শুক্রবার ● ২ জুন ২০১৭
প্রথম পাতা » বিবিধ » পাইকগাছায় মিনহাজ নদীর দখল কতৃত্ব নিয়ে দায়ের করা একাধিক মামলার কারণে এলাকা এখন পুরুষ শূন্য
পাইকগাছায় মিনহাজ নদীর দখল কতৃত্ব নিয়ে দায়ের করা একাধিক মামলার কারণে এলাকা এখন পুরুষ শূন্য
এস ডব্লিউ নিউজ ॥
পাইকগাছার আলোচিত মিনহাজ নদী নিয়ে দু’পক্ষের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার এড়াতে এলাকা এখন পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে। দখল কর্তৃত্য ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আইনজীবী এবিএম এনামুল হক ও সেনা সদস্য আব্দুর রব গংদের মধ্যে পাল্টা-পাল্টি ১০ থেকে ১৫টি মামলার ঘটনা ঘটে। এসব মামলায় অসংখ্য নিরিহ এলাকাবাসীকে আসামী করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে মিনহাজ নদী এলাকায় স্থানীয় প্রশাসনের জারি করা ১৪৪ ধারা বলবৎ রয়েছে।
অনুরূপভাবে, অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলায় এবিএম এনামুল হক জেল হাজতে থাকায় তার পক্ষের লোকজন গ্রেফতার এড়াতে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এতে করে এলাকা অনেকটাই পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে। তবে প্রতিপক্ষ আব্দুর রব গংদের আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও তাদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন এনামুল গংদের লোকজন।
সূত্রমতে, উপজেলার গড়ইখালী, লস্কর ও চাঁদখালী ইউনিয়নের আলোচিত মিনহাজ (বদ্ধ জলমহল) নদী লস্কর ও গড়ইখালীর সীমান্তবর্তী মিনহাজ স্লুইচ গেট হতে লক্ষ্মীখোলা পর্যন্ত বি¯তৃত। ২৫১ একর আয়তনের নদীটি ১৪২২ হতে ১৪২৪ সন পর্যন্ত ইজারা নেয় পূর্বগজালিয়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি। বিশাল আয়তনের নদীটি নিজেরাই নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি দারস্থ হয় স্থানীয় আইনজীবী আমিরপুর গ্রামের মাহমুদ গাজীর ছেলে এবিএম এনামুল হকের। রক্ষনাবেক্ষণ ও শেয়ার চুক্তিনামার মাধ্যমে মিনহাজ নদীতে নিজের কতৃত্ব স্থাপন করেন এবিএম এনামুল। পরবর্তীতে দখল, কতৃত্ব ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সেনা সদস্য জিএম আব্দুর রব এর সাথে চরম বিরোধ সৃষ্টি হয় এনামুল গংদের। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে একাধিক হামলা, মামলা ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এলাকার আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে স্থানীয় প্রশাসন গত ৯ মে মিনহাজ নদী এলাকায় জারি করেন ১৪৪ ধারা। যা এখনো বলবৎ রয়েছে। বর্তমানে ২৫১ একর আয়তনের নদীটি ৪টি অংশে ভাগ করে ৪টি গ্র“পের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গজালিয়ার ২টি অংশ রয়েছে সমিতির অনুকূলে। মাঝে চৌমহনী বাজার থেকে বগুলারচক স্কুল পর্যন্ত রয়েছে রবের অনুকুলে। মিনহাজ গেট থেকে বগুলারচক স্কুল পর্যন্ত রয়েছে এনামুলের অনুকুলে। মিনহাজ ওয়াপদা থেকে কানাখালী ব্রীজ পর্যন্ত একটি অংশ রয়েছে সঞ্জীব নামে এক ব্যক্তির অনুকুলে। এ ব্যাপারে এবিএম এনামুল হকের স্ত্রী গাজী সুলতানা পারভীন জানান, সেনা সদস্য আব্দুর রব গংরা আমার স্বামী সহ আমাদের লোকজনের বিরুদ্ধে কমপক্ষে ৮ থেকে ১০টি হয়রানি মূলক মামলা করেছে। এসব মামলার কারণে এলাকা এখন পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে। অথচ এনামুল গংদের দায়ের করা মামলার আব্দুর রব গং অনুসারী আসামীরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও তাদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। এদিকে প্রশাসনের জারি করা ১৪৪ ধারা বলবৎ রাখার দাবী জানিয়েছেন নিরিহ সাধারণ মানুষ।