শুক্রবার ● ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » কৃষি » মৎস্যজীবিদের উদারতায় উপকৃত হলেন কৃষকরা
মৎস্যজীবিদের উদারতায় উপকৃত হলেন কৃষকরা
মাগুরা প্রতিনিধি
মাগুরার গাংনালিয়া মৎসস্যজীবি সমিতি কয়েক লক্ষ টাকা দিয়ে সদরের বাঁশকোঠা জলমহলটি (দোহা) ইজারা নিয়েছিলো মাছ চষের জন্য। কিন্তু এলাকায় অন্য কোন জলাশয় না থাকায় চলতি মৌসুমে পাট চাষিরা যখন তাদের উৎপাদিত কাচা পাট জাগ দেওয়া নিয়ে দিশেহারা। সে সময় ব্যবসায়িক মনোভাব পরিহার করে মাছ চাষের পরিবর্তে জনসাধারণের সুবিধায়ার্থে দোহাটি ব্যবহারের জন্য উন্মুত করে দেন সমিতির সদস্যরা। যেখানে ব্যবসায়ীকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য মৎসজীবিরা দোহাটি লিজ নিয়েছিলো, সেখানে পাট জাগ দেওয়ার কারনে মাছ মরে উল্টো তাদের লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি হয়েছে। তবে মৎস্যজীবি সমিতির সদস্যরা মনে করেন তাদের মুষ্টিমেয় কয়েকজনের মানুষের স্বার্থ রক্ষা করতে গেলে এলাকা শত-শত কৃষকের স্বার্থ বিঘিœত হতো। যে কারনে নিজেদের আর্থিক ক্ষতি মেনে নিয়ে হলেও তারা বৃহত্ত স্বার্থে এ ধরনের ছাড় নিয়েছেন। সমিতির সভাপতি গৌতম ঠাকুর জানান, তারা মাছ চাষের জন্য বাৎসরিক ১ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা হারে তিন বছরের জন্য ৮ একর জায়গার বাঁশকোঠা জলমহল বা দোহাটি ইজারা নিয়েছিলেন। যেখানে মাছ চাষের জন্য তারা রেনু পোনা ছেড়েছিলেন। কিন্তু বাঁশ কোঠাসহ আশপাশের গ্রামে কোন উন্মুত জলাশয় না থাকায় এলাকার শত-শত কৃষক চলতি মৌসুমে তাদের উৎপাদিত কাঁচা পাট জাগ দিতে না পেরে দিশেহারা হয়ে পড়েন। কৃষকরা বিষয়টি নজরে আনেন মাগুরার সন্তান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সহকারী সচিব অ্যাড. সাইফুজ্জামান শিখরের। সাইফুজ্জামান শিখর বৃহত্তর স্বার্থে জলাশয়টি এলাকার কৃষকদের ব্যবহারের জন্য মৎসজীবিদের প্রতি আহবান জানান। মৎসজীবিরা এ আহবানে সাড়া দিয়ে জলাশয়টি উন্মুত ঘোষণা করেন। আর এ সুযোগে এলাকার ৪ থেকে ৫ গ্রামের কৃষক তাদের শত শত বিঘা জমির পাট কেটে জাগ দেওয়া শুরু করেন দোহাটিতে। যদিও পাট জাগ দেওয়ার কারনে প্রায় লক্ষাধিক টাকার মাছ মরে লাভের পরিবর্তে অর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন মৎস্যজীবিরা। তবে এলাকার কয়েক শ’ কৃষকদের স্বার্থের কারনে বিষয়টি সহজে মেনে নিয়েছেন তারা। যা এলাকায় ব্যাপকভাবে প্রসংশিতও হয়েছে।