সোমবার ● ২১ আগস্ট ২০১৭
প্রথম পাতা » সর্বশেষ » বন্যা কবলিত জেলায় তামাক চাষ নয় তাবিনাজের দাবী
বন্যা কবলিত জেলায় তামাক চাষ নয় তাবিনাজের দাবী
মাগুরা প্রতিনিধি : এ বছর পর পর দু’দফা বন্যায় দেশের উত্তরাঞ্চল ও মধ্যমাঞ্চলের ২৭টি জেলা বন্যা আক্রান্ত হয়েছে এবং মানুষের ঘর-বাড়ী গবাদিপশু সহ ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রাণহানিও ঘটেছে শতাধিক। আমন ফসলের বীজতলা তলিয়ে গেছে ফলে আমন আবাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে খাদ্য ঘাটতির আশংকা দেখা দিয়েছে।
সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাস থেকে উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলা যেমন-গাইবান্ধা, রংপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারি, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও সহ বিভিন্ন জেলায় তামাক চাষের জন্যে বীজতলা তৈরি করে ব্যাপকভাবে তামাক চাষ করা হয়। রংপুর বিভাগে তামাক চাষের আওতায় জমির পরিমাণ সরকারি হিসেবে কমপক্ষে ২০,০০০ হেক্টর, অথচ এই জমিতে খাদ্য ফসল চাষ করা সম্ভব। এবারের বন্যায় ২৭ জেলার ১৩৩ উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ কক্ষের তথ্য অনুযায়ী ২৭টি জেলার মধ্যে ৯টি জেলা কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রংপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, জয়পুরহাট উত্তরবঙ্গে যেখানে তামাক চাষ হয়, এবং মধ্যমাঞ্চলের মধ্যে মানিকগঞ্জ তামাক চাষ হয়। অর্থাৎ বন্যা কবলিত জেলার এক-তৃতাংশই তামাক চাষের ঝুঁকিতে রয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দপ্তরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের তথ্য অনুযায়ী, রোপা আমনের চলতি মৌসুমে বন্যা কবলিত জেলায় চার লাখ ৫০ হাজার ৭২৯ হেক্টর জমি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এখন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের শস্য ক্ষেতে রোপা আমন, আমন বীজতলা, শাক-সবজি, বোনা আমন ও আউশ ধান রয়েছে। আমন ধান এবং আগামী রবি মৌসুমের ফসল ঠিক মতো পেতে হলে সকল আবাদী জমিতে খাদ্য শস্য উৎপাদন করতে হবে।
তাই তাবিনাজ (তামাক বিরোধি নারী জোট) এর পক্ষ থেকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের কাছে আহবান জানানো হয়েছে যেন বন্যাকবলিত জেলা সমূহে তামাক চাষ না করার জন্যে বিশেষ নির্দেশনা দিয়ে কৃষকদের খাদ্য ফসল উৎপাদনের জন্যে প্র্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়ার ব্যবস্থা করেন।