বুধবার ● ৫ জুলাই ২০১৭
প্রথম পাতা » কৃষি » ডুমুরিয়ায় লবন পানি তুলে প্রভাবশালীদের বাগদা চিংড়ি চাষ; প্রসাসনের জোর হস্থক্ষেপ কামনা ভুক্তভোগী কৃষকের
ডুমুরিয়ায় লবন পানি তুলে প্রভাবশালীদের বাগদা চিংড়ি চাষ; প্রসাসনের জোর হস্থক্ষেপ কামনা ভুক্তভোগী কৃষকের
মাহাবুবুর রহমান,ডুমুরিয়া
ডুমুরিয়ায় দক্ষিন গোবিন্দ কাঠি এলাকায় স্থানীয় প্রভাবশালীরা নরকুল খালের মাত্র ৫.৮৫ একর জলমহাল ইজারা নিয়ে প্রায় শতাধিক কৃষকের আমন ও বোরো ফসলী জমিতে লবন পানি তুলে বাগদা চিংড়ী চাষ করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।এতে প্রায় ২ শতধিক বিঘা কৃষি জমি লবন পানিতে প্লাবিত হয়ে বীজতলা সহ আমন ধান চাষের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।এ ঘটনায় ইজারা বাতিল ও লবন পানির হাত থেকে বাঁচতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ বিভিন্ন দপ্তরের স্বরনাপন্ন হয়েছেন কৃষকরা।তবে তদন্ত সাপেক্ষে জরুরী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।অভিযোগ ও ভূক্তভোগী কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায় উপজেলার কুলবাড়িয়া-দক্ষিন গোবিন্দ কাঠি এলাকার ৫.৮৫ একর নরকুল জলমহালটি গোনালী মৎস্য সমবায় সমিতির অনুকুলে দক্ষিন গোবিন্দ কাঠি এলাকার সিদ্দিকুর রহমান শেখ ৩ বছর মেয়াদী ইজারা নিয়ে প্রথম বছরের শেষের দিকে গ্যাংরাইল নদী থেকে লবন পানি তুলে বাগদা চিংড়ীর চাষ শুরু করে।যা এখন প্রায় ২ শতধিক বিঘা কৃষি জমি প্লাবিত হয়ে পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে।আশু এর প্রতিকার না হলে বীজ তলা ও আমন চাষের অযোগ্য হয়ে পড়বে।ভূক্তভোগী কৃষক রহিত গাজী,মুজিবুর রহমান শেখ,মশিয়ার রহমান,আবু বক্কর সহ একাধিক কৃষক জানান সিদ্দিক শেখ,চুকনগরের বাবলুর রহমান ও আঃ রাজ্জাক কাগজীর নেতৃত্বে লবন পানি তুলে অসহায় কৃষকদের অপূরনিয় ক্ষতি করা হচ্ছে।কথা বলতে গেলে মামলা ,হামলার ভয় দেখানো হচ্ছে। তারা আরো বলেন ইতো মধ্যে সাদা মাছ ও গলদা চাষী নুরো গাজী,নুরআলী গোলদার,আজমল দোফাদার সহ অনেক চাষীদের ঘেরে লবন পানি ঢুকে অনেক মাছ মারা গেছে।এ ছাড়া নরকুল বিলে এ বছর কেহ বীজতলা করতে পারেনি।এমনকি আমন চাষেরও অযোগ্য হয়ে পড়েছে।ইজারা বাতিল ও লবন পানির হাত থেকে বাঁচতে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানান তারা।স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান প্রতাপ রায় এ বিষয়ে অবগত আছেন উল্লেখ করে বলেন লবন পানি তুলে এলাকার পরিবেশ বিনষ্ট ও চাষীদের ক্ষতি হতে দেয়া হবে না, এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। লবন পানির প্রতিক্রিয়ায় আমন ধানের ফলন অনেক কম হবে উল্লেখ করে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন লবন পানি প্লাবিত জমি বীজতলার অযোগ্য। আশু ব্যাবস্থা না নিলে কৃষকদের অপূরনীয় ক্ষতি হবে । এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আশেক হাসান বলেন অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে জরুরী ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।