রবিবার ● ৫ মার্চ ২০১৭
প্রথম পাতা » বিবিধ » ডুমুরিয়ায় প্রভাবশালীরা শালতা নদীর চরে অবৈধ্য ভাবে দখল করে দ্বিতল ভবন নির্মান করছে
ডুমুরিয়ায় প্রভাবশালীরা শালতা নদীর চরে অবৈধ্য ভাবে দখল করে দ্বিতল ভবন নির্মান করছে
অরুন দেবনাথ, ডুমুরিয়া ঃ
খর¯্রােতা শালতা নদী এখন খালে পরিনত হচ্ছে অপরদিকে চর-ভরাট স্থান গুলি অবৈধ্যভাবে দখল করে নিচ্ছে বৈটাহারা বহুমূখী সমবয় সমিতি লিঃ এর প্রভাবশালী কতিপয় ব্যাক্তি। পলি পড়ে ক্রমেই ভরাট হয়ে যাওয়া নদীর দুই পাড়ে, এই-ভাবে চলচ্ছে দখলদারিত্ব। অবৈধ্য ভাবে প্রভাবশালিরা এনজিও অফিস বাড়িঘড় নির্মাণসহ গড়ে তোলা হচ্ছে মাছের ঘের। ফলে নদী সর্ঙ্কীর্ণ খালে পরিনত হচ্ছে। এর ফলে এই অঞ্চলে হাজার হাজার একর জমির চাষবাদ মৎস্যচাষ থেকে ব্যাহত হচ্ছে।
ডুমুরিয়া উপজেলার খর¯্রােতা শালতা নদীর ভরাট চরে অবৈধ্য ভাবে দখল নিয়ে আলিশান ভবন তৈরি করে করা হচ্ছে বৈটাহারা বহুমূখী সমবয় লিমিটেড সমিতির অফিস। ৫৩ জন সদস্য নিয়ে স্থাপিত হয় ২০০৭ সালে,তার পর ডুমুরিয়া উপজেলায় সমবায় অফিসে রেজিস্ট্রেশন হয় ২০০৮ পরে সংশধনী ২০১৩ সাল। সমিতির শুরুতে সাধারন সম্পাদক মৃনাল কান্তি রায় পদটি ক্ষমতার দাপটে ধরে রেখেছে। সদস্যসহ এলাকার সাধারন মানুষের মধ্যে চড়া সুদে লেনদেন অব্যহত রয়েছে। যদি কোন সদস্য প্রতি মাসে সুদসহ কিস্তির টাকা দিতে ব্যার্থ হয় তাকে বিভিন্ন ভয়, হুমকি ধামকি দিয়ে কিস্তির টাকা পরিশোধ করিয়ে থাকে। এতে কয়েকটি পরিবার প্রায় সর্বশান্ত হয়ে পথে বসেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন ভূমিহীন পরিবার শুকেন মন্ডল মৃত্যুর আগে ১একর ৪০শতক নদী ভরাটিয়া চর বন্দোবস্ত নিয়ে সুখে বসবাস করতে থাকেন। কিছ ুদিন পরে সমবায় সমিতি থেকে মাছ চাষ করার জন্য কিছু অর্থ মাসিক কিস্তি হিসাবে লোন নিয়ে থাকে। প্রতি মাসে কিস্তির টাকা সময় মত দিতে ব্যার্থ হলে বৈটাহারা বহুমুখী সমবায় সমিতির সাধারন সম্পাদক মৃনাল কান্তি রায় শুকেন মন্ডলকে লোনের টাকা পরিশোধ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের চাপ দিতে থাকে। টাকা দিতে ব্যার্থ হয়ে ভাবনা চিন্তায় তার মৃত্যু ঘটে, কিন্তু সমিতির সাধারন সম্পাদক মৃনাল কান্তি রায় পিছু হটেনি। তার ছেলে পুত্র বধুকে উচ্ছেদ করে অবৈধ্য ভাবে ওই জমি দখল করে সেখানে আলিসান ভবন তৈরি করচ্ছে। শুকেন মন্ডলের বড় ছেলে ক্ষুদার জালায় আতœহত্যা করে তার স্ত্রী এখন ইট ভাটায় কাজ করে জীবন যাপন করছে। বর্তমান ওই ভবনটির নাম করন করা হচ্ছে বৈটাহারা সমবায় সমিতি লিমিটেড। সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কোটি কোটি টাকার লোন খাটানো হচ্ছে তা ছাড়া আঁধার মানিক হাইস্কুলের দক্ষিন পার্শ্বে ১৭ বিঘা জমি ক্রয় করা হয়েছে। সেখানে প্রস্তাবিত ও পরিকল্পিত পোল্টি খামার, হাঁস পালন মাছ, ভেড়াসহ বিভিন্ন ধরনের ব্যাবসার সঙ্গে জড়িত এমনটি কথা জানালেন ওই সমিতির সভাপতি নিরাঞ্জন মন্ডল। তিনি আরও জানান সমবায় সমিতির ভবন তৈরির কাজ এখন শেষ করতে পারেনি এখনও ওই ঘরটি তৈরি করতে হলে ৮/৯ লাখ টাকার প্রয়োজন। তবে আমাদের এই সমিতির ভবন উদ্ভোধন করার সময় জেলা প্রশাসন উপজেলা সমবায় কর্মকর্তার হাত দিয়ে করা হবে। কিন্তু আমরা শুকেন মন্ডকে কোন লোন দেইনি বা তাদের উপরে কোন নির্যাতন করা হয়নি বরং ১লাখ ৩৬ হাজার টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছি।এব্যাপারে ডুমুরিয়া উপজেলা সমবায় অফিসার খন্দ্কার জহিরুল ইসলাম বলেন আমি নতুন এসেছি আমি এই বিষয় জানিনা তবে পরে বিষয়টি দেখবো। উপজেলা সহকারী ভূমি কর্মকর্তা বলেন নদী ভরাটিয়া চরে ভবন তৈরি করা অবৈধ্য, আমার বিষয়টি জানা নেই আমি এখন ঢাকায়, অফিসে এসে সরজমিনে বিষয়টি দেখবো।