

সোমবার ● ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
প্রথম পাতা » সংস্কৃতি ও বিনোদন » মাগুরায় দিনব্যাপী বইমেলা ও পিঠা উৎসব
মাগুরায় দিনব্যাপী বইমেলা ও পিঠা উৎসব
মাগুরা প্রতিনিধি: উৎসবমুখর পরিবেশে তারুণ্যের উৎসবের অংশ হিসেবে মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে অনুষ্ঠিত হয়েছে দিনব্যাপী বইমেলা ও পিঠা উৎসব। সোমবার সকাল থেকে কলেজের প্রশাসনিক ভবন চত্বরে বিভিন্ন বিভাগের স্টলে স্টলে ছিল ছাত্র-ছাত্রীদের তৈরি সারি সারি পিঠার মনোমুগ্ধকর উপস্থাপন ও বেচাকেনা। সঙ্গে রয়েছে ব্যতিক্রমী সব বইয়ের প্রদর্শনী। হরেক রকম শীতের পিঠা,পায়েস আর বইয়ের উপস্থাপনায় জমজমাট হয়ে ওঠে মাগুরার সর্ববৃহৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ প্রাঙ্গণ। কলেজের বিভিন্ন বিভাগের স্টলে স্টলে কেউ বানিয়েছেন ব্যতিক্রমী নামে হৃদয় হরণ পিঠা, পুষ্পা পিঠা, হার্ট অ্যাটাক পিঠা, অন্তরে জ্বালা পিঠা, নবাবি সেমাই, কেউবা বাহারি গোলাপ, বউপিঠা, পুলি পিঠা ও চন্দ্র পুলিসহ নানা নামের ও রংয়ের মুখরোচক পিঠা। নিজেদের তৈরি পিঠা প্রথমবারের মতো সবার সামনে উপস্থাপন করতে পেরে আনন্দ প্রকাশ করেন কলেজের শিক্ষার্থী বিথি খাতুন,তনুশ্রী, রোখসানা, ইকবালসহ অনেকে। তারুণ্যের উৎসবের অংশ হিসেবে মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ কর্তৃপক্ষ এ উৎসবের আয়োজন করে। শিক্ষার্থীদের তৈরিকৃত এসব পিঠা দেখতে স্টলে স্টলে ভিড় করেছে দর্শনার্থীরা। এতে কলেজের হিসাব বিজ্ঞান, ইতিহাস, উদ্ভিদ বিজ্ঞান, মৃত্তিকা বিজ্ঞান, প্রাণীবিদ্যা, গণিত ও বাংলাসহ ১৪টি ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীরা স্টল নিয়ে পিঠা ও বই মেলায় অংশগ্রহণ করেছেন। যা দেখে আনন্দ প্রকাশ করেন আগতরা।
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য নানা ধরনের মুখরোচক এ পিঠা প্রদর্শনী ও বইমেলার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে শিকড়ের সন্ধান দিতে চান বলে জানালেন আয়োজকরা। মেলা বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক সহযোগী অধ্যাপক মিহির কান্তি প্রামানিক বলেন নতুন প্রজন্মকে আমাদের ঐতিহ্য ধরে রাখতে উৎসাহ দিতে এ আয়োজন। নিয়মিত এ ধরনের আয়োজন অব্যাহত রাখতে চাই প্রতিষ্ঠানটি।
মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর রেজভী জামান বলেন জেলার সর্ববৃহৎ এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি থেকে আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্যের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ সকল সুকুমার বৃত্তির চর্চা তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দেয়ার অংশ হিসেবে এ আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিবছর এ ধরনের আয়োজন করার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে ঐতিহ্যবাহী পিঠা ও বইয়ের সাথে যোগসূত্র তৈরি করবে বলে আশা করেন তিনি ।