

রবিবার ● ২৭ এপ্রিল ২০২৫
প্রথম পাতা » বিশেষ সংবাদ » বেতগ্রাম-পাইকগাছা-কয়রা সড়ক প্রশস্ত ও বাঁক সরলীকরণে জমি অধিগ্রহণে গাফিলতিতে ফেরত যাচ্ছে ৩৯ কোটি টাকা
বেতগ্রাম-পাইকগাছা-কয়রা সড়ক প্রশস্ত ও বাঁক সরলীকরণে জমি অধিগ্রহণে গাফিলতিতে ফেরত যাচ্ছে ৩৯ কোটি টাকা
পাইকগাছা প্রতিনিধি ঃ জুনের আগে জমি অধিগ্রহণ ও অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্পের টাকা ছাড় করাতে না পারলে বেতগ্রাম- পাইকগাছা- কয়রা সড়ক প্রশস্ত ও বাঁক সরলীকরণের ৩৯ কোটি টাকা ফেরত যাবে। খুলনা জেলার বেতগ্রাম -পাইকগাছা- কয়রা সড়কটি প্রশস্ত ও বাঁক সরলীকরণের জন্য ২০২০ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পটি নেওয়া হয়। ওই প্রকল্পের অধীনে সড়কের ৩৭টি বাঁক সরলীকরণের মধ্যে সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার অংশে বাঁক সরলীকরণ হলেও খুলনার পাইকগাছা- কয়রার অংশে খুলনা জেলা প্রশাসনের গাফিলতির জন্য এখনও জমি অধিগ্রহণ সম্ভব হয়নি। এছাড়া ঠিকাদারের উদাসীনতায় কয়েকবার মেয়াদ বাড়ানোর পরও এ প্রকল্পের মাত্র ৬০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পের কাজ যথাসময়ে শেষ না করায় ৩৯ কোটি টাকা ফেরত যাচ্ছে। খুলনার কয়রা, পাইকগাছা, সাতক্ষীরার তালা ও ডুমুরিয়া উপজেলার বেতগ্রাম পর্যন্ত ৬৪ কিলোমিটারের এ সড়কটি শেষ হয়েছে খুলনা-সাতক্ষীরা আঞ্চলিক মহাসড়কের চুকনগরে। সড়কের কিছু অংশ সাতক্ষীরার তালা উপজেলার মধ্যে পড়েছে। খুলনা সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের আওতাধীন সড়কটি যথাযথ মানে উন্নীতকরণ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নের জন্য ২০২০ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুমতি পায় মোজাহার এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। শুরুতে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৩৩৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। পরে তা বেড়ে ৩৭৯ কোটি ৪৮ লাখে এসে দাঁড়ায়। একই সঙ্গে প্রকল্পের মেয়াদ দুই দফা বাড়িয়ে চলতি বছরের ৩০ জুনে শেষ হবে। সড়কের বাঁক সরলীকরণ ও সড়ক প্রশস্ত না হওয়ায় প্রকল্পের কোনো সুফল পাচ্ছে না চার উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রকল্পের কাজের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি শুরু থেকে কাজের মেয়াদ ও বরাদ্দ বাড়াতে ধীরগতির কৌশলে এগিয়েছেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, বাঁক সরলীকরণ কাজ ঠিক মত না হওয়ায় সেখানে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতে এসব গর্তে পানি জমে পরিণত হচ্ছে মরণফাঁদ। প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। সড়কের কিছু স্থানে কার্পেটিংয়ের কাজ করা হলেও ঢালাই উঠে গর্ত দেখা দিয়েছে।
খুলনা সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক মোঃ তানিমুল হক জানিয়েছেন, ৬৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ সড়কে ৩৭টি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক রয়েছে। এ বাঁকগুলোর মধ্যে সাতক্ষীরা অংশের ৭টিতে জমি অধিগ্রণ হয়েছে। আর খুলনা অংশে জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় কাজ আটকে রযেছে। তিনি আরও বলেন, জেলা প্রশাসকের প্রতিটি সমন্বয় সভায় এ প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপই নেওয়া হয় না। চলতি বছরের জুন মাসের আগে জমি অধিগ্রহণ না হলে এবং অর্থ মন্ত্রালয় থেকে প্রকল্পের টাকা ছাড় করাতে না পারলে এ প্যাকেজের অর্থ ফেরত যাবে। তখন চাইলেও কাজ করা সম্ভব হবে না। খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, শিগগিরই জমি অধিগ্রহণের জটিলতা কেটে যাবে। এ ব্যাপারে জোর প্রচেষ্টা চলছে।