শুক্রবার ● ২৫ নভেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » অর্থনীতি » পাইকগাছায় হাঁট-বাজারে শীতকালীন সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ; বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে
পাইকগাছায় হাঁট-বাজারে শীতকালীন সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ; বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে
এস ডব্লিউ নিউজ ॥
পাইকগাছার হাঁট-বাজারে শীতকালীন সবজি’র পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা। আবার বিভিন্ন বাজারে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন দর। এক বাজার থেকে অপর বাজারে কেজি প্রতি ৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে এমন অভিযোগও রয়েছে অহরহ। এ অবস্থায় মৌসুমের শুরুতেই সবজি কিনতে গিয়ে সব চেয়ে বিপাকে রয়েছেন মধ্যবিত্ত ও নিু আয়ের মানুষেরা। বিভিন্ন হাঁট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি হাঁটে পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে শীতকালীন সবজি। কিন্তু সরবরাহ বেশি থাকলেও দাম নিয়ে নানা অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা। বর্তমানে কেজি প্রতি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, সিম ও কাঁচামরিচ ৫০ টাকা, বেগুন ৪৫ টাকা, মেটেআলু ৪০ টাকা, ফুলকপি, ওলকপি, কাচকলা, বরবটি, কঁচু ৩৫ টাকা, বাঁধাকপি, মিষ্টিকুমড়ো, গোলআলু ৩০ টাকা, বিভিন্ন ধরণের শাক ৩০ টাকা। ক্রেতা বায়েজীদ গাজী জানান, উপজেলার প্রত্যেকটি হাঁটে এখন পর্যাপ্ত শীতকালীন সবজি সরবরাহ রয়েছে। সে অনুযায়ী দাম কিছুটা কম থাকার কথা থাকলেও বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। ৩৫ টাকার নিচে কোন সবজি কেনা যাচ্ছে না। আবার পৌর বাজারে একদাম, সরল বাজারে আরেক দাম, গদাইপুর বাজারে আরেক রকম দাম। এতে করে সবজি কিনতে গিয়ে আমাদের মতো নিু আয়ের মানুষেরা পড়ছি বিপাকে। সবজি কেনা শেষে অন্যান্য সামগ্রী কেনার আর সামর্থ থাকে না। বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার না থাকায় হাঁট বাজার গুলোতে বিক্রেতারা ইচ্ছে মতো দাম হাকিয়ে নিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন নাগরিক কমিটির সভাপতি মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর। এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে সরল বাজারের ব্যবসায়ী মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, স্থানীয় ভাবে এলাকায় তেমন কোন সবজির আবাদ হয় না। যার ফলে দূর দূরান্ত থেকে সবজি কিনে আনতে হয়। এতে বাড়তি পরিবহন খরচ হয় এবং বর্তমানে পাইকারী দামও একটু বেশি রয়েছে। যার কারণে সবজির দাম একটু বেশি মনে হচ্ছে। সবজির মূল্য স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিত বাজার মনিটরিং এর জন্য জোরদাবী জানিয়েছেন সচেতন এলাকাবাসী।