শিরোনাম:
পাইকগাছা, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩১

SW News24
শুক্রবার ● ১৪ নভেম্বর ২০১৪
প্রথম পাতা » পরিবেশ » মাছ ধরার টোপ হিসেবে নালসো পিঁপড়ার ডিম ও বাচ্চা ব্যবহার করায় জীববৈচিত্র হুমকির মুখে
প্রথম পাতা » পরিবেশ » মাছ ধরার টোপ হিসেবে নালসো পিঁপড়ার ডিম ও বাচ্চা ব্যবহার করায় জীববৈচিত্র হুমকির মুখে
৮২৬ বার পঠিত
শুক্রবার ● ১৪ নভেম্বর ২০১৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

মাছ ধরার টোপ হিসেবে নালসো পিঁপড়ার ডিম ও বাচ্চা ব্যবহার করায় জীববৈচিত্র হুমকির মুখে

প্রকাশ ঘোষ বিধান ॥ পাইকগাছা সহ উপকূল অঞ্চলের বিভিন্ন বাগান থেকে নালসো পিঁপড়ার বাসা ভেঙে ডিম ও বাচ্চা সংগ্রহ করায় নালসোর বংশ বিস্তার যেমন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে তেমনি জীববৈচিত্র হুমকির মুখে পড়ছে।

সৌখিন মাছ শিকারী বা মাছ শিকারীদের কাছে নালসোর ডিমের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। মাছ ধরার টোপ হিসাবে যে কোন উপাদান থেকে নালসোর ডিম খুব উত্তম। নালসোর ডিমের টোপ বা চারে মাছ দ্রুত এসে ধরে। এ কারণে মাছ শিকারীদের কাছে নালসোর ডিমের চাহিদা থাকায় এলাকার বিভিন্ন বাগান থেকে নালসোর ডিম সংগ্রহ চলছে। সংগ্রহকারীরা নালসোর ডিম সাতীরা ও যশোরে প্রতিকেজী ৫ শত টাকা পাইকারী দরে বিক্রি করছে। সংগৃহীত ডিম ঢাকা সহ বিভিন্ন জেলায় মৎস শিকারীদের কাছে ১ হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। নালসো পিঁপড়া বাগানে বিভিন্ন গাছের পাতা মোড়াইয়ে বাসা তৈরি করে। গাছের পাতা দিয়ে বাসা তৈরির সময় নালসো তাদের লালা দিয়ে পাতার সঙ্গে পাতা মুড়িয়ে গোল বাসা তৈরি করে। পাতার সঙ্গে পাতা মোড়ানো নালসোর লালা টিসুপেপারের মত দেখা যায়। বাসার ভিতরে বিভিন্ন ধাপে ধাপে লালা দিয়ে বাসার ভিতরে কুটরি তৈরি করে। নালসোর ডিম খুব ছোট থেকে বড় বড় মুড়ির মত তৈরি হওয়ার পর বাচ্চায় পরিণত হয়। ধপধপে সাদা বাচ্চাগুলি হাত পা সহ যেন ঘুমানো অবস্থায় দেখা যায়। ডিম সংগ্রহকারীরা এক একটি বাসা ভেঙে ৫’শ থেকে ৭’শ গ্রাম ডিম ও বাচ্চা পায়। ডিম সংগ্রহকারীরা লম্বা বাঁশের মাথায় কাপড় গোল পাত্র তৈরি করে বাসা ভেঙে ডিম সংগ্রহ করে। তারা প্রতিদিন বিভিন্ন বাগান থেকে বাসা ভেঙে ৪/৫ কেজি ডিম সংগ্রহ করতে পারে বলে জানা গেছে। ডিম সংগ্রহকারী সাতীরা জেলার বুধহাটা গ্রামের রহিম সরদার, ধুলিয়ারের করিম মোড়ল জানায় তারা প্রতিদিন পাইকগাছা সহ বিভিন্ন এলাকার বাগান থেকে ডিম সংগ্রহ করে সাতীরায় নিয়ে পাইকারী বিক্রি করে আসে। এই ডিম যশোর ও ঢাকায় সরবরাহ করা হয়। সেখানে ডিমের প্রতিকেজি ৮শত থেকে ১ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয় বলে জানায়। শীত শুরু হলে নালসোর ডিম পাওয়া না যাওয়ায় তারা প্রতিদিন বিভিন্নবাগান থেকে ডিম সংগ্রহ করছে। নালসো পিঁপড়া বাগানের বিভিন্ন গাছে গাছে দেখা যায়। তারা গাছের পাতা মুড়িয়ে বাসা করে বসবাস করে। নালসো কোন উপকারে না আসলেও তেমন কোন তি করে না। তবে বিভিন্ন ফলের মুকুল বা কচি পাতা মুড়িয়ে তারা পোকামাকড় ধরে খায়। এলাকার বিভিন্ন বাগান থেকে নালসো পিঁপড়ার বাসা ভেঙে ডিম ও বাচ্চা সংগ্রহ করায় নালসোর বংশ বিস্তার মারাত্বকভাবে ব্যহত হচ্ছে ও পাশাপাশি জীববৈচিত্র হুমকির মুখে পড়ছে। এভাবে নালসোর বাসা ভেঙে ডিম ও বাচ্চা সংগ্রহ করলে জীববৈচিত্র থেকে এক সময় নালসো পিঁপড়া হারিয়ে যাওয়ার সমুহ সম্ভাবনা রয়েছে।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)