রবিবার ● ১৬ এপ্রিল ২০১৭
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » শালিখায় নাপতির খাল খননে হত দরিদ্রদের সুফলের নামে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা লোপাট
শালিখায় নাপতির খাল খননে হত দরিদ্রদের সুফলের নামে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা লোপাট
মাগুরা প্রতিনিধি ঃ
শালিখার গঙ্গারামপুর ইউনিয়নের রামানন্দকাঠি গ্রামে মৎস্য অধিদপ্তর ১৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এ বছর যে খালটি সংস্কার করেছে সেটি কোন খালই নয়। যেন বদ্ধ ডোবা ছাটাই করা হয়েছে। আনুমানিক ১৫০ মিটার লম্বা ও প্রস্থে ২০/২৫ হাত চওড়া এই আবদ্ধ ডোবাটির নাম যদিও নাপতির খাল বলে পরিচিত কিন্তু খালের কোন কার্যক্রম এখানে নেই বলে এলাকাবাসি জানান।
জানা গেছে, চিত্রা নদী থেকে উপরের ৪০/৪৫ মিটার দক্ষিনে খালের মুখ আটকে দিয়ে রাস্তা নির্মান করা হয়েছে। এখানে কোন ব্রিজ বা কালভার্ড নেই। এই রাস্তার দক্ষিন দিকে প্রায় ১৫০ মিটার জায়গা শেষে দীর্ঘ দিন পুর্বে মাটি ভরাট করে ঘরবাড়ি ও পুকুর খনন করা হয়েছে। এ পুকুরের পাড়ও ইট সিমেন্ট দিয়ে পাকা করা আছে। ফলে নাপতির খাল এখন আবদ্ধ ডোবাই পরিনত হয়েছে। আর এই আবদ্ধ ডোবাটি সংস্কার করতে মৎস্য অধিদপ্তর এ বছর ১৫ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ দেয়। যা ঐ গ্রামের হত দরিদ্রদের ভাগ্যে সুফল বয়ে আনার কথা ছিল। কিন্তু এখানে হত দরিদ্রদের সুফলের নামে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা লোপাট হয়েছে বলে ঐ গ্রামের অনেক হত দরিদ্রলোক মন্তব্য করেন। প্রকল্পের কোন সাইন বোর্ড এখানে নেই। কাজ শেষের সময়সীমার প্রায় ১ মাস আগেই জোড়াতালি দিয়ে কাজ শেষ করে পানি দিয়ে ভরে দেয়া হয়েছে। ঐ গ্রামের চৌকিদার সৈয়দ আকরাম আলী জানান “আমরা বার বার নিষেধ করা সত্বেও তারা পানি দিয়ে গর্ত ভরে দিয়েছে’’। গ্রামের মহিলা ইউপি সদস্য মোছাঃ চায়না বেগম লিখিত অভিযোগে জানান “প্রকল্পে যে সকল সুবিধাভোগীর নাম আছে তা সবই ভিত্তিহীন” একই ব্যক্তির নাম একাধিকবার, একই পরিবারের স্বামী-স্ত্রীর নাম, আবার সুবিধাভোগীদের অনেকেরই বাড়ি অন্যত্র, তারা কেউ ভুমিহীন নয়। এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ফিরোজ হোসেন জানিয়েছেন, তিনি কিছুই জানেন না এবং এ প্রকল্পে তিনি কোথাও স্বাক্ষরও করেননি। তড়িঘড়ি করে খাল চেঁছে ছুঁলে পানি ভরে দিয়ে মাছের পোনাও ছাড়া হয়েছে বলে প্রতিবেশীরা জানান।
খাল খননের অভিযোগের বিষয়ে শালিখা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানান, এ বিষয়ে আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ এসেছে। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যাবস্থা নেয়া হবে। উল্লেখ্য, শালিখার কালীদাস খাল খননের জন্য ঐ দপ্তর থেকে বরাদ্দকৃত ২৭ লক্ষ টাকাও ভুয়া ভূমিহীনদের সুবিধাভোগী দেখিয়ে একই ভাবে লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে সচেতন মহল উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সঠিক তদন্তের দাবী জানান।