মঙ্গলবার ● ২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » বিবিধ » ডুমুরিয়ায় এক যুগেও সংস্কার হয়নি স্বর্নপল্লীর সড়কটি ঃ চরম ভোগান্তীতে এলাকাবাসি
ডুমুরিয়ায় এক যুগেও সংস্কার হয়নি স্বর্নপল্লীর সড়কটি ঃ চরম ভোগান্তীতে এলাকাবাসি
মাহাবুবুর রহমান,ডুমুরিয়া
ডুমুরিয়া সদরে স্বর্নপল্লীর মধ্যো দিয়ে বয়ে যাওয়া গুরুত্ব পূর্ন সড়কটি এক যুগেও সংস্কার হয়নি।অর্ধেক
কাচা ও বাকি অর্ধেক ইটের সলিং বিশিষ্ট সড়কটি ভেঙ্গে খানা খন্দে পরিনত হয়েছে।যা একটি ভ্যন গাড়ী চলারও অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।ফলে চরম ভোগান্তীতে আছে ওই এলাকার স্কুল-মাদ্রাসা পড়–য়া শিক্ষার্থী
সহ এলাকাবাসি। জন প্রতিনিধীদের দেয়া আশ্বাসই এখন এক মাত্র সম্বল এলাকাবাসির।তবে শিগ্রই কাজ
শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় চেয়ারম্যান ও উপজেলা পরিষদ।সরেজমিনে গিয়ে ভুক্তভোগী এলাকাবাসির সাথে কথা বলে জানাজায় ডুমুরিয়া সদরে খাদ্য গুদাম থেকে শুরু করে স্বর্নপল্লী, –মহিলা আলিয়া মাদ্রাসা হয়ে শদীদ স্মৃতী মহিলা কলেজ রোডে গিয়ে মিশেছে প্রায় ২ কিলো মিটার দৈর্ঘ একটি গুরুত্বপুর্ন সড়ক। গত ১২/১৩ বছর পূর্বে সড়কটির অর্ধেকাংশে ইটের সলিং বসানো হয়েছিল।বাকী অর্ধেক এখনো কাচা সড়ক রয়েছে। এলাকাটির পাশেই গড়ে উঠেছে মহিলা আলীয়া মাদ্রাসা,সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শহীদ স্মৃতী মহিলা কলেজ। যে কারনে স্কুল,মাদ্রাসা ও কলেজে যেতে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিনিয়ত এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হয়।এ ছাড়া শত শত এলাকাবাসির চলাচলেএ সড়কের বিকল্প নেই।কিন্ত বেশ কিছুকাল পূবের্ এ সড়কটির দ‘পাশ ভঙ্গন ও খানা খন্দে পরিনত হওয়ায় সড়কটি বর্তমান জন চলাচলে একেবারে অযোগ্য হয়ে পড়েছে।যেখানে ভ্যান গাড়ী সাইকেল,মটরসাইকেল সহ সকল প্রকার যানবহন চলাচলের কোন সুযোগ নেই।ভুক্তভোগী এলাকার সেকেন্দার আলী গাজী,নাজমা আক্তার,পরিমল সানা,আবদুস সালাম,কলেজ ছাত্র সাকিব হাসান,স্কুল ছাত্রী মাহাবুবা রায়হানা,বাবু সহ অনেকে জানান নির্বাচন সামনে আসলে সড়কটির গুরুত্ব বেড়ে যায়।সড়কটিকে পুঁজি করে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনপ্রতিনিধিরা আমাদের নিকট থেকে ভোট গ্রহন করে থাকেন।কিন্ত ভোটের পর আর কারো মনে থাকে না। আশ্বাসই আমাদের সম্বল।এ প্রসংগে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গাজী হুমায়ুন কবির বুলু জানান সবে মাত্র নির্বাচিত হয়েছি,আবস্যই এলাকাবাসির দূর্ভোগ লাঘব করা হবে।এলাকাবাসির দুর্ভোগের বিষয়টি তিনি জানেন কি না? এবং কবে নাগাত এলাকাবাসির ভোগান্তী শেষ হবে এমন প্রশ্নের জবাবে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খান আলী মুনসুর বলেন অবস্যই বিষয়টি মাথায় আছে।আগামী জুনের মধ্যে সড়কটি চলাচলের যোগ্য করে তোলা হবে।