মঙ্গলবার ● ৭ মার্চ ২০১৭
প্রথম পাতা » কৃষি » আশাশুনির বুধহাটায় কৃষি জমিতে লোনা পানি উত্তোলনে বোরো চাষীদের মাথায় হাত
আশাশুনির বুধহাটায় কৃষি জমিতে লোনা পানি উত্তোলনে বোরো চাষীদের মাথায় হাত
মোঃ নুর আলম, আশাশুনি(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের ০৯ নং ওয়ার্ডের পাইথালী মৌজার পাইথালী বিলে অবৈধ ভাবে লোনা পানি উত্তোলনের ফলে বিলের প্রায় দুই শতাধিক বিঘা জমির বোরো ফসলের খেত ও বেশ কয়েকটি মিষ্টি পানির মাছের ঘের মারাত্মক ভাবে হুমকির মুখে। আর এ অবৈধ লোনা পানি উত্তোলন বন্ধের দাবি জানিয়ে ৭মার্চ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন পাইথালী বিলের অধিকাংশ বোরো চাষী ও মিষ্টি পানির ঘের মালিক। লিখিত অভিযোগে প্রকাশ, পাইথালী বিলের প্রায় তিন শতাধিক বিঘা জমির অধিকাংশ মালিকরা বোর করে মাটির নিচের পানি তুলে ধান ও মিষ্টি পানির মাছের চাষ করে আসছিল। কিন্তু ২ সপ্তাহ পূর্বে পাইথালী গ্রামের মৃত: মনিরুদ্দীন সরদারের পুত্র ছেলিম রেজা সোনা, হাজিডাঙ্গা গ্রামের সাবেরুদ্দীন সরদারের পুত্র কবিরুল ইসলামসহ ৪/৫ জন জমির মালিক পাশ্ববর্তী নৈকাটি বিলের সীমানা ভেড়ির নিচে দিয়ে পাইপ ঢুকিয়ে জোর পূর্বক অবৈধ ভাবে লোনা পানি উত্তোলন করছে। লোনা পানি উত্তোলনের ফলে কয়েক দিনের মধ্যেই নবনাক্ততার কারনে পাশ্ববর্তী ২/১টি ফসলের খেতের ধান মরে যেতে শুরু করেছে। শিঘ্রই লোনা পানি উত্তোলন বন্ধের ব্যবস্থা গ্রহন না করা গেলে বিলের দুই শতাধিক বিঘা জমির ধান ও মাছের ঘের সম্পূর্ন ক্ষতি গ্রস্থ হবে। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, নৈকাটি ও পাইথালী বিলের সীমানা ভেড়ির নিচে দিয়ে প্রায় ৭/৮টি পাইপের সহায্যে লোনা পানি প্রবেশের কারনে কয়েকটি খেতের ধান মরে যেতে বসেছে। এভাবে চলতে থাকলে বাকি ১৮০-২০০ বিঘা জমির বোরো ধান অচিরেই মরে যাবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগকারী ছলেমান সরদার, বেল্লাল হোসেন, মঙ্গল বিশ্বাস, বারীক ও কবির হোসেন জানান, কঠিন পরিশ্রম করে, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে, সমিতি থেকে লোন নিয়ে এ ফসল আমরা লাগিয়েছি। লোনার কারনে ফসল মরে গেলে আমরা পথে বসবো। পাইথালী বিলের কৃষক ও এলাকার সচেতন মহলের দাবি অনতী বিলম্বে বিলের বোরো ফসল ও মিষ্টি পানির মৎস্য ঘেরের পুরোপুরি ক্ষতি সাধনের পূর্বে লোনা পানি উত্তোলন বন্ধে উদ্ধতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহন করার দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।