শুক্রবার ● ৯ ডিসেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » সর্বশেষ » দাকোপে জমে উঠেছে জেলা পরিষদ নির্বাচন ঃ প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীদের পদচারনায় মুখর গ্রামাঞ্চল
দাকোপে জমে উঠেছে জেলা পরিষদ নির্বাচন ঃ প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীদের পদচারনায় মুখর গ্রামাঞ্চল
আজগর হোসেন ছাব্বির,দাকোপ
আসন্ন খুলনা জেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে দাকোপের সর্বত্র প্রার্থীদের নিয়ে ভোটার থেকে সাধারন মানুষ আলোচনা সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠেছে। শহর গ্রাম সকল স্থানে মেতে উঠেছে নির্বাচনী আড্ডা। প্রার্থীদের অতীত বর্তমান সেবামূখী কর্মকান্ড আর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষন। চেয়ারম্যান অপেক্ষা সদস্য প্রার্থীরা দিনরাত নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।
আগামী ২৮ ডিসেম্বর জনপ্রতিনিধিদের সরাসরি ভোটে সারা দেশের ন্যায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে খুলনা জেলা পরিষদ নির্বাচন। নতুন নিয়মে প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচনকে ঘিরে গ্রামাঞ্চলে এক ধরনের উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলের কোন প্রার্থী না থাকলেও দাকোপে আওয়ামীলীগের সাথে আওয়ামীলীগের প্রতিদ্বন্দিতার আভাষ পাওয়া যাচ্ছে। সাধারন সদস্য পদে দাকোপের ৯ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত হয়েছে ১ ও ২ নং ওয়ার্ড। সরেজমিন নির্বাচনী এলাকা ঘুরে এবং ভোটারদের সাথে কথা বলে ধারনা করা যাচ্ছে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ বেশ এগিয়ে। এ পদে অপর ২ প্রার্থী একই দলের শেখ আলী আকবর ও অজয় সরকারের প্রকাশ্যে তেমন কোন প্রচারনা দেখা যাচ্ছেনা। ভোটারদের মাঝে মুল আকর্ষন হয়ে দাড়ীয়েছে সদস্য প্রার্থীরা। সদস্য প্রার্থীদের তৎপরতায় ভোটার জনপ্রতিনিধিদের কদর অনেকাংশে বেড়ে গেছে। ১ নং ওয়ার্ড তথা চালনা পৌরসভা, পানখালী, তিলডাঙ্গা, কামারখোলা ও সুতারখালী ইউনিয়নের মেয়র কাউন্সিলর চেয়ারম্যান মেম্বরদের ভোট নিজেদের অনুকুলে আনতে প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীরা দিনরাত গনসংযোগে ব্যাস্ত সময় পার করছেন। এই ওয়ার্ডে ৪ প্রার্থীর মধ্যে কে এম কবির হোসেন উপজেলা আ’লীগের সমর্থিত প্রার্থী। বিগত পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দিতায় নেমে শেষ পর্যন্ত দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাড়ান। কালাবগী ৮ নং ওয়ার্ড সভাপতি ও সুতারখালী ইউনিয়ন আ’লীগের সহসভাপতি কবির হোসেন এলাকায় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক হিসেবে পরিচিত। ইতিমধ্যে তিনি স্কুল মাদ্রাসা মসজিদসহ সেবা মুলক কাজে সাধারনের নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছেন। এই ওয়ার্ডে তাঁর সাথে প্রতিদ্বন্দিতার আভাষ পাওয়া যাচ্ছে আ’লীগসমর্থক তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জালাল গাজীর। এ ছাড়া অপর ২ প্রার্থী সাবেক ছাত্রনেতা উপজেলা আ’লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক গোলাম মোস্তফা খান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বর্তমান খুলনা বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদের সভাপতি শেখ রেজাউল করিম রেজা। ২ নং ওয়ার্ড তথা বাজুয়া, দাকোপ, কৈলাশগঞ্জ, লাউডোপ ও বানীশান্তা ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত নির্বাচনী এলাকায় সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন ২ জন প্রার্থী। লাউডোপ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শেখ যুবরাজ এবং উপজেলা আ’লীগনেতা এ্যাডঃ রজত কান্তি শীল। জানা গেছে ২ নং ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দি ২ প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে। এ ছাড়া সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড নং ১ তথা দাকোপের ৯ ইউনিয়ন ও চালনা পৌরসভা এবং কয়রার ৫ ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত নির্বাচনী এলাকা। এখানে প্রতিদ্বন্দি ২ প্রার্থীর মধ্যে দাকোপ উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা আ’লীগের সদস্য জয়ন্তী রানী সরদার এবং দাকোপ উপজেলা মহিলা আ’লীগনেত্রী বিজলী বৈদ্য। প্রথমবারের নতুন নিয়মের এই নির্বাচনে কারা বসবেন জেলা পরিষদে এ নিয়ে সব মহলে চলছে জল্পনা কল্পনা। নির্বাচনে প্রতিক বরাদ্দের সাথে প্রার্থীরা পুরোদমে মাঠে ঝাপিয়ে পড়বেন সেই আলামত ইতিমধ্যে ফুটে উঠেছে।