

রবিবার ● ২৩ মার্চ ২০২৫
প্রথম পাতা » ব্যবসা-বাণিজ্য » পাইকগাছায় ঈদের বাজারে জমে উঠেছে কেনাকাটা
পাইকগাছায় ঈদের বাজারে জমে উঠেছে কেনাকাটা
পাইকগাছায় ঈদের বাজার জমে উঠেছে। আর কয়েক দিন পর ঈদ। ঈদ যতই এগিয়ে আসছে ততই দোকানে ভীড় বাড়ছে। বিপনী বিতান গুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। প্রতিটি মার্কেট বা দোকানে ঠাসা রয়েছে ক্রেতায়। ঈদ সামনে রেখে পাইকগাছা বাজারের বিপনী বিতান ও সীট কাপড়ের দোকানগুলি নতুন সাজে সেজেছে। বাহারি নাম ও ডিজাইনের রং-বেরঙ্গের পোশাক পরিচ্ছদ দোকান গুলিতে শোভা পাচ্ছে। কসমেটিকস ও জুতার দোকানে ভীড় লেগেছে। টানপোড়েনের মাঝে সাধ আর সাধ্যের সমন্বয় ঘটিয়ে পরিবারের মুখে হাসি ফুটাতে ঈদ উৎসব পালনের প্রস্তুতি চলছে।
বিভিন্ন বিপনী বিতান ঘুড়ে দেখা যায় এবারের ঈদের বাজারে বেশি চাহিদা থ্রি-পিসের। নারীদের ফ্যাশনে বৈচিত্র আর স্টাইলিশ ভাব মানেই থ্রি পিস। নারীদের থ্রি-পিসের নতুন যোগ হয়েছে ভারতীয় ও পাকিস্থানি স্টোনের থ্রি-পিস। এবছর দেশি থ্রি-পিসের চাহিদা বেশি।তাছাড়া যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পাঞ্জাবির কাট, ডিজাইন, ফেব্রিকসের বৈচিত্র ও কালারে এসেছে পরিবর্তন। ঈদে মহিলা ও শিশুদের পোশাকের চাহিদা বেশি বলে ব্যবসায়ীরা জানান। মহিলাদের পোশাকের মধ্যে থ্রী পিস, বোরকা, লেহেঙ্গা, হিজাব, স্কাপসহ সব ধরনের কাপড়ই ক্রেতারা কিনছেন। আর শাড়ি তো আছেই। ছেলেদের হাফ হাতার গেঞ্জি ও ফিটিং গেঞ্জিসহ নান ডিজাইনের গেঞ্জি।বিভিন্ন ডিজাইনের ছালয়ার কামিজ সাড়ে ৫শত থেকে ৩৫ শত টাকার বিক্রি হচ্ছে, বাচ্চাদের বিভিন্ন ডিজাইনের পোশক সাড়ে ৩শত থেকে ২ হাজার টাকা বিক্রি হচ্ছে, গেঞ্জি ৪শত থেকে ২৫ শত টাকা, বিভিন্ন ডিজাইনের প্যান্ট ৫শত টাকা থেকে ৩ হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ী ফজলু ক্লথ ষ্টোরের স্বত্তাধিকারী ফজলু জানান, এবার ঈদের বাজারে থ্রি পিস, দোপাট্টা, লেহাংগার চাহিদা আছে। এছাড়া সুতির কাজ করা সালয়ার কামিজের চাহিদা রয়েছে। ৫ শত টাকা থেকে ১৫শত টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে এবং বিদেশী কানিশ কাপড়ের চাহিদা রয়েছে, যা বিক্রয় হচ্ছে ৫ হাজার টাকার মধ্যে। দীপ্তি ক্লথ ষ্টোরের মালিক অমরেশ মন্ডল জানান, ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে, বেচাকেনাও ভালো হচ্ছে। স্বাধীন ক্লথ ষ্টোরের মালিক আসাদুজ্জামান টিটু জানান, বিভিন্ন ডিজাইনের থ্রি পিসের চাহিদা বেশি। তার দোকানে সাড়ে ৫ শত টাকা থেকে ৩৫শত টাকার মধ্যেবিক্রি হচ্ছে। পোশাকে বৈচিত্র আর নজরকাড়া ডিজাইন সব বয়সী ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।
নিন্ম ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের পছন্দ বাজার সুন্দরবন মার্কেট। এখানে কিছুটা কম মূল্যে সব রকমের পোশাক পাওয়া যায়। ক্রেতা শরিফা বেগম জানান, বাচ্চাদের পছন্দের ড্রেস কিনতে পেরে বেশ ভাল লাগছে। তবে দামটা একটু বেশী বলে মনে হচ্ছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কেনা কাটা চলছে। উপছে পড়া ভিড় ও গরমের মধ্যে ক্রেতারা হাফিয়ে উঠছে। ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদের আগের দিন পর্যন্ত দোকান গুলোতে ভিড় অব্যহত থাকবে। প্রচন্ড ভিড়ের মধ্যে কেনাকাটা করতে এসে ক্রেতারা কিছুটা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা জানান, পুলিশের টহল থাকায় স্বাচ্ছন্দের সহিত কেনা-কাটা করতে পারছে বলে তারা অভিমত ব্যক্ত করেন।