মঙ্গলবার ● ২২ আগস্ট ২০১৭
প্রথম পাতা » নারী ও শিশু » দাকোপে গৃহবধুর রহস্যজনক আত্মহত্যা
দাকোপে গৃহবধুর রহস্যজনক আত্মহত্যা
দাকোপ প্রতিনিধি
দাকোপের মৌখালী এলাকায় এক গৃহবধুর রহস্যজনক আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ লাশ উর্দ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে। গৃহবধুর পরিবার বিষয়টিকে পরিকল্পিত হত্যা দাবী করে তারা সুষ্ট তদন্তের জন্য প্রশাসনের উর্দ্ধর্তন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
দাকোপ থানার এস আই জয়ন্ত কুমার হোড় জানায়, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত সোমবার রাত আনুঃ পৌনে দশটার দিকে মৌখালী গ্রামের ইরান বিশ্বাসের বাড়ী থেকে আমরা গৃহবধু খাদিজার (২২) লাশ উর্দ্ধার করি। গৃহবধুর শশুরবাড়ীর সদস্যদের ভাষ্যমতে বাড়ীতে কেউ না থাকার সুযোগে ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেছিয়ে ঝুলে আতœহত্যা করে। তবে পুলিশ যাওয়ার আগেই তারা লাশ নামিয়ে রাখে। আমরা লাশের প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্টসহ ময়না তদন্ত পূর্বক গতকাল গৃহবধুর পিতার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি। এ ঘটনায় দাকোপ থানায় প্রাথমিকভাবে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে যার নং ১৯ তাং ২১/০৮/১৭। নিহতের পরিবার সুত্রে জানা যায়, বিগত প্রায় ৪ বছর পূর্বে উপজেলার কাকড়াবুনিয়া গ্রামের মতিয়ার রহমান গাজীর একমাত্র কন্যা খাদিজার পারিবারিক ভাবে মৌখালী গ্রামের খায়রুল বিশ্বাসের পুত্র ইরান বিশ্বাসের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় শশুরবাড়ীর পক্ষ থেকে যৌতুকের জন্য খাদিজাকে চাপ দিতে থাকে। গত কয়েক মাস পূর্বে মেয়ের সুখের কথা ভেবে জামাই ইরানকে অসহায় দরিদ্র শশুর মতিয়ার গাজী অতিকষ্টে নগত ৪০ হাজার টাকা দেয়। যে টাকায় জামাই পাওয়ার ট্রিলার ক্রয় করে। সম্প্রতি আবারো ২০ হাজার টাকার জন্য তাকে চাপ দিতে থাকলে গৃহবধু তাঁর দরিদ্র পিতার পক্ষে টাকা দেওয়া সম্ভব না বলে জানিয়ে দেয়। এ ছাড়া বিয়ের পর থেকে শশুর বাড়ীর লোকজন গৃহবধুর হালকা পাতলা গঠনের জন্য অপছন্দ করতো বলে জানা যায়। ঘটনার দিন ২১ আগষ্ট সন্ধ্যার পর প্রতিবেশীদের মাধ্যমে খাদিজার পরিবার জানতে পারে সে আত্মহত্যা করেছে। এরপর তারা জামাই ইরানের পরিবারের সাথে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে রাত আনুঃ ৮ টার দিকে তাদের বাড়ীতে গিয়ে খাদিজার লাশ দেখতে পায়। তাদের অভিযোগ আতœহত্যার সংবাদটি জামাই ইরানের পরিবারের কেউ কেন আমাদের জানালোনা? জামাইয়ের প্রতিবেশীরা আমাদের প্রতিবেশীদের জানানোর বিষয়টি রহস্যজনক। তছাড়া সংবাদ পাওয়ার পর আমরা তাদের সকল নাম্বারে যোগাযোগের চেষ্টা করলে বন্ধ পাই। মতিয়ার গাজীর পরিবার জানায় ঘটনার দিন সকালে জামাইয়ের সাথে আমাদের ফোনে কথা হয়, তখন মেয়ের সাথে কথা বলতে চাইলে তাকে না দিয়ে বলা হয় সে এখন কথা বলবেনা। তাছাড়া পুলিশ বা পিতার পরিবারের অনুপস্থিতিতে লাশ নামিয়ে রাখার বিষয়টিকেও অস্বাভাবিক বলে মনে করে তারা এটি পরিকল্পিত হত্যার আশংকা করে সঠিক তদন্তের দাবী জানিয়েছে।