রবিবার ● ৯ অক্টোবর ২০১৬
প্রথম পাতা » স্বাস্থ্যকথা » ডুমুরিয়ায় ৫০ শয্যার হাসপাতাল লেখা থাকলেও বাস্তবে রয়েছে ৩১ শয্য
ডুমুরিয়ায় ৫০ শয্যার হাসপাতাল লেখা থাকলেও বাস্তবে রয়েছে ৩১ শয্য
অরুন দেবনাথ,ডুমুরিয়া
ডুমুরিয়া উপজেলা হাসপাতালের নাম ফলকে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল লেখা থাকলেও বাস্তবে রয়েছে মাত্র ৩১ শয্যা বিশিষ্ট। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল লেখার পর পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও তা বাস্তবে পরিনত হয়নি।কবে নাগাত এ লেখা বাস্তবায়িত হবে,তা জানে না কতৃপক্ষ।এ দিকে হাসপাতালে নুতন এক্সে-রে মেশিন স্থাপনের পর দু‘বছর পেরিয়ে গেলেও প্রয়োজনিয় অন্যান্য উপকরনের অভাবে তা আজও অকেজো হয়ে বসে আছে। আলট্রাসোনো মেশিনটি উপযুক্ত জনবলের অভাবে চলছে নামে মাত্র।নামে বড় হাসপাতাল হলেও,কামে নেই তার বাস্তবতা।একটুতেই পাড়ী জমাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অথবা কোন ক্লিনিকে। সব মিলে ভোগান্তীর শেষ নেই ডুমুরিয়াবাসির। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাযায় ডুমুরিয়া হাসপাতালটি ২০১১ সালের ২ আগষ্ট স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রনালয়ের আওতায় ৩১ শয্যা থেকে উনীœত হয়ে ৫০ শয্যা বিশিষ্টে অনুমোদিত হয়।সেই থেকে আজও কাগজ কলম ও হাসপাতালের নাম ফলক পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রয়েছে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল। কিন্ত বাস্তবে তার নেই কোন মিল। দির্ঘ প্রতিক্ষা ও চাওয়া-পাওয়ার এক পর্যায়ে ২০১৪ সালের ১৯ জুন হাসপাতালটিতে স্থাপিত হয় আলট্রাসোনো গ্রাফী ও এক্সে-রে মেশিন।তাও রয়েছে নামে মাত্র।উপযুক্ত জনবলের অভাবে আলট্রাসোনো গ্রাফী মেশিনটি চলছে নামে মাত্র আর উপকরনের অভাবে আজও অকেজো হয়ে বসে আছে এক্স-রে মেশিনটি। চিংড়ার আঃ হামিদ,শোভনার আছাবুর রহমার,কালিকাপুরের কার্তিক মন্ডল সহ চিকিৎসাধীন অনেকেই জানান ছোট-খাট অসুখ বিসুখে আমাদের খুমেক হাসপাতার সহ বিভিন্ন ক্লিনিকে পাড়ী জমাতে হয়।জানিনা কবে এ সমাস্যার সমাধান হবে।উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এএসএম মারুফ হাসান বলেন ৫০শয্যা বিশিষ্ট কায্যক্রম পরিচালনার জন্য ২৮ জন জনবল সহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য উপকরন আমাদের নেই।এ বিষয়টি উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের নলেজে রয়েছে।সর্ব শেষ গত ২৩ আগষ্ট বিস্তারিত বর্ননা সহ লিখিত ভাবে উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের নিকট প্রেরন করা হয়েছে।এ প্রসংগে খুলনা জেলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভারপ্রাাপ্ত সিভিল সার্জন ডাঃ মঈন উদ্দিন জানান কবে নাগাত ৫০ শয্যার কার্যক্রম চালু হবে তা সঠিক বলা কষ্ট। কারন এটি মন্ত্রনালয়ের ব্যাপার। তবে হয়তো খুব তাড়াতাড়ি এর কার্যক্রম চালু সহ অন্যান্য সমাস্যার সমাধান হবে বলে আশাকরি।