মঙ্গলবার ● ২০ জুন ২০১৭
প্রথম পাতা » বিবিধ » পাইকগাছায় টেইলর্স কারিগররা ঈদের পোশাক তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছে
পাইকগাছায় টেইলর্স কারিগররা ঈদের পোশাক তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছে
আফরা নাজলীন ॥
পাইকগাছার টেইলার্স বা দর্জি কারিগররা ঈদের পোশাক তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছে। একটানা কাজ করে চলেছে দর্জিরা। এতটুকু যেন দম ফেলার ফুসরত নেই। মেশিনের ‘ঘটর ঘটর’ শব্দ চলেছে বিরমহীন। ঈদ বলে কথা। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সব কাজ শেষ করতে হবে। তাইতো মেশিনের সঙ্গে সমান তালে চলেছে হাত-পা। মেশিনের ‘ঘটর ঘটর’ শব্দের তালে তৈরী হচ্ছে নানা ডিজাইনের পোশাক পাঞ্জাবী, জামা, শার্ট, সেলোয়ার কামিজ, ফতুয়া, প্যাণ্ট, সুট্য সহ নানা ধরণের পোশাক। খোজ নিয়ে জানাগেছে, পাইকগাছা পৌর বাজারে ১৫/২০টি টেইলার্সের দোকান আছে। এর মধ্যে কপোতাক্ষ মার্কেট, আল-মদিনা মার্কেটে হাসান টেইলর্স, স্টুডেন্ট টেইলর্স, সানমুন টেইলর্স, জেণ্টস টেইলর্স, ফেমাস টেইলর্স, শরীফ টেইলর্স, বর্ণা টেইলর্স এছাড়া শুধুমাত্র মহিলাদের পোশাক তৈরীর রাজমনি লেডির্স টেইলর্স, স্মার্ট ফ্যাশান সহ ৩/৪ টি টেইলর্স রয়েছে। দর্জির কারিগরা জানায় তারা সকাল ৮টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত একটানা কাজ করে যাচ্ছে। স্টুডেন্ট টেইলর্সের স্বত্তাধিকারী মোমিনুর রহমান জানান, ঈদ বলে কাজের চাপ অনেক বেশী। প্রতিদিন নতুন নতুন পোশাকের অর্ডার দিনে হচ্ছে। বিভিন্ন পোশাকের মজুরী প্যান্ট ৩০০ থেকে ৩৫০, শার্ট ২৩০ থেকে ২৫০, পাঞ্জাবী ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। তিনি আরো জানান নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পোশাক ডেলিভারী দেওয়ার জন্য কারিগররা দিন-রাত কাজ করছে। তবে ঘন ঘন বিদ্যুতের লোড শেডিং এর কারণে কাজের প্রচন্ড রকমের ব্যাঘাত ঘটছে। শরীফ টেইলার্সের মালিক মোশাররফ হোসেন মুন্না জানান, প্যান্ট ও শার্টের নতুন অর্ডার নিচ্ছে না, আগের অর্ডার নেওয়া পোশাক সময়মত ডেলিভারী দেওয়ার জন্য দিন-রাত কাজ করছে। আল-মদিনা মার্কেটের রাজমনি লেডির্স টেইলর্সের মালিক রতন কুমার বিশ্বাস জানান, মহিলা ও বাচ্চাদের পোশাক তৈরীর চাপ বেড়ে গেছে। নিখুত ভাবে পোশাক তৈরী করার জন্য সময় একটু বেশী লাগে। এ জন্য কারিগররা র্নিঘুম কাজ করে চলেছে। টেইলর্স মালিকদের সবার একই অভিযোগ বিদ্যুতের লোড শেডিং এর কারণে তারা ঠিক মত কাজ করতে পারছে না। ঈদের আগেই অর্ডার নেওয়া পোশাক ডেলিভারী দেওয়ার জন্য দর্জিপাড়ার কারিগররা পোশাক তৈরীতে দিন-রাত কাজ করে চলেছে।