রবিবার ● ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » কৃষি » পাইকগাছায় রোপা আমনের আবাদ পুরাদমে এগিয়ে চলেছে
পাইকগাছায় রোপা আমনের আবাদ পুরাদমে এগিয়ে চলেছে
প্রকাশ ঘোষ বিধান, ॥
পাইকগাছায় রোপা আমন ধানের চারা রোপন পুরাদমে এগিয়ে চলেছে। কৃষকরা আমনের আবাদ নিয়ে ব্যাস্ত সময় কাঁটাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও আবহাওয়া জনিত কারণে উপকূল এলাকায় কৃষির মৌসুম কিছুটা দেরিতে শুরু হয়। এ জন্য লবণাক্ত উপকূল এলাকার পানি ও মাটি আমন চাষের তৈরী করতে কিছুটা সময় বেশি লাগে। তাছাড়া মৎস্য লীজ ঘের গুলো কিছুটা নিচু হওয়ায় আমন চাষের উপযোগি করতে আরো বেশি লাগে। সে কারণে উপকূলের এ অঞ্চলে কৃষির আবাদ অন্যান্য এলাকা থেকে ২০ থেকে ১ মাস পরে শুরু হয়। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে উপজেলার ১০টি ইউনিয়ানে ১৬ হাজার ৯৩০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে স্থানীয় জাতের ধান রয়েছে ১ হাজার হেক্টর। স্থানীয় জাত ঘুমশি ও জামায়বাবু জাতের ধান লাগানো হয়েছে। এই জাতটি অধিক পানিতেও টিকে থাকতে পারে। ইতি মধ্যে প্রায় ১৪ হাজার ৮শ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ সম্পন্ন হয়েছে। কৃষকরা জমি তৈরি ও চারা রোপন নিয়ে ব্যাস্ত দিন পার করছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এ বছর কোন বীজতলার ক্ষতি হয়নি। উপজেলার গদাইপুর গ্রামের কৃষক রফিকুল, শান্তি রঞ্জন, গোপালপুর গ্রামের অনুকুল জানায়, এ বছর বীজতলার চারা নষ্ট হয়নি। তবে আউশ ধানের চাষ করতে দেরি হওয়ায় আমনের চাষও দেরিতে শুরু হয়েছে। এলাকায় চাহিদার তুলনায় ধানের চারা কম থাকায় বিভিন্ন এলাকা থেকে অধিক মূল্য দিয়ে ধানের চারা ক্রয় করতে হচ্ছে। কৃষকরা জানায়, তালা, চুকনগর ও ডুমুরিয়া এলাকা থেকে ধানের চারা সংগ্রহ করে আমনের আবাদ করতে কৃষকদের অধিক পয়সা খরচ করতে হচ্ছে। এতে কৃষকদের খরচও বেড়ে যাচ্ছে। তারপরও রোপা আমনের আবাদ নিয়ে কৃষকরা ব্যাস্ত সময় কাঁটাচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এএইচএম জাহাঙ্গীর আলম জানান, উপকূলের পাইকগাছা অঞ্চলের চাষাবাদ কিছুটা আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে। অন্যান্য এলাকা থেকে এ এলাকার কৃষি কাজ কিছুটা দেরিতে শুরু হয়। আমনের আবাদ পুরাদমে এগিয়ে চলেছে। কয়েকদিনের মধ্যে আবাদ সম্পন্ন হবে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমনের আবাদ ভাল হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।