মঙ্গলবার ● ১৪ মার্চ ২০১৭
প্রথম পাতা » সর্বশেষ » কাঁঠালতলা বাজারে চায়ের দোকানে গুলোতে প্রকাশ্যে বসছে জোয়ার বোর্ড
কাঁঠালতলা বাজারে চায়ের দোকানে গুলোতে প্রকাশ্যে বসছে জোয়ার বোর্ড
ডুমুরিয়া প্রতিনিধি ॥ কাঁঠালতলা বাজারে চায়ের দোকানে গুলোতে প্রকাশ্যে বসছে জোয়ার বোর্ড। এব্যাপারে প্রশাসনের কোন পদক্ষেপ না থাকায় দিন দিন বেড়ে যা্েচছ এর প্রভাব। ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে পরিবারের সদস্যরা।
সরজমিনে দেখা যায়,ডুমুরিয়া উপজেলার কাঁঠারতলা বাজারে ২০/৩০টি চায়ের দোকান রয়েছে। এরমধ্যে আনন্দ বিশ্বাস,কাশেম শেখ,আক্তার বিশ্বাস,নজু খাঁ,মফিজুল বিশ্বাস,সিরাজুল ইসলাম বিশ্বাস ও এনামুল বিশ্বাস দোকানে খরিদ্দার বাড়ানোর জন্য সকাল হতে রাত ১২/১টা পর্যন্ত টেলিভিশন চালানো হয়। মাঝে মধ্যে গভীর রাতে অশ্লীল ছবিও দেখানো হয়। কিন্তু বর্তমানে বাজার কমিটির এক নেতার সম্মতিক্রমে বিকাল পড়লেই চায়ের দোকান গুলোতে বসানো হচ্ছে জোয়ার বোর্ড। এছাড়া শ্যামলের আম বাগান ও স্থানীয় এক আওয়ামীলীগ নেতার অফিসেও বসছে জোয়ার বোর্ড। এখানে প্রভাবশালী থেকে শুরু করে উঠতি বয়সের যুবক,ব্যবসায়ী ও দিন মজুররাও কাজকর্ম শেষ করে বিকালে এসে হাজির হচ্ছে। ভোর রাত পর্যন্ত চলছে এ জোয়ার বোর্ড। অনেকে সর্বশান্ত হয়ে সকালে বাড়ি ফিরে যা্েচছ। যার প্রভাব এসে পড়ছে তার পরিবারের উপর। জোয়ার বোর্ড থেকে সর্বশান্ত হওয়ার পর মাথায় কোন কাজ না করায় নির্যাতনের স্বীকার হতে হ্েচছ পরিবারের সদস্যদের। এ সমস্ত জোয়ারীদের নির্যাতনের হাত হতে রক্ষা পাচ্ছে না মাতা-পিতা,স্ত্রী-সন্তানরাও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গরীব পিতামাতা ও স্ত্রীরা জানায়,সারাদিন পরের কাজ শেষ করে তাদের সন্তান বা স্বামী বিকালে কাঁঠালতলা বাজারে আসে। সারারাত তাস খেলে সর্বশান্ত হয়ে সকালে বাড়িতে গিয়ে সমস্ত রাগ ঝাড়ে আমাদের উপর। দিন মজুর স্বামীর এক স্ত্রী জানায় আমি আমার স্বামীকে ৫/৭দিন রাতে বাজারে এসে তাস খেলা থেকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আমার স্বামী আমাকে মেরে বাপের বাড়িতে তাড়িয়ে দেয়। নিরুপায় হয়ে এখন আমি তাকে কিছু বলি না। তাই এ অঞ্চলের প্রতিটি পরিবারের প্রশাসনের কাছে জোর দাবি যতদ্রুত সম্ভব কাঁঠালতলা বাজারের এই জোয়ার আসর ভেঙ্গে দেয়া হোক। এব্যাপারে বাজার বনিক সমিতির সভাপতি আজিজুর রহমানের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
ডুমুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সুভাস বিশ্বাস বলেন,এ বিষয়টি আমি জানতাম না। যখন জানতে পেরেছি তখন আজই আমি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করব।