রবিবার ● ৩০ জুলাই ২০১৭
প্রথম পাতা » কৃষি » মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পাইকগাছায় ধৈঞ্চের আবাদ বাড়ছে
মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পাইকগাছায় ধৈঞ্চের আবাদ বাড়ছে
প্রকাশ ঘোষ বিধান ॥
মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পাইকগাছায় ধৈঞ্চের আবাদ কৃষকপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মাটির প্রাকৃতিক উর্বারতা বাড়াতে জৈব্য সারের বিকল্প নেই। সবুজ সার হিসাবে খ্যাত ধৈঞ্চ গাছ মাটির সঙ্গে মিশে উর্বাতরা শক্তি বৃদ্ধি করে। একই মাটিতে বারবার আবাদ করার ফলে মাটির শক্তি হ্রাস পায়। ধৈঞ্চের সবুজ চারা গাছ মাটির সঙ্গে চাষ করে মিশিয়ে দিলে মাটি তার পূর্ণশক্তি ফিরে পায়। এ বছর পাইকগাছার বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারে ৫০ একর জমিতে ধৈঞ্চের আবাদ হয়েছে। খামার সূত্রে জানাগেছে, মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও জৈব্যসার প্রয়োগ করতে প্রতিবছর খামারের চাষের জমিতে ধৈঞ্চের আবাদ করা হয়। ধৈঞ্চ সবুজ সার হিসাবে খ্যাত। বৃষ্টি শুরু হলে জমিতে প্রাকৃতিক সবুজ বাড়াতে খামারে ধৈঞ্চের বীজ বপন করা হয়। দেড় থেকে পৌনে ২ মাস পর ধৈঞ্চের সবুজ গাছ ৩ থেকে চার ফুট উচু হলে চাষ করে ধৈঞ্চ গাছ মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারে সিনিয়র সহকারী পরিচালক কৃষিবিদ কামাল উদ্দীন মোল্লা জানান, মাটিতে জৈব্যসার বৃদ্ধিতে ধৈঞ্চ গাছের বিকল্প নেই। ধৈঞ্চ গাছ মাটিতে মিশে উর্বারতা বৃদ্ধি করে। জমিতে সার, কিটনাশক কম লাগে এবং রোগ বালাই ও পোকা মাকড়ের আক্রমও কম থাকে। এতে করে ফসল উৎপাদনে খরচ কম হয়। তিনি আরো বলেন, ধৈঞ্চগাছ সবুজ সার হিসাবে খ্যাত। আগামী মৌসুমীতে আরো অধিক জমিতে ধৈঞ্চের আবাদ করার লক্ষমাত্রা চলছে। খামারে ধৈঞ্চের আবাদ করা দেখে পাশ্ববর্তী এলাকার কৃষকরা মাটিতে প্রাকৃতিক জৈব্যসার বাড়াতে ধৈঞ্চে চাষের উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এএইচএম জাহাঙ্গীর আলম জানান, উপজেলার কিছু এলাকার পতিত জমিতে জ্বালানীকাঠ হিসাবে ব্যবহারের জন্য ধৈঞ্চের আবাদ হচ্ছে। তবে আগামীতে জমির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় জৈবসার হিসাবে ধৈঞ্চের আবাদ করার পরিকল্পনা রয়েছে।