রবিবার ● ১২ মার্চ ২০১৭
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » শালিখার সীমাখালীর ভাঙ্গা ব্রীজের পার্শ্বে বেইলী ব্রীজ তৈরীর ওয়াদা স্বপ্নই রয়ে গেল দক্ষিন বঙ্গের যাত্রীদের জনদুর্ভোগ
শালিখার সীমাখালীর ভাঙ্গা ব্রীজের পার্শ্বে বেইলী ব্রীজ তৈরীর ওয়াদা স্বপ্নই রয়ে গেল দক্ষিন বঙ্গের যাত্রীদের জনদুর্ভোগ
মাগুরা প্রতিনিধি ॥ শালিখার চিত্রা নদীর উপর দক্ষিন বঙ্গের সবচেয়ে জনগুরুত্বপুর্ন সীমাখালীর ব্রীজটি ভেঙ্গে পড়ার পর প্রায় ১ মাস অতিবাহিত হতে চললেও আজও পর্যন্ত সেখানে বেইলী ব্রীজ নির্মানের কোন আলামত দেখা যাচ্ছে না।গত ১৩ ফেব্রড়য়ারী দক্ষিন বঙ্গের সবচেয়ে জনগুরুত্বপুর্ন সীমাখালীর এই ব্রীজটি ভেঙ্গে পড়ার পর ঐদিনই মাগুরা সড়কও জনপথ বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং একটি বাশের চাড় তৈরী করিয়াদেন নিজের অর্থায়নে। ১৯ ফেব্রড়য়ারী স্থানীয় এমপি,যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. বীরেন শিকদার এবং তার আগের দিন প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব এড. সাইফুজ্জামান শেখর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।ইতিপুর্বে নবনির্বাচিত মাগুরা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পংকজ কুমার কুন্ডু তার সকল সদস্যবর্গ নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সকল শীর্ষনেত্বৃবর্গের সঙ্গে জেলার বিভিন্ন অফিসের শীর্ষকর্মকর্তা,জনপ্রতিনিধিও রাজনৈতিক নেতারাও উপস্থিত হন।স্থানীয় এমপি ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী এড.ড. বীরেন শিকদার, প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব এড. সাইফুজ্জামান শেখরসহ মাগুরা সড়কও জনপথ বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এক সপ্তাহের মধ্যে বেইলী ব্রীজের নির্মান কাজ শুরু করাহবে। ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যেই গুরুত্বপুর্ন এ মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করার ঘোষনা দেন।এরপর এখানে একটি চার লেনের কংক্রিটের ব্রীজ নির্মানেরও ঘোষনা দেন ।অথচ প্রায় ১ মাস অতিবাহিত হতে চললেও আজও পর্যন্তু সেখানে বেইলী ব্রীজ নির্মানের কোন আলামত দেখা যাচ্ছে না।এসব কারনে যশোর মাগুরা সড়কের হাজার হাজার যাত্রীরা প্রতিনিয়ত সড়ক থেকে২০/২৫হাত নিচেই নদী গর্ভে নেমে নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো পার হয়ে লোকাল বাস,নছিমন,করিমনও ইজিবাইকে জীবনের ঝুকি নিয়ে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছে।আর একটি নড়বড়ে বাশেঁর সাকোঁর উপর দিয়ে প্রতিদিন শত শত মটরসাইকেল জীবনের ঝুকি নিয়ে এপার ওপার করতে বাধ্য হচ্ছে।ব্রীজ ভেঙ্গে থাকার কারনে সকল যানবাহন ঝিনাইদহ হয়ে ৩৪ কিলো: ঘুরে মাগুরা পৌছাতে যেমন যানজট বৃদ্ধি পেয়েছে,তেমনি পার্শ্ববর্তি বড়খুদড়ার ছোট ব্রীজ পার হয়ে ছোট ছোট গাড়ী ৪কিলোঃ পথ ঘুরে সীমাখালী পৌছাতে যানজটের সৃষ্টির পাশাপাশি রাস্তা ভেঙ্গে চুরমার হচ্ছে।অন্যদিকে সীমাখালী থেকে ৭ কিলোঃ পুর্বে হাজরাহাটির বেইলী ব্রীজের উপরও প্রচুর গাড়ী চলাচলের চাপ বেড়েছে।ঐ ব্রীজটিও ভেঙ্গে পড়ার আশংকা করছে এলাকাবাসী দাবি।
এদিকে সীমাখালী থেকে ৪/৫ কিলোঃপুর্বে কাদিরপাড়া খেয়াঘাটের চিত্রা নদীর উপর নারিকেলবাড়ীয়ার ব্রীজটির নির্মান কাজ ৯ মাস আগে শেষ হলেও সাধারন মানষ চলাচলের জন্য খুলে না দেয়ারজন্য ক্ষোভ ও দুর্ভোগ আরো চরমে পৌছে গেছে।এ ব্রীজটি চালু হলেও অনেক জনদুর্ভোগ লাঘব পাবে বলে এলাকাবাসী জানান।সীমাখালীর চিত্রা নদীর উপর ভাঙ্গা ব্রীজের পার্শ্বে বেইলী ব্রীজ তৈরীর ওয়াদা কবে পুরন হবে, না স্বপ্নই রয়ে যাবে? দক্ষিন বঙ্গের সবথেকে গুরুত্বপুর্ন লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রানের দাবী সত্বর এখানে একটি বেইলী ব্রীজ নির্মান করে কোটি মানুষের চরম দুর্ভোগ লাঘব করা হোক।কারন বর্ষা হলেই সব আশা, ভরসা,ওয়াদা, প্রত্যাশা,প্রতিশ্ররতি ভেস্তে যাবে বলে এলাকাবাসী আশংকা প্রকাশ করেছেন।