শনিবার ● ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » স্বাস্থ্যকথা » কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ শেখ আবু শাহীনের প্রশাসনিক কর্মদক্ষতায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য সেবার মানের উন্নতি
কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ শেখ আবু শাহীনের প্রশাসনিক কর্মদক্ষতায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য সেবার মানের উন্নতি
এস আর সাঈদ, কেশবপুর (যশোর) থেকে ॥
যশোরের কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য সেবার মানের উন্নতি হয়েছে। গড়ে প্রতিমাসে ১০ হাজার রোগীর স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পবিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ শেখ আবু শাহীনের প্রশাসনিক দক্ষতায় কেশবপুর উপজেলার ৩ লাখ মানুষ-সহ সীমান্তবর্তী ৪ উপজেলার অসংখ্য মানুষ সেবা নিশ্চিত হয়েছে।
সরেজমিন জানাগেছে, কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কেশবপুর উপজেলা-সহ সীমান্তবর্তী মণিরামপুর, কলারোয়া, ডুমুরিয়া ও তালা উপজেলার হাজার হাজার রোগী চিকিৎসা নিতে আসে। সরকার স্বাস্থ্য সেবা জনগণের দোরগোড়াই পৌঁছে দিতে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পবিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ শেখ আবু শাহীন দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে স্বাস্থ্য সেবার মানের উন্নতি হয়েছে। গত আগস্ট মাসে বর্হিবিভাগে ৬ হাজার ৭ শত ৩৮ জন ও জরুরী বিভাগে ১ হাজার ৫ শত রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। আন্ত বিভাগে প্রতিদিন ৫০ জনেরও বেশী রোগী ভর্তি থাকে। কমপ্লেক্সে ভর্তি সড়ক দূর্ঘটনায় আহত জাহানপুর গ্রামের সকিনা বেগম (৭৪) ও মণিরামপুর উপজেলার পারখাজুরা গ্রামের জরে আক্রান্ত ইয়াকুব আলী (৮০) জানান, এখানকার চিকিৎসা ব্যাবস্থা খুবই ভালো। খাওয়া-দাওয়াও ভালো। ফ্রি ওষুধপত্রও পেয়েছি। যারা কারণে তারা এখন প্রায় সুস্থ্য। বর্হির বিভাগে থেকে চিকিৎসা নেওয়া শরিফুল (২৪), সুমন (১৩), ফজলুল করিম (৯৫), আঃ মজিদ (৪০), রতœা (৩৭), কবিতা (৩০), মিনি (২৪), সুমি (২৫), আয়শা (৬০), আফরোজা (৩০) সহ সকলে চিকিৎসা ব্যাবস্থায় খুশি ও ডাক্তারদের ধন্যবাদ জানান। কমপ্লেক্সে ৩২ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও বর্তমানে রয়েছে ১১ জন। ইতিপূর্বে ৪ জন চিকিৎসক উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য বদলী হয়েছে। কনসালট্যান্ট ১০ জনের মধ্যে রয়েছে ২জন। অপারেশনের জন্য ডাক্তারের পদায়ন না থাকলেও একজন মেডিকেল অফিসারের মাধ্যমে কিছু অপারেশন করা হয়। নিয়মিত প্যাথোলোজি পরীক্ষা করা হয় এবং পরীক্ষা বাবদ মাসে গড়ে ৫০ হাজার টাকা সরকারী রোখাগারে জমা হয়। এক্সরে ও ইসিজি করা হয়। প্রসাব পূর্ব সেবার জন্য গর্ভবতী মহিলাদের কার্ড প্রদান করা হয়। জটিলতা কমিয়ে সেবা প্রদানের জন্য দিক নির্দেশনা বোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। বিদ্যানন্দকাটি ও সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদে মিডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করে কিশোরীদের স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হয়েছে। জনবল সংকট থাকায় উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ও কর্মচারীদের অর্থায়নে ৩ জন কর্মচারী কাজ করে যাচ্ছেন। ডায়াগনিন্ট সেন্টারের প্রতিনিধি মুক্ত করা হয়েছে। সপ্তাহে রবিবার ও বুধবার বেলা ১ টার পর থেকে ওষুধ কোম্পনীর প্রতিনিধিরা চিকিৎসকদের স্বাক্ষাতের সূযোগ পান। সাইকেল ও মোটর সাইকেল চুরি রোধে সাইকেল গ্যারেজ তৈরী করা হয়েছে। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর মাধ্যমে একটি অত্যাধুনিক এ্যাস্বুলেন্স ও সোলার প্যানেল স্থাপন করা হয়েছে। সোভা বর্ধনে হাসপাতালের সম্মুখে ফুলের বাগান তৈরী করা হয়েছে। ২০১৬ ও ২০১৭ সালের জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্থদের আশ্রয়কেন্দ্রেগুলিতে ১০ টি মেডিকেল ক্লাম্প স্থাপন করে ও ২টি ভ্রাম্যমান মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে প্রায় ৯ হাজার রোগীকে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান এবং প্রায় ২ হাজার পরিবারের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় শিক্ষা প্রদান করা হয়। সম্পতি বাস দূর্ঘটনায় আহত ৫০ জন যাত্রীকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ শেখ আবু শাহীনের নেতৃত্বে চিকিৎসা প্রদান করা কোন প্রাণহানি ঘটেনি।
তাাছাড়া সকল জাতীয় দিবস পালনে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অংশ গ্রহণ থাকে এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সকল কার্যক্রম ও দিবস যথাযথ ভাবে পালন করা হয়ে থাকে। গত দুই বছরের ডিজিটাল ও উন্নয়ন মেলায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ২য় স্থান অধিকার করে।
এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ শেখ আবু শাহীন প্রতিনিয়ত ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও কমিউনিটি ক্লিনিকগুলি পরিদর্শন করেন। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শুন্যপদে ২১ জন চিকিৎসকের পদ পূর্ণ করা হলে চিকিৎসা ব্যাবস্থা আরো উন্নতি হবে বলে এলাকাবাসি জানিয়েছেন।