রবিবার ● ৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » নারী ও শিশু » মাগুরায় শিশু কন্যাকে নদীতে ফেলে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ এক গৃহবধুর বিরুদ্ধে, শিশুসহ মা পুলিশ হেফাজতে
মাগুরায় শিশু কন্যাকে নদীতে ফেলে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ এক গৃহবধুর বিরুদ্ধে, শিশুসহ মা পুলিশ হেফাজতে
মাগুরা প্রতিনিধি ॥ মাগুরা শহরের ঢাকা রোড বাসস্টান্ড ব্রীজ থেকে শনিবার দুপুরে ১০ মাসের এক কন্যা শিশুকে নবগঙ্গা নদীতে ফেলে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে। স্থানীয় এক পথচারী নদীতে ঝাপ দিয়ে শিশুটিকে জীবীত উদ্ধার করেছে। অন্যদিকে এলাকাবাসী অভিযুক্ত ওই গৃহবধুকে পুলিশে সোপর্দ করেছে। শিশুটি ও অভিযুক্ত ওই গৃহবধু দুজনই মাগুরা সদর থানা পুলিশের হেফাজতে আছে। অন্যদিকে ওই মহিলা মানসিক ভারসাম্যহীন বলে পুলিশের কাছে মোবাইল ফোনে তার স্বামী দাবী করেছে বলে জানিয়েছেন ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার এস আই বসির উদ্দিন।
প্রত্যক্ষদর্শী ইমরান হোসেনসহসহ অন্যদের দাবী, ইচ্ছাকৃতভাবেই ওই গৃহবধূ শিশুটিকে নদীতে ফেলে দিয়ে দুরে দাড়িয়ে স্বাভাবিকভাবে দাড়িয়ে ছিল। এ সময় উপস্থিতরা চিৎকার দিলে রফিক নামে এক যুবক হঠাৎ নদীতে ঝাপ দিয়ে শিশুটিকে জীবিত উদ্ধার করে। একই সাথে ওই গৃহবধুকে পুলিশে সোপর্দ করে। এদিকে অভিযুক্ত গৃহবধু নিজের নাম হেনা পারভীন স্বামীর নাম শহর আলী ও শশুরবাড়ি মাগুরা সদরের মালিকগ্রাম বলে দাবী করে বলেন,‘ আমি স্বামী ও তিন কন্যা সন্তান নিয়ে ঢাকায় ঢাকা উত্তরায় বসবাস করি। দ্বিতীয় সন্তান জন্মের ১৩ বছর পর আমার এই মেয়ের জন্ম। মাগুরায় শশুরবাড়ি যাবার উদ্দেশে শনিবার দুপরে ঢাকা থেকে আমার ১০ মাসের এই মেয়ে রাফিয়াকে নিয়ে মাগুরা শহরের ঢাকা রোড বাসস্ট্যান্ডে নামি । নবগঙ্গা ব্রীজের পাশ দিয়ে আসার সময় শিশুটি হাত ফসকে ওই নদী পানিতে পড়ে যায় । আমার বাবার বাড়ি মাগুরার মহম্মদপুরের চালিমিয়া গ্রামে’। শিশুটিকে বাঁচাতে নদীতে লাফিয়ে পড়া যুবক রফিক হানজালা বলেন,‘আমি পেশায় একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। বাড়ি মাগুরা সদর উপজেলার বাটিকাডাঙ্গা গ্রামে। ব্যবসায়ীক কাজে ফরিদপুর গিয়ে শনিবার দুপুরে মাগুরায় ফিরি। ঢাকা রোড বাসস্ট্যান্ডে নামতেই নদীর পাড়ে লোকজনের চিৎকার শুনে এগিয়ে যাই। এসময় শিশুটিকে পানিতে ভাসতে দেখি। আমি নদীতে লাফিয়ে তাকে জীবন্ত অবস্থায় পাড়ে তুলে আনি ও সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি’। এ বিষয়ে সদর থানা এস আই বসির উদ্দিন বলেন,‘ জনতার হাতে আটক মহিলা ও তার শিশু দু’জনই পুলিশের হেফাজতে আছে। ওই মহিলার শশুরবাড়ি গিয়ে নাম ঠিকানা সঠিক হিসাবে জানা গেছে। মোবাইল ফোনে তার স্বামী শহর আলী তার স্ত্রীর নাম হেনা পারভিন ও ১০ মাসের একটি শিশুকন্যার কথা স্বিকার করেছেন। পাশাপাশি হেনা পরভিন কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানিয়েছেন। আমরা পুরো বিষয়টির তদন্তকরছি’। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সদর থানায় হেনা পারভিনের কোলেই ছিল শিশুটি। হেনার কাছে থাকা ব্যাগে শিশুটির দুধের ফিডার ও কাপড় দেখে গেছে।