

সোমবার ● ২১ এপ্রিল ২০২৫
প্রথম পাতা » অপরাধ » সুন্দরবনে করিম বাহিনীর ২ সদস্য আটকসহ ডাকাতের হাতে জিম্মি পাইকগাছার দুই জেলে উদ্ধার
সুন্দরবনে করিম বাহিনীর ২ সদস্য আটকসহ ডাকাতের হাতে জিম্মি পাইকগাছার দুই জেলে উদ্ধার
কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ সুন্দরবনের দুর্ধর্ষ ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর ২ সহযোগীসহ ডাকাতদের হাতে জিম্মি থাকা পাইকগাছার ২ জেলেকে উদ্ধার আটক করা হয়েছে।
আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন, খুলনা জেলার দাকোপ থানার বাসিন্দা শাজাহান মোল্লা (৪৮) এবং বাগেরহাট জেলার মোংলা থানার বাসিন্দা সুমন হাওলাদার (৩০)। উদ্ধার হওয়া জেলেরা হলেন, খুলনা জেলার পাইকগাছা থানার বাসিন্দা আজিজুল শেখ (৫৫) এবং আলম গাজী (৩৭)।
২০ এপ্রিল রোববার সন্ধ্যায় কোস্টগার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, কুখ্যাত ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর অন্যতম সহযোগীরা খুলনার দাকোপ উপজেলাধীন সুন্দরবন সংলগ্ন কামারখোলা এলাকায় অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ অবস্থান করছে। ১৯ এপ্রিল শনিবার রাত ১১টায় কোস্টগার্ড এবং পুলিশের সমন্বয়ে একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালীন ওই এলাকা থেকে একটি একনলা বন্দুক, ২ রাউন্ড তাজা কার্তুজ এবং এক রাউন্ড ফাঁকা কার্তুজসহ শাজাহান মোল্লাকে (৪৮) আটক করা হয়।
এছাড়া ২০ এপ্রিল রোববার রাত ৩টায় সুন্দরবন সংলগ্ন নলিয়ান ঠাকুরবাড়ি খেয়াঘাট এলাকা হতে করিম শরীফ বাহিনীর আরেক সহযোগী সুমন হাওলাদারকে (৩০) আটক করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আটককৃতরা দীর্ঘদিন ধরে কুখ্যাত ডাকাত করিম শরীফের সঙ্গে ডাকাতি এবং ডাকাত দলকে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও রসদ সরবরাহ করে সহযোগিতা করে আসছে।
অপর দিকে কোস্টগার্ডের অভিযানে রোববার ভোর ৫টায় সুন্দরবনের আড়শিবসা নদী সংলগ্ন এলাকা থেকে কুখ্যাত ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর কাছে জিম্মি থাকা ২ জেলেকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত জেলেরা গত ৮ এপ্রিল থেকে ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর কাছে জিম্মি ছিল বলে জানা যায়।
উদ্ধারকৃত অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ আটককৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দাকোপ থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং উদ্ধারকৃত জেলেদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে উপকূলীয় ও নদীতীরবর্তী অঞ্চলে ২৪ ঘণ্টাব্যাপী টহল কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে, যার ফলে এসব অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকাংশে উন্নত হয়েছে। সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে কোস্টগার্ডের এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।