

রবিবার ● ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
প্রথম পাতা » আঞ্চলিক » আশাশুনির একসরা স্লুইস গেট সংলগ্ন ২ কিলোমিটার খাল উন্মুক্ত; জনমনে স্বস্তি
আশাশুনির একসরা স্লুইস গেট সংলগ্ন ২ কিলোমিটার খাল উন্মুক্ত; জনমনে স্বস্তি
আহসান হাবিব, আশাশুনি : আশাশুনির আনুলিয়া ইউনিয়নের একসরা স্লুইসগেট সংলগ্ন খাল উন্মুক্ত করা হয়েছে। রোববার দুপুরে উপজেলার আনুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস ইউপি সদস্যদের সাথে নিয়ে অবৈধ নেট পাটা অপসারণ করে খাল উন্মুক্ত করেন। সাথে সাথে লবণ পানি উঠতে না পারে তার জন্য বাঁধ নির্মাণ করে আটকে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য লবন পানি উঠা বন্ধ হলে ২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য খালের পানি দিয়ে সাত মৌজার প্রায় ৩ হাজার বিঘা জমিতে বছরে দুবার ধান চাষ, সবজি চাষ করা সম্ভব হবে এবং জলাবদ্ধতার হাত থেকে এলাকাবাসী মুক্তি পাবে বলে জানা গেছে। বল্লবপুর গ্রামের কালাম ঢালী, সাধন দাস, দুলাল দাস, শফিকুল মোড়ল, কেরামত আলী জানান, এলাকার কিছু মানুষ একসরা খালে অবৈধভাবে নেট পাঠা বসিয়ে মাছ চাষ করে আসছিল। এছাড়া প্রতি বছর বৃষ্টির সময় গেটের মুখে বাঁধ আটকে দেওয়ার কারণে অতিবৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হত। ফলে ১০ গ্রামের মানুষ আমন ধান চাষ থেকে বঞ্চিত হতো। এ বিষয়ে একাধিকবার প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের জানানোর পরেও কোন লাভ হয়নি। আজ ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে খালের পাটা অপসারণ করা হলো। ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম শহীদ ও কামাল হোসেন গাজী জানান, ইউনিয়নের একসরা, মির্জাপুর, বল্লভপুর, বাসুদেবপুর, পাইকপাড়া, রাজাপুর ও আনুলিয়া মৌজার তিন হাজার বিঘা জমিতে জলাবদ্ধতার কারণে আউশ, আমন ও বোরো ধান চাষ করা সম্ভব হচ্ছিলনা। এলাকার মানুষ ধান চাষ না করতে পেরে অনেকেই এলাকা ছেড়ে কাজের সন্ধানে বিভিন্ন ইট ভাটায় চলে গেছে। এলাকার অধিকাংশ পুরুষ মানুষ বাড়ি ছাড়া। তাই এলাকার মানুষের কথা চিন্তা করে যাতে ধানের পাশাপাশি সবজি চাষ করে স্বাবলম্বী হতে পারে এজন্য খালটি উন্মুক্ত করা হয়েছে।
আনুলিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক রুহুল কুদ্দুস জানান, একসরা খাল উন্মুক্ত করার দাবী দীর্ঘদিনের। এ বিষয়ে আমি আইন-শৃঙ্খলা সভায় একাধিকবার উপস্থাপন করেছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় আমাকে আশ্বাসও দিয়েছেন। তাই শত শত জনগণকে সাথে নিয়ে আজ নেট পাঠা অপসারণ ও গেটের মুখের পাট বন্ধ করে জনগণের জন্য খালটি উন্মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। খালটি ২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য। যে দল যখন ক্ষমতায় আসে তখন এই খাল জবর দখল করে মাছ চাষ করে এসেছে। আমি ক্ষমতায় আসার পর জনগণের দিকে তাকিয়ে এটি উন্মুক্ত করেছি। যাতে মানুষ নিজের জমিতে ফসল লাগিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে। তবে কেউ যদি পুনরায় দখল করে মাছ চাষের চেষ্টা করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় বলে তিনি জানান।