শনিবার ● ২৬ আগস্ট ২০১৭
প্রথম পাতা » বিবিধ » কেশবপুরে আওয়ামী লীগনেতা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সড়কের মৃত গাছ কাটার ষড়যন্ত্রমূলক মামলা ॥ প্রতিবাদের ঝড়
কেশবপুরে আওয়ামী লীগনেতা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সড়কের মৃত গাছ কাটার ষড়যন্ত্রমূলক মামলা ॥ প্রতিবাদের ঝড়
কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি ॥
কেশবপুরের সুফলাকাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাষ্টার আব্দুস সামাদ সরদারের বিরুদ্ধে সড়কের মৃত গাছ কাটার অভিযোগে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা হয়েছে। মামলার ঘটনায় উপজেলা সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
ষড়যন্ত্রমূলক মামলার শিকার ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ সরদার, নিছার, জাহাঙ্গীর আলম, আলিম, ইনামুল বিশ্বাস, আব্দুলাহ বিশ্বাস, আ. রহিম মোড়ল সাংবাদিকদের জানান, সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবির দায়িত্ব পালন কালে গণসাহায্য সংস্থা ১৯৯৬ সালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্বাক্ষরিত চুক্তিপত্র লনুযায়ী চুকনগর সড়কের কলাগাছি বাজার দক্ষিণ পাশ থেকে আড়–য়া পর্যন্ত সড়কে গাছ রোপন করেছিল। গত ৪ আগস্ট জেলা পরিষদের সদস্য সোহরাব হোসেন ওই সড়কের বিভিন্ন মৃত গাছ কাটতে থাকে তখন সংবাদ পেয়ে চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ সরদার ঘটনা স্থলে পরিদর্শন করে কাটা গাছ গুলো নিয়ে তার পরিষদে রাখেন। তিনি আরও বলেন পরের দিন ৫ আগস্ট সোহরাব হোসেন ৭টি করিমন নিয়ে আমাকে না জানিয়ে পরিষদের ভিতর থেকে কাঠ গুলো করিমন লোড করে। তাৎক্ষণিক ভাবে তিনি জানতে পেরে পরিষদে হাজির হয়ে কাঠ আটকিয়ে দেন। তখন সোহরাব হোসেন করিমনের ভাড়া বাবদ ৯ হাজার টাকা দাবী করেন। তাৎক্ষনিক ভাবে চেয়ারম্যান ৯ হাজার টাকা সোহরাবকে প্রদান করেন।
এব্যাপারে যশোর জেলা পরিষদের সদস্য সোহরাব হোসেন জানান, আমার বিরুদ্ধে সামাদ চেয়ারম্যান যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সঠিক নয়। এলাকাবাসি ঘটনার দিন আমাকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জেলা পরিষদের গাছ কাটার খবর পেয়ে তৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পৌছাই। জেলা পরিষদের গাছ নিশ্চিত হয়ে আমি জেলা পরিষদকে অবহিত করি।
চেয়ারম্যান আরও বলেন চলতি মাসে ভয়াভহ বন্যায় রাস্তার মৃত গাছ গুলো ঝুকি পূর্ণ হয়ে পড়ে ছিল। তিনি তখন জেলা পরিষদের অনুমতি নিয়ে ওই সড়কের মৃত গাছ গুলো সরিয়ে এনে পরিষদে রেখে দেন। এদিকে ৭ আগস্ট আবারও বন্যার কারণে ওই সড়কের মৃত গাছ বিদ্যুতের তারের উপর এসে পড়ে। পথচারিদের চলাচলে বিঘœ ঘটলে তাৎক্ষনিক ভাবে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসকে জানালে তারা ওই তার সরিয়ে দেওয়ার পর মৃত গাছ পরিষদে আনা হয়। পথচারিরা বলেন সবসময় আমাদের ওই রাস্তা দিয়ে চলা চল করতে হয়। ইতিমধ্যে একটি মৃত গাছ ভেঙ্গে পড়ায় রাস্তা বন্ধ হয়ে ১ ব্যক্তিও আহত হয়ে ছিল। জনগনের নিরাপত্তার সার্থে ওই সড়কের মৃত গাছ গুলো সরিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে আনা হয়েছে। জেলা পরিষদের অফিস থেকে নজরুল ইসলাম ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন। ইউনিয়ন পরিষদের রাখা সকল গাছে নাম্বারিং করা হয়েছে।
গত ১৬ আগস্ট মৃত গাছের ব্যাপারে চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ সরদারকে জেলা পরিষদে ডাকা হয়েছিল। তিনি জেলা পরিষদের সদস্য সোহরাব হোসেন সহ যশোর জেলা পরিষদের অফিসে হাজির হয়ে তাদেরকে এ সমস্যার কথাগুলো বলি। তখন তারা আমাকে বলেন, আপনি সঠিক কাজ করেছেন। কারণ সড়কের মৃত গাছ ভেঙ্গে পড়ে পথচারিদের প্রাণহানীর ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করেছেন।
কিন্তু তারপরও তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা জেলা পরিষদকে ভুল বুঝিয়ে তিনি সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে গাছ কাটার চুরির অভিযোগ এনে গত ২২ আগস্ট কেশবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে যার নং ১২।
এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান মাষ্টার আব্দুস সামাদ সরদারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মূলক মামলা প্রত্যাহার করাসহ দ্রুত উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন কেশবপুর উপজেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ।