শুক্রবার ● ৭ এপ্রিল ২০১৭
প্রথম পাতা » শিক্ষা » মাগুরায় বিদ্যালয় মাঠে পশুর হাট শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত
মাগুরায় বিদ্যালয় মাঠে পশুর হাট শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত
মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরা-যশোর সড়কের পাশে শালিখা উপজেলার সীমাখালি বাজার সংলগ্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাঠে সাপ্তাহিক পশুর হাট বসার কারণে শিক্ষার পরিবেশ মারাত্বকভাবে ব্যাহত হচ্ছে ।
সীমাখালি স্কুল এ্যান্ড কলেজ ও সীমাখালি মডেল প্রাইমারি স্কুলের প্রায় ১ হাজার ৩শ’ শিক্ষার্থীর স্বাস্থ্যঝুঁকিসহ যাতায়াত ও খেলাধূলার ব্যাপারে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে । সাপ্তাহিক গো-হাটের দিন সরেজমিন সীমাখালি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারের পাশেই সীমাখালি স্কুলের সামনে বিশাল মাঠজুড়ে সাপ্তাহিক গরু-ছাগলের হাট বসেছে । মাঠের এক অংশ পশুর হাটে আগতদের গণপ্রসাবখানায় পরিণত হয়েছে । এর পাশে সারা মাঠজুড়েই গরু-ছাগলের বর্জ্য ও রকমারি গর্ত,নালা-নর্দমার সৃষ্টি হয়েছে । শিক্ষার্থীদের খেলাধূলা তো দূরের কথা সে মাঠে স্বাভাবিক ভাবে হাঁটা-চলাই দুষ্কর হয়ে পড়েছে । ফলে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষাকার্যক্রমসহ স্বাভাবিক চলাফেরা ও খেলাধূলা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে ।
সীমাখালি স্কুল এ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম জানান , এ পশুর হাট অন্যত্র সরানোর জন্য অনেক চেষ্টা করেও কোনো ফল হয়নি । তবে অন্য স্থানে সরানোর জন্য জোরচেষ্টা চলছে । তিনি আরো বলেন , এ গো-হাট থেকে কিছু অর্থ বিদ্যালয় কতৃপক্ষকেদেয়া হয় । তবে কী পরিমান অর্থ দেয়া হয় তা তিনি জানেন না ।
সীমাখালি মডেল প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক অরুণ চক্রবর্তী বলেন , গো-হাটের ব্যবহৃত মাঠটির কিছু অংশ প্রাইমারি স্কুলের মাঠ । সাপ্তাহিক গো-হাটের জন্যকোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ও মানসিক বিকাশের সূষ্ঠু পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে ।
পশু হাটের ইজারাদার আকবর ঢালী জানান, দীর্ঘদিন ধরে এখানে গো-হাট বসছে । সীমাখালি বাজারের কোথাও তেমন কোন মাঠ না থাকার কারণে আমরা বিদ্যালয় কতৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই সপ্তাহের দুইদিন গো-হাট বসিয়ে কাজ করছি । প্রতি সপ্তাহের হাটে সীমাখালি স্কুল এ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষককে ১ হাজার ৩শ’ ও সীমাখালি মডেল প্রাইমারি স্কুলকে ৫শ’ টাকা করে দিয়ে যাচ্ছি । তবে এজন্য তিনি কোনো রশিদ চেয়েও পান না বলে জানান ।
তিনি আরো বলেন , তাছাড়া বিদ্যালয়ের মাঠটি মাগুরা-যশোর সড়কের পাশে হওয়ায় গো-হাট ভাল জমে । সীমাখালি বাজারের এ গো-হাটটি যশোর-মাগুরার মাঝামাঝি হওয়ায় দুই জেলার ক্রেতাদের প্রতি হাটে পাওয়া যায় । পশু বিক্রিও ভালো হয় ।