রবিবার ● ২২ জানুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » সর্বশেষ » পাটকেলঘাটাবাসী আজ উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় উপজেলা বাস্তবায়নে এগিয়ে চলছে
পাটকেলঘাটাবাসী আজ উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় উপজেলা বাস্তবায়নে এগিয়ে চলছে
মো. রিপন হোসাইন,পাটকেলঘাটা ॥
মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্বৃতি বিজড়িত কপোতাক্ষের বুক চিরে গড়ে উঠা দক্ষিণ-পশ্চিমঞ্চালের প্রাচীনতম সাতক্ষীরা জেলা প্রধান বানিজ্য কেন্দ্র পাটকেলঘাটা থানাঞ্চল। সময়ের সাথে কালের পরিক্রমায় পরিবর্তন হয়ে আসছে ঐতিহ্যবাহী পাটকেলঘাটা মিনি উপশহর হিসেবে খ্যাত। তথ্য অনুসন্ধানে দেখা দেখা গেছে, তালা সদর হতে ১৫ কি.মি. ও জেলা হতে ১৬ কি.মি.অবস্থিত ৫টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত পাটকেলঘাটা থানা। কপোতাক্ষের তীরবর্তীতে নৌযানের মাধ্যমে সোনালী আশ পাটের আনা নেওয়া থেকেই পাটের ঘাট, অতঃপর পাটকেলঘাটায় পরিণত হয়। সময়ের প্রেক্ষাপটে হারিয়েছে অতীত ইতিহাস,সুখময়, ঐতিহ্য, জন্মেছেন রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, আইনজীবি, ডাক্তার, শিক্ষক,সাংবাদিক সহ সমাজের বহু জ্ঞানী গুণী ব্যক্তিগণ। পাটকেলঘাটা বাজারকে ঘিরে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ব্যাংক, বীমা, সংস্থা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। সুনামের সাথে উত্তোত্তর বৃদ্ধির এগিয়ে যাচ্ছে পাটকেলঘাটা কেন্দ্রিক অসংখ্যা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। এখানে জেলার সর্ববৃহৎ খেলাধুলা মনোরম পরিবেশ পরিচালনার জন্য ঐতিহ্যবাহী ফুটবল মাঠ। এবং রয়েছে বেশ কয়েকটি সাংস্কৃতিক একাডেমী । অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন এ তথা অঞ্চলে জনসাধারণ। সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় না থেকে শিক্ষিত বেকার যুবকরা গড়ে তুলেছেন একাধিক বেসরকারী প্রতিষ্ঠান,বিভিন্ন খামার সহ আতœনির্ভরশীল কর্মসংস্থান। আয়তনের দিক থেকে পাটকেলঘাটা বাজার যেন কমতি নেই। ৫ টি ইউনিয়ন নিয়ে গড়ে উঠেছে পাটকেলঘাটার প্রধান প্রাণকেন্দ্র। সরকার প্রতিবছর পাটকেলঘাটা বাজার থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব আয় করে থাকেন। এতে দেশ যেমন অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হ”্ছে তেমনি পাটকেলঘাটাবাসীর উন্নয়নের আরো একধাপ অগ্রযাত্রায় এগিয়ে চলছে।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে ইতোমধ্যে ৫/৬ টি ব্যাংক, একাধিক বীমা, বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থার মতো প্রতিষ্ঠান এ অঞ্চলের মানুষের সেবা দিয়ে আসছে। ঋণ সুবিধা নিয়ে পাটকেলঘাটার অসংখ্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান উত্তোরত্তর তাদের ব্যবসা বানিজ্য সম্প্রসারিত করে চলেছে। পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হয়ে তারা পুনরায় আমানত হিসেবে অর্থ সঞ্চয় করছেন। বেসরকারী ব্যাংক ও উন্নয়ন সংস্থার সহযোগিতা করে আসছে। প্রতিনিয়ত এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন আনতে বিনা সুদে ঋণ প্রদান ও জরাজীর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো উন্নয়নের ছোয়া দিয়ে নতুনত্বের আস্বাদ গ্রহণ করছেন বলে জানা যায়। রয়েছে কপোতাক্ষের প্রাণকেন্দ্রে উপজেলা ভূমি অফিস। জমিজমা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ছুটে চলেছেন আপামর জনসাধারণ। এ অঞ্চলে জন্ম নিয়েছেন বহু রাজনীতিবিদ, আইনজীবি শিক্ষাবিদ, কবি, সাহিত্যিক, ডাক্তার সহ একাধিক দেশ বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ।
এখানে জন্ম নিয়েছেন, সাবেক পরমানু শক্তি কমিশনের চেয়ারমান ড. মতিউর রহমান,যুগিপুকুরিয়া (বর্তমান) পাটকেলঘাটায় ,সাবেক সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ,তৎকালীন মুজিব বাহিনীর প্রধান ও সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিঃ শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িটিও পাটকেলঘাটার কাশিপুরে। এছাড়াও সচিব তপন ঘোষ সরুলিয়া ঘোষ পাড়া),অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রত্যুৎ মজুমদার (কাশিপুর) ড. গোলাম স্যাকলাইন (কুমিরা) প্রাত্তন জিজিএম সোনালী ব্যাংক, ঢাকা হাইকোর্টের আইনজীবি এ্যাড. মোহাম্মাদ পাটকেলঘাটা,শিক্ষাবিধ শেখ আব্দুল ওয়াদুদ প্রাঙ্গন প্রধান শিক্ষক ড. রবিউল ইসলাম (ধানদিয়া পাচপাড়া), শিক্ষাবিদ শাহিনুর রহমান (বড়বিলা) পুলিশ পরিদর্শক এনামুল হক ‘তদন্ত’ (পাটকেলঘাটা),তালা উপজেলা আ’লীগের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলামের মতো অসংখ্য দেশ বরেন্য ব্যাক্তিগন ।
