শিরোনাম:
পাইকগাছা, বুধবার, ২ এপ্রিল ২০২৫, ১৯ চৈত্র ১৪৩১

SW News24
শনিবার ● ২৯ মার্চ ২০২৫
প্রথম পাতা » বিশ্ব » ভয়াবহ ভূমিকম্পে মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে ব্যাপক ক্ষতি
প্রথম পাতা » বিশ্ব » ভয়াবহ ভূমিকম্পে মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে ব্যাপক ক্ষতি
৩৭ বার পঠিত
শনিবার ● ২৯ মার্চ ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ভয়াবহ ভূমিকম্পে মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে ব্যাপক ক্ষতি

---  মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প এবং ৬ দশমিক ৮ মাত্রার পরাঘাতে এ পর্যন্ত অন্তত ১৪৪ জন নিহত হয়েছে এবং ৭৩২ জন আহত হয়েছে। দেশটিতে ক্ষমতাসীন সামরিক বাহিনী একাধিক অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করেছে। মিয়ানমারের সামরিক জান্তা নেতা এ তথ্য জানিয়েছেন।
ওদিকে, থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে নির্মীয়মাণ একটি বহুতল ভবন ভেঙে পড়ে অন্তত ৩ জন নিহত হয়েছে। আরও অন্তত ৮১ জন নির্মাণ শ্রমিক ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে আছে বলে জানিয়েছেন থাইল্যান্ডের উপ-প্রধানমন্ত্রী।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের হিসাবে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার এ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ের ১৭ দশমিক ২ কিলোমিটার দূরে, মাটির ১০ কিলোমিটার গভীরে।
মান্দালয়ে একটি মসজিদ ভেঙে পড়ে প্রাথমিকভাবে ৩ জন নিহত এবং রাজধানী নিপিধোর একটি হাসপাতাল থেকে ২০ জন নিহতের খবর জানা গিয়েছিল।
পরে বিবিসি বার্মিজ জানায়, মিয়ানমারের সামরিক জান্তা নেতা মিন অং হ্লায়িং ভূমিকম্পে শত শত মানুষ হতাহত হওয়ার ওই তথ্য জানান।
কোথায় কোথায় কতজন নিহত হয়েছে সে হিসাব দিয়ে হ্লায়িং বলেছেন, নিপিধোয় ৯৬ জন,সাগাইংয়ে ১৮ জন এবং মান্দালয়ে ৩০ জন নিহত হয়েছে।
মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন তিনি। আহত যারা হয়েছেন তাদের ১৩২ জনই নিপিধোর এবং ৩০০ জন সাগাইংয়ের বাসিন্দা বলে জানান হ্লাইং।
মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে আহতদের ভিড়। বিপুল সংখ্যক রোগী সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। খবর এএফপির।
স্থানীয় সময় শুক্রবার দেশটির রাজধানী নেপিদোতে অবস্থিত এক হাজার শয্যার হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে আহতদের লম্বা সারি দেখা গেছে। কিছু আহত ব্যক্তি ব্যথায় ছটফট করছেন, অন্যরা শঙ্কিত অবস্থায় পড়ে আছেন। স্বজনেরা তাদের সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন, কারও কারও হাতে ইনট্রাভেনাস ড্রিপ লাগানো ছিল।
হাসপাতালটিতে বানের জোয়ারের মতো আসছেন আহতরা-কেউ গাড়িতে, কেউ পিকআপে, আবার কাউকে স্ট্রেচারে করে আনা হচ্ছে। তাদের শরীর রক্তাক্ত এবং ধুলোতে আচ্ছাদিত।
হাসপাতালের একজন চিকিৎসক এএফপিকে বলেন, আমরা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছি। ভীষণ ক্লান্ত। হাসপাতালের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানান, শত শত আহত মানুষ আসছে, কিন্তু এখানে জরুরি ভবনও ধসে পড়েছে। আহতদের দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন মিয়ানমারের সামরিক প্রধান মিন অং হ্লাইং। মিয়ানমার দমকল বিভাগের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, আমরা অনুসন্ধান শুরু করেছি এবং হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যাচাইয়ে ইয়াংগনের আশপাশ ঘুরে দেখছি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসা মান্দালয়ের অনেকের পোস্টে ধসে পড়া ভবন ও রাস্তায় পড়ে থাকা ধ্বংসস্তূপের চিত্র দেখা যাচ্ছে। এসব পোস্টের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স।
শহরটিতে থাকা এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, সবকিছু কাঁপতে শুরু করলে আমরা সবাই ঘর থেকে বেরিয়ে আসি। চোখের সামনে পাঁচ তলা ভবন ধসে পড়তে দেখেছি। আমার শহরের সবাই রাস্তায় নেমে এসেছে এবং কেউ ভবনের ভেতরে ফিরে যেতে সাহস পাচ্ছে না।
তেট নাইং উ নামের আরেক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ধসে পড়ে একটি চায়ের দোকানের ভেতর কয়েকজন আটকা পড়েছেন।
আমরা ভেতরে যেতে পারছি না। পরিস্থিতি খুবই খারাপ, বলেছেন তিনি।
ভূমিকম্পে মান্দালয়ের একটি মসজিদও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্য এক প্রত্যক্ষদর্শী।
মিয়ানমারে একটি মসজিদ আংশিক ধসে পড়ে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছে বলে দুই প্রত্যক্ষদর্শী রয়টার্সকে বলেছেন। তবে এই মসজিদ মান্দালয়েরটাই কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
প্যারিসভিত্তিক একটি বার্তা সংস্থা ভূমিকম্পে মিয়ানমারেই অন্তত ২০ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে।
কম্পন মিয়ানমার সীমান্ত লাগোয়া চীনের দক্ষিণপশ্চিমের প্রদেশ ইউনানেও অনুভূত হয়েছে বলে জানিয়েছে চীনের বার্তা সংস্থা সিনহুয়া।
মিয়ানমারের বৃহত্তম শহর ইয়াংগনের অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, ভূমিকম্পের মধ্যে অনেকেই দৌড়ে ভবনের বাইরে চলে আসে।
ব্যাংককের লোকজনও আতঙ্কে রাস্তায় নেমে আসে বলে জানান সেখানকার প্রত্যক্ষদর্শীরা। হোটেলে থাকা অনেকে গোসলের পোশাক ও সুইমিংয়ের পোশাক পরেই দৌড়ে বেরিয়ে আসেন।
ব্যাংককের কেন্দ্রে একটি অফিস টাওয়ায় অন্তত ২ মিনিট ধরে দুলেছে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা, সেসময় দরজা-জানালা ভেঙে পড়ার তুমুল শব্দও পাওয়া গেছে।
শহরটির একটি বহুতল ভবস ধসে পড়ে অন্তত ১ জন নিহত হয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ডজনের বেশি কর্মীকে উদ্ধারও করা হয়েছে, বলেছে থাইল্যান্ডের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইমার্জেন্সি মেডিসিন।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)