সোমবার ● ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » কৃষি » ডুমুরিয়ায় ড্রাগন চাষে সফল কৃষক আব্দুল বারী
ডুমুরিয়ায় ড্রাগন চাষে সফল কৃষক আব্দুল বারী
অরুন দেবনাথ:
‘ড্রাগন ফ্রুট‘একটি ফলের নাম। আপেল-কমলার মত সুদর্শনা, সুস্বাদু,দামী ও অতি পুষ্টিকর ফলটি। ইউরোপিয়ান কান্ট্রিতে এর প্রচুর চাহিদা ও চাষাবাদ হয়ে থাকে বলে জানান উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর। ইতিমধ্যে এই ফল চাষে সাফল্য অর্জন
করেছেন ডুমুরিয়া টিপনা পল্লীর গাজী আঃ বারী নামের এক কৃষক। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর ও সরেজমিনে গিয়ে কৃষক গাজী আঃ বারীর সাথে কথা বলে জানাযায় সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া‘র অর্থায়নে,উত্তরন বাস্তবায়িত,সাসটেইনেবল এগ্রিকালচার ফুডসিকিউরিটি এন্ড লিংকেজস(সফল)প্রকল্প থেকে প্রশিক্ষন ও বিনা মুল্যে ১৫টি ‘ড্রাগন ফ্রুট‘র চারা পেয়ে তিনি নিজ বাড়ীর আঙ্গিনায় রোপন করেন।প্রশিক্ষন অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তিনি চারা গাছ গুলি লালন পালন করতে থাকেন।২০১৪ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রোপনের মাত্র ১৯ মাসের মাথায় চারা গুলিতে সুগন্ধি ফুল ফুটতে শুরু করে।রাত ৮ থেকে সকাল ৮ টা পর্যন্ত ফুটন্ত ফুলগুলির সুগন্ধে আকৃষ্ট হয় এলাকাবাসী।৫/৬ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট গাছটির গড়িয়ে পড়া ডগায়-ডগায় ফোটা ফুলে ফল আসতে শুরু করে।যা মাত্র ২৫/৩০ দিনের মাথায় লাল রঙ্গে রুপান্তিত হয়ে খাওয়ার উপযোগী হয়।ইতিমধ্যে তিনি প্রতি কেজি ৬ শ টাকা মুল্যে প্রায় ৭ হাজার টাকার ফল বিক্রি করেছেন। তিনি আরো বলেন জেলা,উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর,সফল প্রকল্পের সন্বনয়কারী ইন্দু ভ’ষন রায়,হটিকালচার স্পেসালিষ্ট নাজমুন নাহার,প্রকল্প কর্মকর্তা নাজমুল বাসার সহ অনেকে ক্ষেত পরিদর্শন করেছেন।তার সাফল্যতা দেখে টিপনার তুরফান মোল্লা ৮টি,গোনালীর সত্যরঞ্জন ৪টি,খুলনার লাভলু ২২ টি,উখড়ার মাহাবুব ৯টি সহ বিভিন্ন এলাকার ২২ জন কৃষক তার নিকট থেকে প্রতিটি কলম ১শ টাকা দরে ক্রয় করে এর চাষাবাদ শুরু করেছেন। ইউরোপিয়ান কান্ট্রিতে এর প্রচুর চাহিদা ও চাষাবাদ হয়ে থাকে উল্লেখ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন ১৮/২০ বছর আয়ুকাল বিশিষ্ট এই গাছে বছরে দু‘বার ফল ধরে,যা অতি সুস্বাদু,দামী ও অতিপুষ্টিকর।ড্রাগন ফ্রুট চাষে অল্প সময়ে অধিক লাভবান হওয়া সম্বব।