শনিবার ● ৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » বিবিধ » আশাশুনিতে মসজিদ নির্মাণ কাজ মাঝ পথে এসে অর্থাভাবে বন্দ
আশাশুনিতে মসজিদ নির্মাণ কাজ মাঝ পথে এসে অর্থাভাবে বন্দ
মোঃ নুর আলম,আশাশুনি (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি কারাগার ও এতিমখানা জামে মসজিদের নির্মাণ কাজ মাঝ পথে এসে অর্থাভাবে বন্দ হয়েগেছে। শীত-বৃষ্টি-রৌদ্রে অতিকষ্টে মসজিদের মুসল্লীদের নামাজ আদায় করতে হচ্ছে। মসজিদ একটি মূল্যবান ও অতীব প্রয়োজনীয় আল্লাহর ঘর। আশাশুনি মরিচ্চাপ ব্রীজের মুখে প্রাক্তন খেয়াঘাটের কাছে তৎকালীন কারাগার তথা জেলখানার মুখে এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মসজিদটি নির্মান করেছিলেন। ১৯৮৮ সালে মুসল্লিরা সাধ্যমত গোলপাতার ছাউনি দিয়ে মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন। তখন মুসল্লির সংখ্য খুব বেশী না থাকলেও আস্তে আস্তে অনেক মুসল্লির সমাগম হতে থাকে এবং এক পর্যায়ে টিনের চাউনি দিয়ে মসজিদকে অপেক্ষাকৃত ভাল পর্যায়ে রূপান্তরিত করা হয়। বর্তমানে মসজিদের পাশের জেলখানাটি “বিভাগীয় এতিম ছেয়েমেয়েদের জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র”Ñএ রূপান্তরিত হয়েছে। শানসওকাত পূর্ণ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পাশে ‘ছাবড়া মসজিদ’ কেমন যেন বেমানান হয়ে উঠেছে। তাছাড়া উপজেলা সদরে দুর্দশাগ্রস্থ ও জীর্ণশীর্ণ মসজিদ কেমন যেন অবহেলাগ্রস্ত বিবেচিত হয়। তাই মুসল্লিরা নিজেদের সর্বোচ্চ সহায়তা বিনিয়োগ করে মসজিদটিকে সুন্দর করে নির্মাণের কাজে হাত দেন। ইতিমধ্যে মজবুত ভীতের উপর পিলার দ্বারা লিনটন পর্যন্ত কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এতে খরচ হয়েছে ৫ লক্ষাধিক টাকা। তাদের সংগৃহীত টাকা নিঃশ্বেষ হয়ে গেছে। কাজ আর এগিয়ে নেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ গরীব ও স্বল্প সংখ্যক মুসল্লির পক্ষে মসজিদটিকে প্রত্যাশাপূর্ণ মসজিদে পরিণত করা অসাধ্য হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন রোডে মাইকের সাহায্যে সাহায্য আদায়ের কসরৎ চলছে, কিন্তু কাজ শুরু করানোর মত টাকা এভাবে কি আয় করা সম্ভব? মসজিদটির নির্মাণ কাজে সর্বসাকুল্যে সম্ভাব্য ব্যয় হবে ১৫ লক্ষাধিক টাকা। ইতিপূর্বে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারের প্রেক্ষিতে দেশবিদেশ থেকে ধর্মপ্রাণ মানুষ ৮৩ হাজার ৪শ’ টাকা প্রেরণ করেছেন। রোড কালেকশানে এসেছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম ৫০ হাজার ও ইউপি চেয়ারম্যান ২৫ হাজার টাকা সহযোগিতা দিয়েছেন। এখনো ১২ লক্ষাধিক টাকার প্রয়োজন। তাই মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যরা ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে সাহায্যের আবেদন নিয়ে দাঁড়িয়েছে। দুঃখের বিষয় এ পর্যন্ত মসজিদটির উন্নয়নে কোন সরকারি সহায়তা প্রদান করা হয়নি। ধনাঢ্য ও ধর্মপ্রান মানুষ ইচ্ছে করলে তাদের দানে মসজিদটির নির্মান কাজ আবারও শুরু করার সুয়োগ করে দিতে পারেন। উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসন কিংবা ইউনিয়ন পরিষদ ও সরকারি সহায়তা এখানে দিতে পরে। অগ্রহীদের মসজিদ কমিটির সেক্রেটারী মমতাজ উদ্দিন এর মোবাইল নং ০১৭২৬৫২১৭০৭ (বিকাশ) ও ০১৭১৮৬৫৬৯৩৩ এ যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানান হয়েছে। মসজিদের ব্যাংক হিসাব বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক লিঃ, আশাশুনি শাখা সঞ্চয় হিসাব ৪৬০০ নং-এ আপনি টাকা পাঠাতে পারেন।