

বুধবার ● ১৬ এপ্রিল ২০২৫
প্রথম পাতা » কৃষি » পাইকগাছায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে
পাইকগাছায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে পাইকগাছায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এখন তীব্র গরম উপেক্ষা করে কৃষকেরা বোরো ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে ধান কাটতে শ্রমিক সংকটে ভুগছেন কৃষকেরা। সোনালী ধানের শীষে কৃষকের হাজারো স্বপ্ন দোল খাচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক ফসল ঘরে তুলতে পারবে এমনটাই স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা।
উপজেলায় পুরাদমে বোরো ধান কর্তন চলছে। নিচু ও মৎস্য লিজ ঘেরে বোরো ক্ষেতের ধান কাঁটা ও মাড়াই চলছে। আবহাওয়া জনিত কারণ ও মৎস্য লিজ ঘের গুলোতে দেরিতে আমনের আবাদ করা হয়। সে জন্য আমন কাটাও দেরিতে শুরু হয়। নতুন বোরো ধান আশানারূপ দামে বিক্রি হচ্ছে। নতুন বোরো ধান মন প্রতি ১৪ শত থেকে ১৫ শত টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ধানের থেকে বিচুলীর চাহিদা ও মুল্য বেশী থাকায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ মৌসুমে উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ৫হাজার ৯শত ৯৫ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হয়েছে। পুরাদমে ধান কাটা চলছে। প্রায় ৪০ ভাগ ক্ষেতের ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে, ৪০ ভাগ কর্তন চলছে আর ২০ ভাগ এখনও কাঁচা রয়েছে। হেক্টর প্রতি গড়ে ফলন ৪.৬৯ মেট্রিকটন হারে ফলন পাওয়া যাচ্ছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ফলন আশানারূপ হয়েছে।
কৃষকরা জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, চৈত্র মাসের অতি খরা,ধানখেতে পোকামাকড়ের আক্রমণ,কিছুটা ব্লেস্ট রোগ হয়েছে। তারপরও চলতি মৌসুমে বোরো ধানের ফলন ভালো হয়েছে। এখন আবার কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির আশংকার ফলে বোরো ধানের ফলন ঘরে তুলা নিয়ে কৃষক-কৃষানীরা দুশ্চিন্তায় সময় পার করছেন।
উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের হিতামপুর ব্লকের কৃষক মিজানুর রহমান জানান, তার ৪ বিঘা জমিতে গত বারের তুলনায় এ বছর ফলন ভালো হয়েছে। তোকিয়ার কৃষক শফিকুল জানায়, বোরো আবাদে খরচ বেশি হয। ধানের দাম ভালো ও অধিক দামে বিচুলী বিক্রি হওয়ায় খরচ পুশিয়ে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ একরামুল হোসেন জানান, চলতি মৌসুমে বোরোর ফলন ভাল হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ও ক্ষেত সঠিক ভাবে পরিচর্যা করায বোরোর ফলন ভাল হয়েছে। কৃষকরা ধান ও বিচুলীতে অধিক দাম পাওয়ায় বোরো চাষে তাদের আগ্রহ বেড়েছে।