শনিবার ● ৩ জুন ২০১৭
প্রথম পাতা » বিবিধ » সাতক্ষীরায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা মামলার আসামী স্বামীর বিষপানে আত্নহত্যা
সাতক্ষীরায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা মামলার আসামী স্বামীর বিষপানে আত্নহত্যা
ইমন হোসেন, (বিনেরপোতা) সাতক্ষীরা :
সাতক্ষীরা কলারোয়া উপজেলায় তহমিনা খাতুন (১৯) নামে এক গৃহবধুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে পাষন্ড স্বামী। বৃহস্পতিবার ভোরে কলারোয়া উপজেলার দেয়াড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত গৃহবধু কলারোয়া উপজেলার দেয়াড়া গ্রামের ইমান আলি সরদারের কন্যা। দেয়াড়া ইউপি মেম্বর তোজাম্মেল হোসেন বলেন , দুই বছর আগে যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানার রাজবাড়ি গ্রামের মনিরুল ইসলামের সাথে তহমিনার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে জামাই মেয়েকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করতো। এমনকি যৌতুকের দাবীতে মারধর করতো। মেয়ের সুখের কথা ভেবে তাকে তারা তিনদফায় প্রায় ১ লাখ টাকা যৌতুক দেওয়া হয়েছে। ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার বিকালে জামাই মনিরুল শশুর বাড়িতে এসে বলে সে আর নির্যাতন করবে না। সে তার স্ত্রীকে বাড়ি নিয়ে যেতে এসেছে। এই বলে সে রাত্রি যাপন করে। ভোরে সে স্ত্রীকে উড়না পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ফেলে পালিয়ে যায়। ভোরে মনিরুল তার শাশুড়ির কাছে ফোন করে বলে আপনার মেয়ের কি হয়েছে দেখেন। তখন লোকজন ঘরে যেয়ে দেখে তহমিনাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে ৷
সেই স্ত্রীর হত্যার শোক সইতে না পেরে দুঃখে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে সবার অজান্তে স্ত্রীর কবরস্থানের পাশে বিষপান করে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকেন স্বামী মনিরুল। স্থানীয়দের খবরের মাধ্যমে পুলিশ জানতে পেয়ে ঘটনাস্থানে গিয়ে দেখেন অচেতন অবস্থায় স্ত্রী তহমিনার কবরের মাটিতে পড়ে আছেন স্বামী মনিরুল। ওই সময় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে কলারোয়া সরকারি হাসপাতালে নিয়ে এসে চিকিৎসা করান। স্ত্রী হত্যা মামলার আসামী ঘাতক মনিরুলের সন্ধান পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথসহ পুলিশের অন্য সদস্যরা। তৎক্ষনিত চিকিৎসা দিয়ে ঘাতক মনিরুলকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন হাসপাতালের ডাক্তাররা। অনেকটা সফল হলেও ডাক্তারদের সব চেষ্ঠা ব্যার্থ করে ৩নং কেবিনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন স্ত্রী তহমিনার হত্যাকারী ঘাতক স্বামী মনিরুল। এবং অবশেষে মৃত্যু বলে কর্মরত ডাক্তার শফিকুল ইসলাম জানান। এদিকে বিষপানে আত্নহত্যাকারী মনিরুলের লাশ পুলিশ হাসপাতাল থেকে নিয়ে সকালে সাতক্ষীরা মর্গে প্রেরণ করেন বলে জানা যায় ৷