

রবিবার ● ২৭ এপ্রিল ২০২৫
প্রথম পাতা » প্রকৃতি » পাইকগাছায় বাণিজ্যিকভাবে কলার আবাদ বেড়েছে
পাইকগাছায় বাণিজ্যিকভাবে কলার আবাদ বেড়েছে
স্বল্প খরচে লাভজনক হওয়ায় পাইকগাছা বাণিজ্যিকভাবে কলার আবাদ বেড়েছে। বিভিন্ন জাতের কলা চাষে সচ্ছলতা ফিরেছে কৃষক পরিবারে।
উপকূলের পাইকগাছার মাটি ও আবহাওয়া কলা চাষের উপযোগী। এ অঞ্চলের কৃষক বিভিন্ন জাতের কলা চাষ করছেন। সাগর, সবরি, চিনিচাম্পা, উন্নত জাতের কাঁচকলা ও আনাজিসহ বিভিন্ন প্রজাতির কলা চাষ হচ্ছে।
কলা চাষে খরচ কম এবং লাভ বেশি হওয়ায় ফলটি উৎপাদনে কৃষকের আগ্রহ বেড়েছে। কলাচাষিরা বলছেন, একবার চারা রোপণ করে ২৪ মাসে ৩ বার কলার ফলন পাওয়া যায়। খরচ কম অথচ লাভ বেশি, তাই পাইকগাছার চাষিরা কলা চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। ধান, পাটসহ প্রচলিত অন্যান্য ফসলের তুলনায় কলা চাষে শ্রম খুবই কম। বিক্রির ক্ষেত্রেও ঝামেলা নেই। কলার বাজারদর সহজে ধস নামে না। তাছাড়া সারা বছরই কলার চাষ করা যায়। আগামীতে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ একরামুল হোসেন বলেন, উপজেলায় উৎপাদিত কলার মান বজায় রাখতে কৃষি বিভাগ কৃষকদের সার্বক্ষণিক সহায়তা ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। কলা চাষে বেশি লাভ হওয়ায় এলাকার অন্য কৃষকরাও কলা আবাদের কথা ভাবছেন। কলাচাষিদের বিভিন্ন সমস্যা ও সমাধানে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে থাকছেন। অন্যদিকে ব্যবসায়ী ও কৃষকদের কলাতে কার্বাইড ও বিষ স্প্রে না করার জন্যও পরামর্শ দেন।