বৃহস্পতিবার ● ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » সর্বশেষ » আশাশুনিতে মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাইকৃত তালিকা প্রকাশ না করার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
আশাশুনিতে মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাইকৃত তালিকা প্রকাশ না করার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
আহসান হাবিব, আশাশুনি: আশাশুনি উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই অন্তে সময়মত প্রস্তুতকৃত তালিকা প্রকাশ না করার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে পাথেয় ট্রেনিং সেন্টারে লিখিত বক্তব্য পাঠকরেন আশাশুনি উপজেলা আ’লীগের উপদেষ্টা এসএম সামছুল আলম। তিনি ণিখিত বক্তব্যে ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন, সরকার মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সংরক্ষণের প্রয়োজনে বাদপড়া মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা ভুক্ত করার জন্য অনলাইনে আবেদন করে তাদের যাচাই বাছায়ের মাধ্যমে তালিকা ভুক্ত হওয়ার সুযোগ দিয়েছেন। সে মোতাবেক উপজেলা পর্যায়ে ৫ জন মুক্তিযোদ্ধা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে সদস্য সচিব করে ৬ সদস্য বিশিষ্ট যাচাই বাছাই কমিটি গঠন করে দিয়েছে। ২৮ জানুয়ারী থেকে যাচাই বাছাই কার্যক্রম শুরু হয়। পরিপত্র অনুযায়ী ১) আবেদন সর্বসম্মত মতামত ২) কমিটির বিভক্ত মতামত ৩) সর্ব সম্মত মতামত বাতিল তালিকা এবং যাচাই বাছাই কার্যক্রম সমাপ্ত হলে ঘোষনার মাধ্যমে প্রকাশ্য তালিকা ঝুলিয়ে দেওয়া হবে আমরা জানতে পারি। কোন আবেদনকারী ফলাফলে সংক্ষুব্ধ হলে যাতে ১৫ দিনের মধ্যে তিনি জাতীয় কাউন্সিল বরাবর আপীল করতে পারেন বলে আশ্বাস্থ করা হয়। কিন্তু ২০ ফেব্রুয়ারী পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানতে পারি যাচাই বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। ৫শ আবেদনের মধ্যে ১শ ৮৪ জনের আবেদন গৃহীত হয়েছে। তাৎক্ষনাৎ নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে যেয়ে নোটিশ বোর্ড বা কোথাও তালিকা টানানো দেখতে না পেয়ে সরাসারি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকটে জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তারিত জানতে পারি। এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান গত ২০ ফেব্রুয়ারী নাম ছাড়া শুধু সংখ্যা প্রকাশ করা হয়েছে। নাম সম্বলিত তালিকাটি গোপন রাখা হয়েছে। ফলে সংক্ষুদ্ধ ব্যক্তিদের আপীলের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে বলে আমি মনে করি। তাছাড়া মহামান্য হাইকোর্টে বিচারাধীন থাকা অবস্থায় আদালত কে উপেক্ষা করে যাচাই-বাছাই সম্পন্ন করে অনিয়নমতান্ত্রিক তালিকা পাঠানো হয়েছে। কারণ মহামান্য হাইকোটে একজন মুক্তিযোদ্ধা বিগত ৬ ফেব্রুয়ারী তারিখে একটি রিট আবেদন করলে জাষ্টিস এন্ড ডিম্যান্ড নোটিশের মাধ্যমে ১৩ ফেব্রুয়ারী তারিখে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অবগত হয়েছেন। মহামান্য হাইকোট ১৯ ফেব্রুয়ারী তারিখে থেকে যাচাই বাছাই কমিটির সকল কার্যক্রম আগামী ৩ মাসের জন্য স্থগিত আদেশ দিয়েছেন। উক্ত আদেশের বিপক্ষে কতিপয় ব্যক্তি লোভের বশবর্তী হয়ে সরকারের লক্ষ্য ও উদ্দ্যেশ্য ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করেছেন বলে আমি সহ উপস্থিত আমরা সকলে মনে করি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এসএম সামছুল হুদা, সরদার হাফিজুর রহমান, শাবাবুদ্দীন আহম্মেদ, নুরুল ইসলাম প্রমুখ। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটিতে আমাকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। যাচাই বাছাই সম্পন্ন করার স্বার্থে কমিটির অন্যান্যদের একত্রিত করা আমার প্রকৃত কাজ। আমি সেটি করেছি মাত্র। বাদ পড়া বা থাকা এতে আমার কোন স্বার্থ নেই। কারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা সেটা কমিটির অন্যান্য সদস্যরাই ঠিক করবেন এবং করেছেনও তাই। তিনি আরও বলেন তালিকা প্রস্তুত করে সঠিক সময় টানোর ব্যাপারে আমার সাথে কাহারও সাথে কথা হয়নি, বিধি সম্মতভাবে তালিকা প্রকাশ ও প্রেরণ করা হয়েছে।