সোমবার ● ১০ এপ্রিল ২০১৭
প্রথম পাতা » বিবিধ » পাইকগাছায় ছাত্তার ফকির কর্তৃক অমল কর্মকারের বসতবাড়ী ঘেরা বেড়া দিয়ে অবরুদ্ধ করার অভিযোগ
পাইকগাছায় ছাত্তার ফকির কর্তৃক অমল কর্মকারের বসতবাড়ী ঘেরা বেড়া দিয়ে অবরুদ্ধ করার অভিযোগ
এস ডব্লিউ নিউজ ॥
পাইকগাছার উত্তরসলুয়া গ্রামের ছাত্তার ফকিরের বিরুদ্ধে অমল কর্মকারের পৈত্রিক সম্পত্তিতে বসবাসরত বসতবাড়ীর সামনে ঘেরা বেড়া দিয়ে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে থানা পুলিশ বরাবর অভিযোগ ও একাধিকবার শালিসি বৈঠক হয়েছে। সর্বশেষ বিষয়টি সোমবার উপজেলা পরিষদের আইন শৃংখলা সভায় উত্থাপিত হয়েছে।
প্রাপ্ত অভিযোগে জানাগেছে, উপজেলার উত্তর সলুয়া গ্রামের মৃত বলরাম কর্মকারের ছেলে অমল কর্মকার গংরা উত্তরাধিকার সূত্রে পৈত্রিক সম্পত্তির উপর দীর্ঘদিন বসবাস করে আসছে। বলরামের ৫ ছেলে যথাক্রমে শ্যামল, অমল, পরিমল, নির্মল ও বাসুদেব কর্মকার। অমলের ৫ ভাইয়ের মধ্যে পরিমল মৃত্যুবরণ করেছে। অনুরূপভাবে আরেক ভাই নির্মল ধর্মান্তরিত হয়। যার ফলে বলরামের রেখে যাওয়া সম্পত্তি ছেলে অমল, শ্যামল, বাসুদেব ও নির্মল ভোগ দখল করে আসছিল। উত্তরসলুয়া মৌজায় এসএ ২৪ খতিয়ানের ৩৩৮ থেকে ৩৪১ দাগে মোট ৩.৫৩ একর সম্পত্তি বলরামের ছেলেরা বসতবাড়ী নির্মাণ করে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করে আসছিল। এরমধ্যে নগর শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত ছমির ফকিরের ছেলে ছাত্তার ফকির শ্যামল ও বাসুদেবের নিকট থেকে বিভিন্ন দাগ হতে ৪৩.৭৫ শতক জমি খরিদ করেন। খরিদের পর অতিরিক্ত জমি জবর দখল করা নিয়ে উভয়ের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র ও শর্ত অনুযায়ী ছাত্তার ফকিরকে তার প্রাপ্য ৩৩৮ দাগে ৮.৬০, ৩৯ দাগে ১০.৯৬, ৪০ দাগে ১০.৫০, ৪১ দাগে ১১.১১ ও ৬১ দাগে ২.৫০ শতক জমি বুঝে দিলেও তিনি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অমলের বসতবাড়ী সহ ভোগ দখলে থাকা বিভিন্ন দাগ থেকে ছাত্তার ফকির অতিরিক্ত জমি জবর দখল করেছেন বলে ভুক্তভোগী কর্মকার পরিবার অভিযোগ করেছেন। এ ব্যাপারে অমল কর্মকার জানান, ৩৯ দাগে আমি পরিবার সহ দীর্ঘ দিন বসবাস করে আসছি। এই দাগে ছাত্তারের পাওনা ১০.৯৬ শতক জমি, যা তাকে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতে সার্ভেয়ার দ্বারা মেপে বুঝে দেয়া হয়েছে। তিনি কোন কিছু তোয়াক্কা না করে জোরপূর্বক আমার বসতবাড়ীর সামনে ঘেরা বেড়া দিয়ে অতিরিক্ত জমি জবর দখল করে গোটা পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। এ ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে তিনি থানার শালিস নামায় স্বাক্ষর করে বিষয়টি মিমাংসা করতে সম্মতি প্রদান করেন। পরবর্তীতে থানা থেকে বাড়ি এসে থানার শালিসি সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আমাদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এমন ভাবে আমার বসত ঘরের সামনে ঘেরা বেড়া দিয়েছে যে আমরা ঠিকমত চলাফেরা করতে পারছি না। ইতিপূর্বে তার লোকজন আমার বসত ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয় এবং আমার স্ত্রীকে বেদম মারপিট করে। এ বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলতে গেলে আমাদেরকে মারপিট, হাতে লোটা কম্বল ধরিয়ে দিয়ে ভারতে চলে যাওয়ার হুমকি দেয়। এমনকি প্রতিপক্ষ ছাত্তার ও তার লোকজন আমার স্ত্রী পান্নাকে বেদম মারপিট করার কারণে এখনো অসুস্থ রয়েছে এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে চিকিৎসা নিতে হয়। প্রভাবশালী ছাত্তার ফকির কর্তৃক কর্মকার পরিবারের প্রতি অমানবিক আচারণের এ বিষয়টি সোমবার সকালে আইন শৃংখলা সভায় উত্থাপিত হলে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।