সোমবার ● ২১ আগস্ট ২০১৭
প্রথম পাতা » বিবিধ » মাগুরার শ্রীপুরের কুমার নদের তীর থেকে ১৫টি দোকানঘরসহ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
মাগুরার শ্রীপুরের কুমার নদের তীর থেকে ১৫টি দোকানঘরসহ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
মাগুরা প্রতিনিধি :
মাগুরা শ্রীপুর উপজেলা সদরের কুমার নদ তীরবর্তী এলাকা ও মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্তম্ভের পাশ দিয়ে গড়ে অবৈধভাবে গড়ে উঠা প্রায় ১৫টি দোকানঘরসহ বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে উপজেলা প্রশাসন। রবিবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এ উচ্ছেদ অভিযান চলে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত । শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আহসান উল্লাহ শরিফী পুলিশ প্রশাসনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জনগনের সহযোগিতায় কুমার নদের ব্রীজ সংলগ্ন সরকারি জায়গা ও নদী দখল মুক্ত করেন।
জানা গেছে, শ্রীপুর উপজেলা সদরে অবস্থিত কুমার নদের ব্রীজ সংলগ্ন এলাকা ও মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভ কেন্দ্রটির আশপাশ জুড়ে সরকারি অবৈধভাবে জায়গা ও নদী দখল করে সেখানে পাকা দোকান ঘর নির্মাণ করে ব্যবসা করে আসছিল। এ জায়গাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় একদিকে যেমন সরকার মোটা অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল, তেমনি নদী দখল করে দোকান ঘর নির্মানসহ বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করায় উপজেলা সদরে সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছিল। এছাড়া বিভিন্ন বাস ট্রাকসহ পরিবহনে জনগনের চলাচলে চরমভাবে বাঁধাগ্রস্থ হওয়ার পাশাপাশি ওই এলাকায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হতো । উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আহসান উল্লাহ শরিফীর সভাপতিত্বে গত জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত আইন-শৃংঙ্খলা কমিটির সভায় কমিটির সদস্যরা অবৈধভাবে গড়ে উঠা এসব স্থাপনা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদসহ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানালে সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক এ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পদক্ষেপ নেন। এরপর আগষ্ট চলতি আগষ্ট মাসে আইন-শৃংঙ্খলা কমিটির সভায় অবৈধ স্থাপনা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদের চুড়ান্ত সিন্ধান্ত হওয়ার পর রবিবার দিন ব্যাপি উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়।
শ্রীপুর সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মসিয়ার রহমান বলেন, কুমার নদ ও সরকারি জায়গা দখল করে অবৈধ দোকানঘর নির্মান করে এক শ্রেণির লোকেরা অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করে আসছিল। নদীর কূল, নদীর ব্রীজ ও মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভটির আশেপাশে যত্র-তত্র দোকানসহ বিভিন্ন নির্মান করে উপজেলা সদরের পরিবেশ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করছিল । ইউএনও সাহেবের এ উচ্ছেদ অভিযান নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। অভিযানটি কার্যকর হওয়ায় জনমনে চরম স্বস্তি ফিরে এসেছে।
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহসান উল্লাহ শরিফী বলেন,উপজেলা সদরের এই গুরুত্বপূর্ণ জায়গাটি বহুদিন ধরেই অবৈধ দখলদাররা দখল করে রেখেছিল। অবৈধ স্থাপনার কারনে লোকজনের চলাচলে ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হওয়াসহ ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হতো। এতে শ্রীপুরের সৌন্দর্য তথা পরিবেশ নষ্ট হচ্ছিল। মাসিক সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক অবৈধ দখলদারদের দোকান ঘর অপসারনের জন্য ইতিপূর্বেই অবগত করা হয়েছিল। কিন্তু তারা এবিষয়ে কোন কর্ণপাত না করায় এ অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। তবে উপযুক্ত পরিবেশ ও ব্যবসার জন্য নির্ধারিত জায়গা বের করতে পারলে উচ্ছেদকৃত দোকানদারদের পুনর্বাসিত করা হবে।