

রবিবার ● ১৬ মার্চ ২০২৫
প্রথম পাতা » ব্যবসা-বাণিজ্য » ঈদের পোশাক তৈরীতে ব্যস্ত দর্জিরা
ঈদের পোশাক তৈরীতে ব্যস্ত দর্জিরা
ঈদে তৈরি পোশাকের পাশাপাশি দর্জি দিয়ে বানানো পোশাকেরও চাহিদা থাকে ব্যাপক। এ কারণে ঈদকে ঘিরে ব্যস্ততা বেড়ে যায় দর্জিপাড়ায়। বাড়তি চাহিদা থাকায় পাড়া-মহল্লার দর্জি দোকানের পাশপাশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ঈদের পোশাক তৈরীতে দর্জিরা ব্যস্ত সময় পার করছে।
খুলনার পাইকগাছায় টেইলার্স কারিগররা ঈদ-উল-ফিতরের আগে পোশাক ডেলিভারী দিতে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করছে। মেশিনের ঘটর ঘটর শব্দ চলেছে বিরমহীন। একটানা কাজ করে চলেছে দর্জিরা। এতটুকু যেন দম ফেলার ফুসরত নেই। ঈদ বলে কথা। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সব কাজ শেষ করতে হবে। তাইতো মেশিনের সঙ্গে সমান তালে চলেছে হাত-পা। মেশিনের ঘটর ঘটর শব্দের তালে তৈরী হচ্ছে নানা ডিজাইনের পোশাক পাঞ্জাবী, জামা, শার্ট, সেলোয়ার কামিজ, ফতুয়া, প্যাণ্ট, সুট্যসহ নানা ধরণের পোশাক।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার পৌর বাজার, কপিলমুনি,নতুন বাজার, বাঁকা বাজার, চাঁদখালী বাজার, কাটিপাড়াসহ বিভিন্ন বাজার ও পাড়ায় দর্জিরা দোকান রয়েছে। পাইকগাছা পৌর বাজারে ২০/২৫টি টেইলার্সের দোকান আছে। এর মধ্যে কপোতাক্ষ মার্কেট ও আল-মদিনা মার্কেটে হাসান টেইলার্স, স্টুডেন্ট টেইলার্স, সানমুন টেইলার্স, জেণ্টস টেইলার্স, ফেমাস টেইলার্স, শরীফ টেইলার্স, সুন্দরবন টেইলার্স, মুক্তা টেইলার্স, বর্ণা টেইলার্স এছাড়াও শুধুমাত্র মহিলাদের পোশাক তৈরীর রাজমনি লেডির্স টেইলার্স, স্মার্ট ফ্যাশানসহ ৩/৪ টি টেইলার্স রয়েছে। দর্জি কারিগরা জানান, তারা সকাল ৮টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত একটানা কাজ করে যাচ্ছে। স্টুডেন্ট টেইলর্সের স্বত্তাধিকারী মোমিনুর রহমান জানান, ঈদ বলে কাজের চাপ অনেক বেশী। প্রতিদিন নতুন নতুন পোশাকের অর্ডার নিতে হচ্ছে। জানা গেছে, দর্জির দোকানে ডিজাইন অনুযায়ী প্রতি পিস প্যান্ট সেলাই হচ্ছে ৪শত থেকে ৫শত টাকা, শার্ট ৩শত থেকে ৩শত ৫০ টাকা, মেয়েদের থ্রি পিস প্রকারভেদ অনুযায়ী ২শত ৫০টাকা থেকে ৪শত টাকা, ব্লাউজ পেটিকোট ২শত থেকে ৩শত টাকা, বাচ্চাদের পোশাক ডিজাইনের ওপর নির্ভর করে মজুরি নেওয়া হয়। তিনি আরো জানান, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পোশাক ডেলিভারী দেওয়ার জন্য কারিগররা দিন-রাত কাজ করছে। শরীফ টেইলার্সের মালিক মোশাররফ হোসেন মুন্না জানান, প্যান্ট ও শার্টের নতুন অর্ডার নিচ্ছে না তারা, আগের অর্ডার নেওয়া পোশাক সময়মত ডেলিভারী দেওয়ার জন্য দিন-রাত কাজ করছে। আপন টেইলার্সের কাটিং মাস্টার ফয়সাল আহমেদ বলেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার অর্ডার ভালো। প্রতিদিন অনেক কাপড়ের অর্ডার পাচ্ছি। কাজের চাপে নতুন অর্ডার নেওয়া বন্ধ করব। আল-মদিনা মার্কেটের রাজমনি লেডির্স টেইলর্সের মালিক রতন কুমার বিশ্বাস জানান, মেয়েদের বিভিন্ন পোশাকের মুজরী থ্রি-পিচ কাপড় হিসাবে ৩শ টাকা থেকে সাড়ে ৩শ টাকা, টু-পাট ৩শত, প্লাজু ২শত, লেহাঙ্গা ৪শত, ফ্লোর টার্চ ৫শত টাকা। মহিলা ও বাচ্চাদের পোশাক তৈরীর চাপ বেড়ে গেছে। নিখুত ভাবে পোশাক তৈরী করার জন্য সময় একটু বেশী লাগে। এ জন্য কারিগররা র্নিঘুম কাজ করে চলেছে। ঈদের আগেই পোশাক ডেলিভারী দেওয়ার জন্য দর্জিপাড়ার কারিগররা পোশাক তৈরীতে দিন-রাত কাজ করে চলেছে।