বৃহস্পতিবার ● ১৭ আগস্ট ২০১৭
প্রথম পাতা » সর্বশেষ » ডুমুরিয়ায় কুলটি-বাদুরগাছা নদীর উপর নির্মিত হয়নি ব্রিজ ঃ বাঁশের সাকোই এলাকাবাসির এক মাত্র অবলম্বন
ডুমুরিয়ায় কুলটি-বাদুরগাছা নদীর উপর নির্মিত হয়নি ব্রিজ ঃ বাঁশের সাকোই এলাকাবাসির এক মাত্র অবলম্বন
অরুন দেবনাথ ,ডুমুরিয়া
ডুমুরিয়ায় আজও নির্মিত হয়নি কুলটি-বাদুরগাছা নদীর উপর ব্রিজ। জনপ্রতিনিধিদের দেয়া আশ্বাসের প্রতিক্ষায় শত শত বছর পেরিয়ে গেলেও তা আজও বাস্তবে পরিনত হয়নি।এলাকাবাসির উদ্যোগে বাঁশের সাকো নির্মান করে তার উপর দিয়ে চলছে যাতায়াত।তারও আবার বেহাল দশা। প্রতিক্ষার প্রহর আর সিমাহীন দূর্ভোগের মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করছে এলাকাবাসি। তবে আশার কথা হল দেরীতে হলেও এটির স্কিম তালিকা নাকি পাঠানো হয়েছে ইউনিয়ন অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে। হয়তো শিগ্রই আলো মুখ দেখতে পাবে এলাকাবাসি বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর। জানাজায় ডুমুনিয়া উপজেলার গুটুদিয়া ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে কুলটি-বাদুরগাছা নদী।এই নদীর কুল দিয়ে গড়ে উঠেছে কুলটি ,পঞ্চু ,বাদুরগাছা,বিলপাবলা ,পশ্চিম বিলপাবলা, শিবপুর ,আলাইপুর সহ অনেক গ্রাম।এ সব গ্রমে বসবাসরত হাজার হাজার লোকের চলাচলের জন্য পাড়ি দিতে হয় এই নদীটি। বিশেষ করে কুলটি গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় গড়ে ওঠায় বাদুরগাছা,বিলপাবলা ,পশ্চিম বিলপাবলা, শিবপুর ,আলাইপুর এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিনিয়ত নদীটি পার হতে হয়। তা ছাড়া ব্যবসা বানিজ্য সহ বিভিন্ন কারনে এ নদীটি পাড়ীর বিকল্প নেই। প্রথমে নেীকা পরে বাঁশের সাকো নির্মানের মধ্যে দিয়ে চলছে যাতায়াত।সম্প্রতি সেটিরও ্আবার বেহাল দশা। ঝুকির মধ্য দিয়ে চলতে হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রী ও এলাকাবাসির । দেখার যেন কেউ নেই। সরেজমিনে গিয়ে বাদুরগাছা এলাকার প্রতাপ মন্ডল,শ্রবন্তি মন্ডল,মিতালী মন্ডল ,কুলটি এলাকার গৌর বিশ্বাস,নিতাই বিশ্বাস ,কার্তিক রায় সহ অনেকেই জানান তাদের পূর্ব পুরুষ, তার পূর্ব পুরুষ থেকে শুরু করে না জানি কত পুরুষ কতকাল ধরেএ দূর্ভোগ পোহায়ে আসছে। আর না জানি কতকাল আমাদের এ দূর্ভোগ পোহাতে হবে। ছবি তুলে আর লিখে কি হবে।জনপ্রতিনিধিরা ভোটের পূর্বে এটিকে পুজি করে আমাদের নিকট থেকে ভোট নেয়। ভোটের পরে আর মনে থাকে না। কুলটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্র মিঠুন রায়, বালিকা বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী দিপা মন্ডল সহ অনেক ছাত্র-ছাত্রীরা জানান বর্ষার মৌসুমে খুবই কষ্টে ও ঝুকির মধ্য দিয়ে সাঁকো পার হয়ে তাদের স্কুলে যেতে হয়। এমনকি অতি বৃষ্টিতে পারাপারের ভয়ে তাদের স্কুল কামাই করতে হয়। জানিনা কবে হবে, এ দূর্ভোগের শেষ। এ প্রসংগে উপজেলা প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কুমার দাস বলেন ইতমধ্যে ঘটনা স্থরে গিয়ে স্কিম তালিকা নির্মান করে গত ১২জুলাই ইউনিয়ন অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে প্রেরন করা হয়েছে। হয়তো তাড়াতাড়িই এলাকাবাসি আলোর মূখ দেখতে পাবে। এ প্রংগে মৎস্য ও প্রানী সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেন ব্রিজটি নির্মান খুবই প্রয়োজন। এ জন্য জোর প্রচেষ্টা চলছে। অতি শিগ্রই এর একটা সমাধান হবে।