দেশের সেবায় সর্বদা নিয়োজিত রয়েছেন । সুখ সমৃদ্ধ এ অঞ্চলে ফুলে ফসলে চিরসবুজের বুকে যেন তাকিয়ে রয়েছে ডিজিটল বাংলাদেশ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোর্ষনা অনুযায়ী ২০৪১ সালে মধ্য ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত বাংলাদেশ গড়া ।বাস্বতবায়নে এগিয়ে চলছে। স্থানীয় হাসপাতাল, ক্লিনিক, কমিউনিটিতে আপামর জনসাধারণ সেবা প্রদানের অঙ্গিকার বদ্ধ। পাটকেলঘাটাঞ্চলের অনেক ছেলে মেয়ে আজ দেশ সেবায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তরে নিয়োজিত। মানুষের সুখ-দুঃখ, উন্নয়ন, সমস্যা সম্ভাবনা জনগণের মাঝে এমনকি দেশ সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের নজরে আনতে রয়েছে তরুণ প্রজন্মের সাংবাদিকরা কাজ করে যাচ্ছে। কৃষকের সমস্যা সম্ভাবনা থেকে শুরু করে মন্ত্রণালয় পর্যন্ত ছুটে চলেন সমস্যা আর সম্ভাবনা নিয়ে। গত কয়েক মাস আগে আগে কপোতাক্ষ তীরে তালের বীজ বপনের উদ্বোধনে জাকজমকপূর্ন অনুষ্ঠানে পায়ের ছোয়া দিয়েছিলেন সাতক্ষীরার উজ্জল নক্ষত্র সুযোগ্য জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মে. মহিউদ্দিন। তিনি বলেছিলেন, পাটকেলঘাটার আশপাশ আমি ঘুরে দেখেছি। একটি উপজেলা করতে গেলে যা যা প্রয়োজন পাটকেলঘাটায় তার কোনো কমতি নেই। তিনি আরো বলেছিলেন, আপনারা এগিয়ে যান, আমি উপজেলা করতে সর্বাত্বক সহযোগিতা করব। উপজেলা দাবি আজ সময়ের যৌক্তিক দাবিতে পরিণ হয়েছে। এতদা অঞ্জলের জনসংখ্যা দিক দিয়ে প্রায় লক্ষ লোকের বসবাস । আর আয়তনে দিক দিয়ে এতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সহ এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। ব্যবসা বানিজ্য, শিক্ষা ,স্বাস্থ্য,সুবিধা এবংকৃষিজাত পন্যের ক্রয় বিক্রয়ের পর্যাপ্ত সুযোগ থাকায় পাশ্ববর্তী উপজেলা কেশবপুর ,ডুমুরিয়া,কলারোয়া তথা সাতক্ষীরা সদর হতে প্রত্যহ জনসাধারন স্বল্প খরচে প্যেছাতে পারেন এই মিনি শহর পাটকেলঘাটায়। পাটকেলঘাটার প্রাণকেন্দ্রে সদর সরুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা বাস্তবায়নে কমিটি আহবায়ক মতিয়ার রহমান তার আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে সম্মুখে এগিয়ে যাচ্ছেন। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন এলাকার গন্যমান্য বাক্তিগন। সাতক্ষীরা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির সদর দপ্তরটিও পাটকেলঘাটার প্রাণকেন্দ্রে । বৈদ্যুতিক সেবায় গড়ে উঠেছে একাধিক কোম্পানী, বেকারী প্রতিষ্ঠানসমুহ। এ বিষয়ে সরুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মতিয়ার রহমান বলেন, পাটকেলঘাটায় উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় আজ উপজেলার দাবি সময়ের যৌক্তিক দাবিতে পরিণত হয়েছে।
এতে আমাদের সকলের ঐক্যবদ্ধ শক্তিতে পরিণত করতে হবে। তালা উপজেলা আ’লীগের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম বলেন, ব্যংক বীমা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সমৃদ্ধ পাটকেলঘাটার উন্নয়ন ক্রমেই ত্বরান্বিত হচ্ছে। পাটকেলঘাটা উপজেলা হলে এখানকার মানুষের জীবনমান আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সমদ্ধি ততান্নিত করবে বৃদ্ধি। উপজেরা বাস্তবায়নে জন্য বিভিন্ন সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ে অনুলিপি প্রেরন করা হয়েছে। বর্তমান সরকার জনগনের জীবন জীবিকা মান উন্নয়নে সর্বাত্ত্বাক প্রচেষ্ঠা অব্যহত রেখেছেন। আধুনিক ও ডিজিটাল গঠনের জনগনের দারপ্রন্তে নাগরিক সুবিধা পৌছে দিতে বর্তমান সরকার নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের বহুবিধ সুবিধা গ্রহনের দেশের অন্যন্য উপজেলার মত পাটকেলঘাটা প্রশাসিক থানাকে পরিণত হলে সরাসরি সেবা গ্রহনের মাধ্যমে ৫টি ইউনিয়নবাসীর অধিকতর সমৃদ্ধশালী ও নিরাপদ জীবনযাপনের লাভের সক্ষম হবে । উপজেলা বাস্তবায়ন কমিটি’র আহবায়ক চেয়ারম্যান মো. মতিয়ার রহমান এই প্িরতবেদক জানান ।