শুক্রবার ● ৫ মে ২০১৭
প্রথম পাতা » সর্বশেষ » খুলনার ডুমুরিয়ায় সুবিধা বঞ্চিত বয়স্ক ও বিধবারা রয়েছে চরম দূর্ভোগে
খুলনার ডুমুরিয়ায় সুবিধা বঞ্চিত বয়স্ক ও বিধবারা রয়েছে চরম দূর্ভোগে
অরুণ দেবনাথ,ডুমুরিয়া
খুলনার ডুমুরিয়ায় সরকারী সুবিধা বঞ্চিত হত দরীদ্র বয়স্ক নর-নারী ও বিধবা মহিলারা রয়েছে চরম দূর্ভোগে। অতিকষ্টে দিনাতিপাত করছে তারা।সুবিধা বঞ্চিতদের আনেকেই বেচে থাকার জন্য বেছে নিয়েছে ভিক্ষা বৃত্তি। অনেক বৃদ্ধ শেষ বয়সে পেষা হিসেবে বেছে নিয়েছে ভ্যান গাড়ী।আবার অনেক বিধবা জীবন সংগ্রামে টিকে থাকতে ই্ট ভাটায় দিন মুজুর, ইট-পাথর ভাঙ্গা সহ বেছে নিয়েছেন নানা ধরনের পেষা।সব মিলে সিমাহীন দূর্ভোগে দিনাতিপাত করছে তারা বলে জানান।ডুমুরিয়া উপজেলা সমাজ সেবা অফিস ও পরিসংখ্যার অফিস সূত্রে জানা যায় ২০১১ সালের পরিসংখ্যানে ডুমুরিয়ায় ১৯ হাজার ৮ শত ৬৮ জন বয়স্ক নর-নারী রয়েছে।এর মধ্যে বয়স্ক ভাতা পেয়ে আসছে মাত্র ৭ হাজার ৭‘শ ৪১ জন।আর ১২ হাজার ৩‘শ ৪৩ জন বিধবার মধ্যে ৩ হাজার ৯‘শ ৩৭ জন বিধবা সরকারী সুবিধা পেয়ে আসছে। প্রতি তিন মাস অন্তর তারা ৫‘শ টাকা হরে ভাতা পেয়ে আসছে তারা।তাও আবার চাহিদার তুলনায় অতি সিমিত বলে অভিযোগ সুবিধা ভোগীদের।সরকারী সুবিধা বঞ্চিত ভ্যান চালক আঃ হাকিম (৭০),ইট ভাটার শ্রমিক বিধবা আনোয়ারা (৫২), ভিক্ষুক আলীবুদ্দিন মোড়ল (৭৫) ভিক্ষুক আলতা ভানু,লতিকা রায়, মনিষা রানী সহ অনেকেই বলেন আমাদের কপাল খারাফ তাই হয়তো আমরা সরকারী সুবিধা বঞ্চিত। শেষ বয়সে ক্ষুধার তাড়নায় বেছে নিয়েছি ভিক্ষা,দিন মুজুর,ভ্যান গাড়ী,ই্ট ভাটা,দিন মুজুর সহ নানা পেষা।হার মানতে হ্েচ্ছ জীবন যুদ্ধে।সরকারী সুবিধা ভোগীদের অনেকেই অভিযোগ করে বলেন প্রতি মাসে ৫‘শ টাকায় এক জন মানুষের কি হয়। সরকার কি ভাতার পরিমান একটু বাড়াতে পারে না ? সরকারী সুবিধা ভোগী ও সুবিধা বঞ্চিতদের ক্ষোভ-কষ্ট প্রসংগে উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার খান আনিচুর রহমান বলেন ২০১৬/১৭ অর্থ বছরে ডুমুরিয়ায় ৭ হাজার ৭‘শ ৪১ জ কে বয়স্ক ভাতা ও ৩ হাজার ৯‘শ ৩৭ জন বিধবা বিধবা ভাতা পেয়ে আসছে।সরকার ভাতার অংক না বাড়ালে আমাদের তো কিছু করার নেই।তিনি আরো বলেন সরকারী কোটা অনুযায়ী প্রতিটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান-মেম্বরদের নিকট থেকে যে তালিকা আসে সে অনুযায়ী নামের তালিকা মন্ত্রনালয়ে প্রেরন করা হয়।এ ক্ষেত্রে কে দরীদ্র বা হত-দরীদ্র সেটি তারাই ভাল জানে।তাছাড়া সরকারী কোটার বাইরে যাওয়ার কোন সুযোগ আমাদের নেই।তবে আস্তা-আস্তে সকলে হয়তো সরকারী সুবিধার আওতায় আসবে বলে আমার বিশ্বাস।