শনিবার ● ২১ জানুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » বিবিধ » আশাশুনির মাড়িয়ালা-ঘোলা সড়কে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় জনদুর্ভোগ চরমে
আশাশুনির মাড়িয়ালা-ঘোলা সড়কে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় জনদুর্ভোগ চরমে
মোঃ নুর আলম,আশাশুনি (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনির কোলা বেড়িবাঁধ ভাঙনের পর বানভাসিদের দুর্ভোগ যেন পিছু ছাড়ছেই না। বিগত ১৫ অক্টোবরের খোলপেটুয়া নদী ভাঙনে মাড়িয়ালা থেকে ঘোলা বাসষ্ট্যান্ড পর্যন্ত প্রায় ৩ কিঃমিঃ সড়কের ২০/২২ টি স্থানের খোয়া-বালি ধুয়ে বড় বড় খাদের সৃষ্টি হয়। সেই থেকে এ ৩ কিঃমিঃ রাস্তায় বাস চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। অত্যন্ত ঝুঁকিপুর্ন এ রাস্তায় মোটর সাইকেল, ইঞ্জিনভ্যান রাস্তা বুঝে থেমে থেমে চলছে। ফলে উপজেলা ও জেলা সদরের সাথে যোগাযোগ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। সাতক্ষীরা সদর থেকে যাত্রিবাহি বাস আশাশুনি হয়ে শ্রীউলা ইউনিয়নের নির্মানাধীন রাস্তা পেরিয়ে মাড়িয়ালা পর্যন্ত গেলেও থেকে যায় উক্ত তিন কিঃমিঃ রাস্তা। ত্রি-মোহনা নদীর আশাশুনি পারের প্রতাপনগর ও শ্যামনগর পারের হাজার হাজার মানুষ যানবাহনের অভাবে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। এমনিতে নির্মানাধীন সড়কটি প্রায় ১০ বছর ধরে সংশ্লিষ্ট পথযাত্রিদের দুর্দশার আরেক নাম। এ অঞ্চলের হাজার হাজার চিংড়ি চাষীদের উৎপাদিত মাছ এ রাস্তা দিয়েই জেলা সদর হয়ে বিদেশ যেয়ে থাকে। সেখান থেকে আসে কোটি কোটি বৈদেশিক মূদ্রা। তার পরও অদৃশ্য কারনে কর্তৃপক্ষ বরাবরই এ সড়কের নির্মান শেষ করার ব্যাপারে নিশ্চুপ থেকেছেন। এ অঞ্চলের মানুষ বছরের পর বছর ধরে তাদের প্রতি এ উপেক্ষা যেন মেনে নিয়েছেন। জনপ্রতিনিধিরাও বিভিন্ন দফতরে তদবির করতে করতে যেন হাল ছেড়ে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যখন যোগাযোগের ক্ষেত্রে অভুত সাফল্য বয়ে এনেছে সেখানে শ্রীউলা ইউনিয়নের এ সড়কটি যেন উল্টো রথে উল্টো দিকে চলছে। হাজার হাজার চিংড়ি চাষী ও এ এলাকার শতশত স্কুল-কলেজ পড়-য়া ছাত্র-ছাত্রী ও চিকিৎসাজনীত বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা পেতে উপজেলা, জেলা ও সারাদেশের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতে এ সড়কটি অতি জনগুরুত্বপুর্ন। এভাবে চলতে থাকলে শুধুমাত্র যোগাযোগ ব্যবস্থার কারনে এ এলাকার অর্থনৈতিক অবস্থা চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়বে। প্রতিবছর নদী ভাঙনে পাউবো’র পাকিস্তানি আমলের নদী থেকে পিছিয়ে আসা নীতি অবলম্বন করে বসত ভিটা ও চাষের জমি হারাতে হচ্ছে। তার উপর যোগাযোগ ব্যবস্থার কারনে যদি তাদের চিংড়ি ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে কষ্টের সীমা থাকবে না। সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রাস্তার দু’ধারে মাটি দিয়ে নামমাত্র কাজ শুরু করলেও চলছে শম্বুক গতিতে। জনগুরুত্বপূর্ন বিষয়টি আমলে নিয়ে অবিলম্বে প্লাবনে ক্ষতিগ্রস্ত উক্ত ৩ কিঃমিঃ সহ আশাশুনি সদর থেকে মাড়িয়ালা পর্যন্ত সড়কটির নির্মান কাজ শেষ করে জনসাধারনের দুর্ভোগ লাঘবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ওই এলাকার বানভাসি মানুষ ও পথযাত্রিরা।