রবিবার ● ১২ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » সর্বশেষ » ডুমুরিয়ায় ৭ জন ডাক্তারে চলছে চিকিৎসা সেবা ঃ রুগীর দূর্ভোগ চরমে
ডুমুরিয়ায় ৭ জন ডাক্তারে চলছে চিকিৎসা সেবা ঃ রুগীর দূর্ভোগ চরমে
অরুন দেবনাথ,ডুমুরিয়া
ডুমুরিয়ায় ২৪ জন ডাক্তারের স্থানে মাত্র ৭ জন ডাক্তার দিয়ে চলছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা
সেবা।ফলে ডাক্তার সল্পতায় রুগীদের পোহাতে হচ্ছে চরম দূর্ভোগ। লম্বা লাইনে দাড়িয়ে রুগীদের নিতে হচ্ছে চিকিৎসা সেবা। তার উপর এক্স-রে ,আলট্রাসোনো মেশিন থাকলেও নেই তার ব্যবহার।একটুতেই পাড়ী জমাতে হচ্ছে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সহ বিভিন্ন ক্লিনিকে। সব মিলিয়ে ভোগান্তির শেষ নেই তাদের। গত দেড়মাস ধরে চলছে এমন দুরাবস্থ।কবে নাগাদ এ ভোগান্তির শেষ হবে তা জানেনা কতৃপক্ষ।তার উপর রয়েছে বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির রিপ্রেজেনটিভদের লম্ব লাইন। একটু সুযোগ পেলেই রুগীদের ঠেলে ডাক্তারদের নিকট গিয়ে স্থান গেড়ে বসে তারা। ফলে হতবাক তাকিয়ে থাকা ছাড়া উপায় থাকে না রুগীদের।ঁজানাজায় ১৪টি ইউনিয়নের সমন্বয়ে গঠিত ডুমুরিয়া উপজেলায় প্রায় ৪ লক্ষ লোকের বসবাস।যাদের চিকিৎসাসেবার জন্য রয়েছে একটি মাত্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।মাত্র দেড় মাস আগে যেখানে ১৭ জন ডাক্তারের উপস্থিতিতে চলতো চিকিৎসা সেবা। সেখানে এখন রয়েছে মাত্র ৭ জন ডাক্তার। এর মধ্যে আউট ডোরে দেখা মেলে মাত্র ২/৩ জন ডাক্তারের।তাদের সামনে লম্বা লাইনে দাড়িয়ে থাকতে দেখ যায় রুগী ও রিপ্রেজেনটিভদের।এমতবস্থায় সুযোগ বুঝে যার কাজ তাকেই সারতে হয়। লাইনে দাড়িয়ে থাকা রোগী হাসানপুরের কার্তিক মন্ডল,শোভনার মনিরুল ইসলাম,মেছাঘোনার আকলিমা বেগম সহ অনেকেই জানান, আমরা সকাল থেকে লাইনে দাড়িয়ে আছি। দেখি কখন সিরিয়াল মেলে।এসেছি যখন ডাক্তার তো দেখাতে হবে।রুগীদের ভোগান্তি প্রসংগে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার এএসএম মারুফ হাসান বলেন হাসপাতালে এখন মাত্র ৭ জন ডাক্তার রয়েছে।এর মধ্যো দিয়ে অফিস,মিটিং,সিটিং জরুরী বিভাগ,নাইট ডিউটি সহ সব কিছু সামলিয়ে রোগীর সেবা দিতে হচ্ছে। তবে বিনা চিকিৎসায় কাইকে ফিরতে হচ্ছে না ,হয়তো একটু দেরী হচ্ছে।তিনি আরো বলেন আলট্রাসোনো মেশিনটি সক্রিয় ছিল কিন্তু জনবলের অভাবে সেটি এখন বন্দ রাখা হয়েছে।আর টুকি-টাকি সরঞ্জামের অভাবে এক্স-রে মেশিন টি স্থাপনের পর থেকে অকেজো হয়ে বসে আছে।বিষয়টি কতৃপক্ষের নলেজে আছে।এ প্রসংগে খুলনা বিভাগীয় মেডিকেল ডিরেক্টর ডাক্তার রওশন আনোয়ার বলেন বর্তমান ডাক্তারের সল্পতা রয়েছে।যে কারনে ডুমুরিয়া সহ বিভিন্ন উপজেলায় পর্যাপ্ত ডাক্তার দেয়া সম্বব নয়।তবে এ সল্পতা কেটে গেলে রোগীদের ভোগান্তি লাগব করা হবে।