রবিবার ● ১২ মার্চ ২০১৭
প্রথম পাতা » শিক্ষা » পাইকগাছায় স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচন বানচাল করার অপচেষ্টার অভিযোগ
পাইকগাছায় স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচন বানচাল করার অপচেষ্টার অভিযোগ
এস ডব্লিউ নিউজ ॥
পাইকগাছায় চাঁদখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক অভিভাবক স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচন বানচাল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
প্রাপ্ত সূত্রে জানাগেছে, গত ৭ মার্চ উপজেলার ৩৫নং চাঁদখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচনের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান প্রতিনিধি মনোনীত করার ক্ষেত্রে প্রাথীদের মধ্যে কোন সমঝোতা না হওয়ায় নির্বাচন কমিশনার লটারীর মাধ্যমে প্রধান প্রতিনিধি নির্বাচন সম্পন্ন করেন। লটারীতে মৃদুল হাসান সানি প্রধান প্রতিনিধি মনোনীত হলেও তা মেনে নিতে পারেননি আশিক বিল্লাহ নামের এক প্রার্থীর অভিভাবক। অভিযোগ উঠেছে, আশিকের অভিভাবক জিএম মঈদ নির্বাচন চলাকালীন স্কুলে প্রবেশ করে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করা সহ স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচন ম্যানুয়াল অনুযায়ী সম্পন্ন হওয়া বৈধ নির্বাচনকে বানচাল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। এমনকি তিনি শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ছড়িয়ে স্কুল ও শিক্ষকদের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন করেছেন। এ প্রসঙ্গে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শংকর প্রসাদ রায় জানান, স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচন সম্পূর্ণ শিক্ষার্থীদের বিষয়। এখানে শিক্ষক কিংবা অভিভাবকদের হস্তক্ষেপ করার কোন সুযোগ নাই। নির্বাচনী ম্যানুয়াল অনুযায়ী খসড়া ভোটার তালিকা প্রণয়ন, নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ ও তফসিল ঘোষণা সহ যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন ৫ম শ্রেণীর ছাত্র নাঈম হোসেন। তফসিল অনুযায়ী ১ মার্চ অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মোট ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। ৩য় থেকে ৫ম শ্রেণীর মোট ১৯৭ জন ভোটারের মধ্যে ১৬৬ জন ভোটার ভোট প্রয়োগ করেন। যার মধ্যে ১৪ ভোট বাতিল হয়। প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী আশিফ বিল্লাহ, আছিয়া খাতুন, নাঈমা খাতুন, মুজাহিদুল ইসলাম, রাকিব আহম্মেদ ও মৃদুল হাসান সানি প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়। নিয়ম অনুযায়ী প্রতিনিধিদের প্রথম সভায় প্রধান প্রতিনিধি মনোনীত করা। সে অনুযায়ী ৭ মার্চ প্রথম সভায় কোন সমঝোতা না হওয়ায় নির্বাচন কমিশনার লটারীর মাধ্যমে প্রধান প্রতিনিধি মনোনীত এবং অন্যান্য প্রতিনিধিদের দপ্তর বন্টনের কাজ সম্পন্ন করেন। এ ব্যাপারে একাধিক শিক্ষক ও অভিভাবকরা জানান, নির্বাচনী ম্যানুয়ালে ৩.৫ এর ধারায় উল্লেখ রয়েছে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা প্রথম সভায় প্রধান প্রতিনিধি মনোনীত করবেন। কিন্তু অভিভাবক জিএম মঈদ নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে তিনি নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করা সহ তার ছেলে বেশি ভোট পাওয়ায় প্রধান প্রতিনিধি মনোনীত করার জন্য অপচেষ্টা চালায়। বর্তমানে তিনি সুষ্ঠু নির্বাচনকে বানচাল করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন অনেকেই। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।