শিরোনাম:
পাইকগাছা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩১

SW News24
শনিবার ● ৭ জানুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » পরিবেশ » আশাশুনি টু ঘোলা সড়কটি এখন রাস্তা নয়, যেন মরন ফাঁদ
প্রথম পাতা » পরিবেশ » আশাশুনি টু ঘোলা সড়কটি এখন রাস্তা নয়, যেন মরন ফাঁদ
৫২৪ বার পঠিত
শনিবার ● ৭ জানুয়ারী ২০১৭
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

আশাশুনি টু ঘোলা সড়কটি এখন রাস্তা নয়, যেন মরন ফাঁদ

---

মোঃ নুর আলম, আশাশুনি, সাতক্ষীরা ॥ সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনির ঘোলা সড়কে আর কত দূর্ঘটনা দেখতে চায় উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ। সরকার আসে আর যায় রাস্তার কোন পরিবর্তন হয় না। শুধু আশার বাণী শোনায় আশার বাণী শুনতে শুনতে এলাকাবাসী নাকাল হয়ে পড়েছে খানা খন্দে। এ রাস্তাটিতে মানুষ যখন হাটা চলাফেরা করে তখন মনে হয় যে অসুস্থ্য রোগী চলাফেরা করছে। যখন এ্যাম্বুলেন্স যোগে ডেলিভারী রোগী নিয়ে যাওয়া হয় তখন পথেই রোগী ডেলিভারী হয়ে যায়। যখন বড় যান বাহন যোগে মালপত্র নিয়ে যাওয়া হয় তখন প্রায়ই দূর্ঘটনা লেগে থাকে। এ রাস্তাটি এখন রাস্তা নয় এখন যেন মরণ ফাঁদ। যখন পথচারীরা চলা ফেরা করে তখন সরকার বাহাদুরের বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনা করতে দেখা যায়। এ রাস্তাটি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে সর্বত্রই। বর্তমান সরকার ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত করতে যাচ্ছে দেশকে। কিন্তু রাস্তাটি দেখে মনে হয় দেশে কোন দায়িত্বশীল কর্তা নেই। এ রাস্তা দিয়ে হাজার হাজার লোক সাতক্ষীরা জেলা শহর সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াত করার একমাত্র রাস্তা। এই রাস্তা দিয়ে বাস, মিনিবাস, এ্যাম্বুলেন্স, ট্রাক, নছিমন, করিমন, ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল ইত্যাদি চলাচল করে থাকে। যখন ভারী যানবাহন চলাচল করে তখন দূর্ঘটনা লেগেই থাকে। পুরো রাস্তাটি খানা খন্দে ভরে গেছে। পিচ উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তাটি পার্শ্ববর্তী আশাশুনি বাসস্ট্যান্ড, হাড়িভাঙ্গা বাজার, মহিষকুড় মৎস্যসেট, নাকতাড়া-কালিবাড়ী বাজার, মাড়িয়ালা মৎস্য সেট ও হিজলিয়া বাস স্ট্যান্ড ও হাট অবস্থিত। সেখানে বিভিন্ন জিনিসপত্র ক্রয়-বিক্রয় করে থাকে। এই এলাকার অধিকাংশ মানুষ মৎস্য ঘেরের উপর নির্ভর করে। এই রাস্তা দিয়ে মানুষ কোটি কোটি টাকার মৎস্য চিংড়ী বিদেশে রপ্তানী করে থাকে। এই সরকারের নির্বাচনী পূর্ব শর্ত হল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া। এই রাস্তাটি দেখে মনে হয় এখনও আমরা ৫০ বছর আগের যুগে বসবাস করছি। মাননীয় যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য ছিল, বাংলাদেশের বিভিন্ন রাস্তা ঘাটের খানাখন্দ ভরাট করা। কিন্তু যোগাযোগ মন্ত্রীর প্রতিশ্রতি আজও পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি। এই রাস্তাটি সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী বর্তমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ আফম রুহুল হকের নির্বাচনী এলাকা হওয়া স্বত্ত্বেও রাস্তাটি কেন হচ্ছে না তা গ্রামে-গঞ্জে, পাড়া-মহল্লায়, হাট-বাজারে, অফিস-আদালতে, মৎস্যসেটে, উপজেলায় ও বিভিন্ন চায়ের দোকানে আলোচনা সমালোচনা চলছে এবং জনমনে ক্ষোভ বিরাজ-করছে। তাই বড় বড় খানা খন্দ ভরাট ও রাস্তাটি কার্পেটিং করার জন্য এবং মানুষের জীবনের মত পঙ্গুত্ত্ববরণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যোগাযোগ মন্ত্রী, স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক উপজেলা চেয়ারম্যান, সড়ক ও জনপদ বিভাগের উর্দ্ধতন কর্মকর্তার আশু হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন এই এলাকার ভূক্তভোগী সর্বস্তরের জনসাধারণ।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)