সোমবার ● ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » সর্বশেষ » ডুমুরিয়ায় নিয়ম-নীতি ছাড়াই যত্র-তত্র গড়ে উঠেছে ওষুধের ফার্মেসী ঃ ফার্মেসী মালিকরাই ডাক্তার
ডুমুরিয়ায় নিয়ম-নীতি ছাড়াই যত্র-তত্র গড়ে উঠেছে ওষুধের ফার্মেসী ঃ ফার্মেসী মালিকরাই ডাক্তার
অরুন দেবনাথ,ডুমুরিয়া
ডুমুরিয়ায় নিয়ম-নীতি ছাড়াই যত্র-তত্র গড়ে উঠেছে ওষুধের ফার্মেসী।মূদী মালা-মালের মতই বেচা-কিনা হচ্ছে ওষুধ সামগ্রী।ডুমুরিয়া বাজার ও এর আশপাশে রং বে-রংয়ের বাহারী ব্যানান,পেষ্টুন ও নাম ফলক দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে অসংখ্য ফার্মেসী।যার অধিকাংশ ফার্মেসী চলছে ভাড়ায় চালিত লাইসেন্সে, কাথাও লাইসেন্স বিহীন,আবার ফার্মাসিষ্ট ছাড়া।বেশীর ভাগ ফার্মেসীর মালিকেরা আবার ওষুধ বিক্রির পাশাপাশি ডাক্তারী করে ঠকাচ্ছে সাধারন মানুষকে।এমনকি ভুল চিকিৎসায় অকালে প্রান হারাতে হচ্ছে আনেকের।এ যেন দেখার কেউ নেই।তবে জেলা ড্রগ সুপার বলছেন নিয়ম-নীতি ছাড়াই যত্র-তত্র ফার্মেসী গড়ে তোলার কোন সুযোগ নেই। এমনটি দেখা গেলে এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উপজেলা ড্রাগ সমিতি ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায় ডুমুরিয়ায় কয়েক‘শ ওষুধ ফার্মেসী রয়েছে এর মধ্যে মাত্র ৪৯ টি ফার্মেসী রয়েছে সমিতির তালিকা ভ’ক্ত।বাকি গুলি চলছে লাগাম ছাড়া। এর সঠিক পরিসংখ্যান যে কত তা জানা নেই সমিতি কর্তৃপক্ষের।এ দিকে সমিতি তালিকা ভুক্ত অধিকাংশ ফার্মেসীর মধ্যেই নেই নিয়ম-নীতি। যেন সর্ষের ঘাড়ে ভ’ত।আর বাকি গুলিতো বলাই বাহুল্য। সমিতির জরিপ রিপোট ও বিভিন্ন ফার্মেসীতে খোজ খবর নিয়ে জানা যায় ডুমুরিয়া বাজারস্থ ভাড়া লাইসেন্স চালিত লোকনাথ ফার্মেসী চলছে জয়দেব মন্ডলের নামে,তরফদার মেডিকেল হাউস চলছে হাবিুর রহমানের নামে, মেসার্স রুপালী মেডিসিন হাউস চলছে শিশির মন্ডলের নামে,শান্তনা আরোগ্য নিকেতন চলছে অন্য নামে। এদিকে ফার্মাসিষ্ট ছাড়াই চলছে অমৃত মেডিকেল হল, ফিরোজা ফার্মেসী,লক্ষি মেডিকেল,তরফদার মেডিকেল সহ অধিকাংশ ফার্মেসী।আবার লাইসেন্স ও ফার্মাসিষ্ট ছিাড়াই চলছে বিসমিল্লাহ মেডিকেল হল-প্রোঃ হামিদুর রহমান ও ¯িœগ্ধা ফার্মেসী।হাতে গোনা কয়েকটি ফার্মেসী ছাড়া বেশীর ভাগ ফার্মেসী চলছে নিয়ম-নীতি ছাড়াই।ভাড়ায় চালিত লাইসেন্স,লাইসেন্স বিহীন ও ফার্মেসীতে ফার্মাসিষ্ট না থাকলে ক্ষতি কি? এমন প্রশ্নের জবাবে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এএসএম মারুফ হাসান বলেন
ড্রাগ কোন মুদী সামগ্রী নয়,যা ড্রগ নিয়ম নীতি ছাড়াই বিক্র যোগ্য ।কর্তৃপক্ষ যোগ্য ব্যাক্তিকেই লাইসেন্স দেয়,যা ভাড়া যোগ্য নহে। আর সরকারকে ফাঁকি দিয়ে লাইসেন্স বিহীন ড্রাগ ব্যবসা ডন্ডনীয় অপরাধ। তিনি আরো জানান ফার্মাসিষ্ট ছাড়া ডাক্তারের লেখা ওষুধের নাম পড়ে রুগীর হাতে সঠিক ওষুধ দেয়া সম্ভব নয়।ভ’ল ক্রমে রুগীকে অন্য কোন ওষুধ দিলে রুগীর মৃত্যুও হতে পারে।এ জন্য ফার্মাসিস্ট‘র
বিকল্প নেই।ওষুধ ফার্মেসীর মালিকেরা যখন ডাক্তার হবে,তখন রুগীর বারটা বাজতে সময় লাগবে না।
যে কোন সময় ঘটতে পারে দূর্ঘটনা এমনকি মৃত্যু।ফার্মেসী মালিক যেমন ডাক্তার সেজে রুগীর ওষুধ দেয়া
ঠিক নয়।তেমনি সাধারন মানুষও কেন নিজে ঠকবে ? আর ভুল বুঝে নিজেকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিবে । এ জন্য জন সচেতনতার বিকল্প নেই,পাশাপাশি ড্রাগ কর্তৃপক্ষের অভিযান অব্যহত রাখতে বলে তিনি মনে করেন।কেন ডুমুরিয়ার ড্রাগ ব্যবসার বে-হাল দশা? এমন প্রশ্নের জবাবে উপজেলা ড্রাগ সমিতির সভাপতি
ও সাধারন সম্পাদক একই সুরে সুর মিলিয়ে বলেন ইতপূর্বে অভিযান চালানো হয়েছে।আশু সংশোধন হতে সতর্ক সংকেত দেয়া হয়েছে।এরপরও সংশোধন না হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।খুলনায় আগত নবাগত ড্রাগ সুপার মোঃ মাহমুদুর রহমান খান জানান নিয়ম-নীতি ছাড়াই যত্র-তত্র ফার্মেসী গড়ে তোলার সুযোগ নেই।এমনটি দেখা গেলে এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।