

শুক্রবার ● ৭ মার্চ ২০২৫
প্রথম পাতা » বিশেষ সংবাদ » খুলনায় ইটভাটা চালু রাখার দাবিতে জেলা প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি
খুলনায় ইটভাটা চালু রাখার দাবিতে জেলা প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি
খুলনায় ইটভাটা চালু রাখার দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা ও পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা কাছে কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে সংশ্লিষ্ট চারটি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এ স্মারকলিপি দেওয়ার আগে নেতৃবৃন্দ অফিস ঘেরাও, বিক্ষোভ ও সমাবেশ করে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করে তারা। সংগঠন গুলো হলো, খুলনা জেলা ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি, ইট কয়লা পরিবহন ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়ন, জেলা ইটভাটা শ্রমিক ইউনিয়ন ও ইট, বালু, ব্যবসায়ী ও পরিবহন এসোসিয়েশন।
স্মারকলিপিতে সংগঠন গুলোর নেতৃবৃন্দ উলেখ করেন প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলে দেশের ইটভাটা সমূহ মাত্র ৫-১০% বায়ু দূষণ করছে, জৈব বস্তু পোড়ানোতে ৪০% এবং যানবাহনের কালো ধোঁয়া ৫০%। পূর্বে ইটভাটার দূষণমাত্রা ছিল ৫০%। বিদ্যমান জিগজ্যাগ ভাটায় আরও অধিকতর উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরিবেশ দূষণ কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া এই শিল্পে প্রায় ৫০ লক্ষ শ্রমিক কর্মরত আছে এবং ৫০ লক্ষ পরিবার বা ২ কোটি মানুষের কাজের ব্যবস্থা হয়েছে। ইটভাটা বন্ধ হয়ে গেলে এই লোকগুলো বেকার হয়ে পড়বে। অন্যদিকে প্রায় প্রতিটি ইটভাটার বিপরীতে ১ কোটি টাকার উপরে ব্যাংক লোন যা প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা। এই ভাটা সমূহ বন্ধ হয়ে গেলে সমূদয় ব্যাংক অনাদায়ী থেকে যাবে। এছাড়া ইটভাটার মালিকগণ বছরে হাজার হাজার কোটি টাকার অধিক রাজস্ব দিয়ে থাকেন।
তাই সমস্যা সমাধানে খুলনা জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সরকারের কাছে ৫ দফা দাবি করেন তারা।
দাবি গুলো হলো, ২০২৫ সালে উন্নত প্রযুক্তির (জিকজ্যাগ) ভাটাগুলি ইট পোড়ানোর মাঝামাঝি মৌসুমে এসে কোন ভাবেই বন্ধ করা যাবে না। ইটভাটাগুলি বন্ধ হলে ইটভাটার ক্ষতিপূরণসহ দেশের দুই কোটি মানুষের রুজি রুটির ব্যবস্থা করা, ইট পোড়ানের জন্য ডিসি লাইসেন্স নবায়ন পরিবেশ অধিদপ্তর লাইসেন্স নবায়নসহ সকল প্রকার লাইসেন্স প্রদান করা, ইটভাটাকে শিল্প হিসাবে ঘোষণা করা ও ২০২৫ সালে ইট পোড়ানের মৌসুম শেষ হলে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে কমিটি গঠন করে ইটভাটা মালিক সমিতির সমন্বয়ে নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করা। এসব দাবি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ইট ভাটা মালিক সমিতির সাথে আলোচনায় না বসলে আগামী ১১ মার্চ কঠিন আন্দোলনে সিদ্ধান্ত গ্রহণে বাধ্য হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ইটভাটা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা মোঃ নাসির ফকির, মোঃ মিজানুর রহমান খোকন, মোঃ বাবু মলিক, মোঃ হায়দার আলী, ইট, বালু, ব্যবসায়ী ও পরিবহন এসোসিয়েশনের নেতা শেখ রফিকুল মোঃ দুলাল মলিক, মোঃ রিয়াদ খান, মোঃ আনিছুর রহমান, ইট কয়লা পরিবহন ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা শেখ মোঃ গণি, মোঃ সেলিম, আব্দুল কুদ্দুস ও মোঃ কালাম প্রমুখ।