

শনিবার ● ১২ এপ্রিল ২০২৫
প্রথম পাতা » সংস্কৃতি ও বিনোদন » পাইকগাছায় চড়ক পূজা ও চৈত্র সংক্রান্তির মেলা
পাইকগাছায় চড়ক পূজা ও চৈত্র সংক্রান্তির মেলা
প্রকাশ ঘোষ বিধান ঃ চড়ক পূজা বাংলাদেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ লোকোৎসব। বাংলা পঞ্জিকা অনুযায়ী, প্রতিবছর চৈত্র সংক্রান্তির দুই দিন আগে থেকে শুরু হয় ঐতিহ্যবাহী চড়ক পূজা।
খুলনার পাইকগাছা উপজেলার বাজার খোলায় তিন দিনব্যাপীচড়ক পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে গদাইপুর মাঠে দুই দিনব্যাপী চৈত্র সংক্রান্তি মেলা বসে যা শেষ হয় বৈশাখি উৎসবের মধ্য দিয়ে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এই মেলায় মানুষের ঢল নামে। শুধু তাই নয়, প্রায় তিন শত বছরের প্রাচীন এই চড়ক পূজায় দেশ বিভিন্ন স্থান থেকে পূণ্যার্থীরা আসেন। চড়ক পূজা ও মেলা পরিচালনা কমিটি প্রতি বছরের মতো এবারও মেলা সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষে সব প্রস্তুতি নিয়েছেন।
২ এপ্রিল শনিবার মন্দিরে পাশের পুকুর থেকে উত্তোলন করা হবে চড়ক গাছ। একটি লম্বা কাষ্ঠখণ্ডকে বছরভর ডুবিয়ে রাখা হয় জলে। এই কাষ্ঠখণ্ডকে বলে চড়ক কাঠ। চড়ক পুজোর আগের দিন জলেই পুজো করা হয় সেই কাঠকে। এরপর পাট স্নানের মধ্য দিয়ে মন্দিরে মহাদেবের মূর্তি স্থাপনের মধ্যে দিয়ে পূজা শুরু হবে। বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও পূজা চলবে আগামী সোমবার চৈত্র সংক্রান্তি পর্যন্ত। এদিকে পূজা ও মেলা উপলক্ষে এখন প্রতিটি হিন্দু বাড়িতেই এখন অতিথি আপ্যায়ন চলছে।
চড়ক পূজার বিভিন্ন পর্বে কোথাও কোথাও জ্বলন্ত কয়লার ওপর দিয়ে হেঁটে যান সন্ন্যাসীরা। লৌহশলাকা পিঠে ফুটিয়ে নৃত্য করতে থাকেন কোনও কোনও সন্ন্যাসী। কোথাও কোথাও খেজুর গাছের মাথায় চড়ে খেজুর পাড়া আবার সন্ন্যাসীরা কাঁটা গাছের ওপর দিয়ে হেঁটে যান। যেহেতু এই পুজোর মূল কথাই হল কৃচ্ছসাধন, তাই নানা প্রকারে এদিন দেবাদিদেবকে তুষ্ট করার চেষ্টা করেন সন্ন্যাসীরা। বাতাসাকেই প্রসাদ হিসেবে গ্রহণ করেন ভক্তরা। উপকূল এলাকার খুলনা জেলার পাইকগাছা, কয়রা, দাকোব, বটিয়াঘাটা, ডুমরিয়া সাতক্ষীরা জেলার তালা, দেবহাটা, আশাশুনি,শ্যামনগরসহ বহু জায়গায় ঘটা করে পালিত হয় চড়ক পূজা ও চৈত্র সংক্রান্তি মেলা ।