে ফেলা হচ্ছে ময়লা আবর্জনা। তাই নদী রক্ষা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে।